বাগেরহাটের মোংলা নদীতে ৮০ জন যাত্রী নিয়ে একটি ট্রলারডুবির ঘটনা ঘটেছে। রোববার সকাল ৯টার দিকে বেশি যাত্রী নিয়ে নদী পার হওয়ার সময় এ দুর্ঘটনা ঘটে। ডুবে যাওয়ায় কিছু যাত্রী উঠতে পারলেও কেউ কেউ নিখোঁজের আশঙ্কা করা হচ্ছে। তাদের উদ্ধারে তল্লাশি চালাচ্ছে নৌপুলিশ, ফায়ার সার্ভিস ও কোস্টগার্ডের ডুবুরি দল।
স্থানীয়রা জানান, ভোর থেকে এ নদীতে ট্রলারে করে শত শত যাত্রী পার হয়েছে। যার অধিকাংশ ইপিজেডের ‘ভিআইপি’ নামক একটি কারখানার শ্রমিক। এদিন প্রত্যেকটি ট্রলারে ৭০-৮০ জন যাত্রী ছিল। ট্রলারচালকরা ঘূর্ণিঝড়ের মধ্যে অতি মুনাফার লোভে অতিরিক্ত যাত্রীবোঝাই করে নদী পার করছিলেন। দুর্ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন যাত্রীদের স্বজনরা। এ সময় পৌরসভার নিয়ন্ত্রণে থাকা টোল আদায়ের কাউন্টার ভাঙচুর করেন। এ ঘটনার পর থেকে মোংলা নদীতে ট্রলার চলাচল বন্ধ রয়েছে।
মোংলা নদী পারাপার ট্রলার মালিক ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক নুর ইসলাম বাবুল বলেন, যাত্রীরা লাফিয়ে লাফিয়ে ট্রলারে উঠে পড়লে আমাদের কি করার আছে।
ভিআইপি কারখানার মানবসম্পদ বিভাগের ব্যবস্থাপক মিজানুর রহমান দাবি করেন, ৭ নম্বর বিপদসংকেত জারি হওয়ার পর কারখানা বন্ধ করে দেওয়া হয়।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক শ্রমিকরা অভিযোগ করে বলেন, ঝড়ের মধ্যে কারখানায় যাওয়ার জন্য ভিআইপির মিজান স্যার ফোন দিয়েছেন। জোর করে তিনি কারখানায় নিয়েছেন।
মোংলা উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নিশাত তামান্না বলেন, ট্রলার দুর্ঘটনার পর খোঁজ খবর রাখছি। কোনো যাত্রী নিখোঁজ আছে কিনা, পৌরসভার সিসি টিভি ফুটেজ পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে।
প্রকাশক ও সম্পাদকঃ সোহেল সরকার কর্তৃক লন্ডন যুক্তরাজ্য থেকে প্রকাশিত
সহ সম্পাদকঃ মোঃ ফরিদ হোসেন বার্তা বিভাগঃ জিয়াউল ইসলাম জিয়া
সাথী সোহেল জনকল্যাণ ফাউন্ডেশন (আর্তমানবতার সেবায়) বিকাশঃ ০১৩০২৪৪৭৩৭৩