ছাত্র জীবন, যুব জীবনে আওয়ামীলীগের সহযোগি ও অঙ্গ সংগঠনে নেই কোন পদ পদবী বা সদস্য পদ। এমন কি তার পরিবারের সদস্যরা, বংশধররা কোনদিন আওয়ামীলীগের সংগঠনের সাথে জড়িত ছিল না। তদুপরি তার পিতা স্থানীয় ইউনিয়ন জামাতের সক্রিয় রোকন ছিল বলে এলাকাবাসী থেকে তথ্য পাওয়া যায়। এমন এক ব্যক্তিকে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের সমর্থিত সংগঠন স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ (স্বাচিপ) এর সিরাজগঞ্জ জেলা শাখার সাধারন সম্পাদক হিসেবে ২০১৯ সাল থেকে দায়িত্ব পালন করে আসছে। সাধারন সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করতে সংগঠনের অর্থ আত্মসাত, ডাক্তাদের সাথে অসৎ আচরন, প্রকৃত আওয়ামী ডাক্তারদের সংগঠন থেকে দুরে রাখা সহ নানাবিধ অভিযোগ রয়েছে। তার বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে দুদক বরাবর তার এক অধীনস্ত এক কর্মচারী অভিযোগও দাখিল করেছেন।
তথ্যানুসন্ধানে জানা যায়, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ (স্বাচিপ) বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ সমর্থন চিকিৎসকদের সংগঠন। ১৯৯৩ সালের ২৪ ডিস্মেবর স্বাচিপ গঠিত হয়। ২০১৫ সালে ১৩ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপস্থিতিতে স্বাচিপের চতুর্থ জাতীয় সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। শেখ হাসিনা সম্মেলনে কমিটির ভার স্বাচিপের নেতৃবৃন্দের ওপর ছেড়ে দেন। পরবর্তীতে এম ইকবাল আর্সলান সভাপতি ও এম এ আজিজ মহাসচিব নির্বাচিত হয়। বর্তমানে সভাপতি জামাল উদ্দিন চৌধুরী সভাপতি ও কামরুল হাসান মিলন মহাসচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করছে। ২০১৯ সালে স্থানীয় সংসদ সদস্য এর জোরালো তদবিরে সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার চর খোকশাবাড়ি গ্রামের শাহজাহান পুত্র ডা: জাহিদুল ইসলামকে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ সমর্থন সংগঠন স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ (স্বাচিপ) এর সিরাজগঞ্জ জেলা শাখার সাধারন সম্পাদকের দায়িত্ব গ্রহন করেন।
ডা: জাহিদুল ইসলাম ছাত্রজীবন থেকে এ পর্যন্ত আওয়ামীলীগের সহযোগি সংগঠন, অঙ্গ সংগঠনে কোন পদ পদবি বা সদস্য ছিল না। ছাত্র জীবনে ছাত্র শিবির করেছেন বলে তার স্কুল ও কলেজ জীবনে বন্ধুরা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। ডা: জাহিদুল ইসলামের পিতা শাহজাহান আলীর বংশধর কোনদিন আওয়ামীলীগের অঙ্গ সংগঠনে কোন পদ পদবী বা সদস্য পদ ছিল না। এমন কি ডা: জাহিদুল ইসলাম সহ এর বংশধররা আওয়ামীলীগকে সমর্থন করত না। ২০১৯ সালে স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ (স্বাচিপ) এর সিরাজগঞ্জ জেলা শাখার সাধারন সম্পাদক পদ পাওয়ার আওয়ামী ডাক্তার সহ সিরাজগঞ্জবাসী মধ্য চলে সমালোচনার ঝড়।
বর্তমানে চলছে সারাদেশে স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের জেলা সম্মেলন। গত ১৮ মে ২০২৪ইং তারিখে দিনব্যাপী সিরাজগঞ্জ, পাবনা, বগুড়া ও জয়পুরহাট জেলা সম্মেলন বগুড়া মেডিকেল কলেজ এর হলরুমে অনুষ্ঠিত হয়।
জেলা সম্মেলনে স্বাচিপের সিরাজগঞ্জ জেলা শাখায় সভাপতি পদে ৪জন ও সাধারণ সম্পাদক পদে ৩ পদপ্রার্থী ঘোষনা করা হয়। সাধারণ সম্পাদক পদে বর্তমান সাধারণ সম্পাদক ডা: জাহিদুল ইসলাম হীরা, ডা: নীহার রঞ্জন দাস ও ডা: আল আমিন প্রতিন্দন্দ্বিতা করেন। সিরাজগঞ্জ জেলা শাখার সম্মেলনে সভাপতি পদে ৩ জন ও সাধারণ সম্পাদক পদে ৩জন প্রার্থী হওয়ায় নির্বাচকরা প্রার্থীদের বায়োডাটা নিয়ে ঢাকায় নিয়ে যান। আগামী ৭দিনের মধ্যে সিরাজগঞ্জ জেলা শাখার সম্মেলনের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের নাম ঘোষণা করা হবে।
স্বাচিপের সিরাজগঞ্জ জেলা শাখার সম্মেলনে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থীদের প্যানা, ব্যানার, ফেস্টুন সিরাজগঞ্জ শহরের প্রধান প্রধান সড়কে প্রার্থীদের ঝুলানো দেখতে পাওয়া যায়। কে হচ্ছেন স্বাচিপের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক এই নিয়ে চলছে জল্পনা-কল্পনা।
যেহেতু স্বাধীনতা চিকিৎসা পরিষদ (স্বাচিপ) একটি আওয়ামীলীগের সমর্থিত সংগঠন। আওয়ামীলীগের সমর্থিত সংগঠনের স্বাচিপের সিরাজগঞ্জ জেলা শাখার সম্মেলনে সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী ডা: জাহিদুল ইসলাম হীরা’র প্যানা ও ফেস্টুনে জাতীয় নেতা সাবেক প্রধানমন্ত্রী ক্যাপ্টেম এম মনসুর আলী, সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম, সিরাজগঞ্জ-২ আসনের সাংসদ ড. জান্নাত আরা হেনরী’র ছবি দেখতে পাওয়া যায় না। যেহেতু আওয়ামীলীগের সমর্থিত সংগঠন স্বাচিপ, সেহেতু সিরাজগঞ্জ জেলা সম্মেলনে সিরাজগঞ্জের কৃতি সন্তান সাবেক প্রধানমন্ত্রী ক্যাপ্টেন এম মনসুর আলী ও সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম এর ছবি প্যানা ও ফেস্টুনে না থাকায় সিরাজগঞ্জের ডাক্তার, ভোটার ডাক্তার সহ জেলার সর্বত্র চলছে আলোচনা সমালোচনা ঝড়।
স্বাচিপের সিরাজগঞ্জ জেলা শাখার সাধারন সম্পাদক পদপ্রার্থীরা বলেন, পুর্বে কোনদিন ডা: জাহিদুল ইসলাম ছাত্রলীগের সদস্যও ছিল না। স্বাচিপ সংগঠনে সদস্য হওয়ার যোগ্যতা নেই।
প্রকাশক ও সম্পাদকঃ সোহেল সরকার কর্তৃক লন্ডন যুক্তরাজ্য থেকে প্রকাশিত
সহ সম্পাদকঃ মোঃ ফরিদ হোসেন বার্তা বিভাগঃ জিয়াউল ইসলাম জিয়া
সাথী সোহেল জনকল্যাণ ফাউন্ডেশন (আর্তমানবতার সেবায়) বিকাশঃ ০১৩০২৪৪৭৩৭৩