ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের রাজনৈতিক প্রধান ইসমাইল হানিয়া নিহত হয়েছেন। ইরানের রাজধানী তেহরানে তাকে হত্যা করা হয়েছে।
আল জাজিরার খবরে বলা হয়েছে, ইসমাইল হানিয়ার হত্যাকাণ্ডের পর গাজায় ভয় এবং উদ্বেগ বিরাজ করছে। এই হত্যার ঘটনাটি অত্যন্ত অপ্রত্যাশিত এবং তাৎপর্যপূর্ণ।
গাজার জনগণ হানিয়াকে শুধুমাত্র হামাসের রাজনৈতিক নেতা হিসেবে নয়, বরং যুদ্ধবিরতির জন্য আলোচনার প্রধান নেতা হিসেবে দেখেন। তারা আশা করেছিলেন যে, এই আলোচনা গাজা উপত্যকার এই নিরবচ্ছিন্ন যুদ্ধের অবসান ঘটাবে।
গাজা এবং পশ্চিম তীর জুড়ে ফিলিস্তিনিরা ইসমাইল হানিয়াকে একজন মধ্যপন্থী নেতা হিসেবে দেখেন। তিনি আন্দোলনের সামরিক শাখার অন্যান্য নেতাদের তুলনায় অনেক বেশি বাস্তববাদী। তিনি ফিলিস্তিনে খুব জনপ্রিয়।
হানিয়া শরণার্থী শিবিরে বড় হয়েছেন এবং ১৯৪৮ সালে ফিলিস্তিনি ভূখণ্ড থেকে বিতাড়িত শরণার্থী পরিবারের বংশধরদের বিশাল সংখ্যাগরিষ্ঠদের প্রতিনিধিত্ব করেন।
হানিয়ার মৃত্যুর খবর গাজায় খুব নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছে। মানুষ বলছে, এই যুদ্ধ আরও খারাপ দিকে মোড় নিচ্ছে এবং এখন কোনো ধরনের স্থিতিশীলতা আসার সম্ভাবনা নেই। তাদের আশঙ্কা, সামনে অনেক কঠিন দিন আসছে, বিশেষ করে যুদ্ধবিরতি চুক্তির আলোচনার ক্ষেত্রে।
হামাসের রাজনৈতিক ব্যুরোর সদস্য মুসা আবু মারজুক বলেছেন, হামাসের রাজনৈতিক নেতা ইসমাইল হানিয়ার মৃত্যু 'বৃথা যাবে না।'
প্রকাশক ও সম্পাদকঃ সোহেল সরকার কর্তৃক লন্ডন যুক্তরাজ্য থেকে প্রকাশিত
সহ সম্পাদকঃ মোঃ ফরিদ হোসেন বার্তা বিভাগঃ জিয়াউল ইসলাম জিয়া
সাথী সোহেল জনকল্যাণ ফাউন্ডেশন (আর্তমানবতার সেবায়) বিকাশঃ ০১৩০২৪৪৭৩৭৩