জয়পুরহাট মাদরাসা থেকে নিখোঁজ ৫ ছাত্রী ঢাকায় উদ্ধার। বিষয়টি নিশ্চিত করে কালাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওয়াসিম আল বারি বলেন, নিখোঁজ ওই ৫ ছাত্রী ঢাকায় গিয়েছিল সেখান থেকে তাদেরকে ৬ সেপ্টেম্বর-২০২৪ রাত আনুমানিক দেড়টার দিকে ফিরিয়ে আনা হয়েছে।
উল্লেখ্য, জেলার কালাই উপজেলার চাকলমুয়া সহীহ সুন্নাহ বালিকা মাদরাসার আবাসিকের ৫ ছাত্রী শুক্রবার (৬ সেপ্টেম্বর-২০২৪) ভোর থেকে তারা নিখোঁজ ছিল। এ ঘটনায় মাদরাসার পরিচালক ফিরোজ আলম কালাই থানায় অভিযোগ করেন।
থানায় দেওয়া লিখিত অভিযোগ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ওই মাদরাসায় মোট ১০০ জন ছাত্রী পড়াশোনা করে। এরমধ্যে ৫৫ জন মাদরাসার আবাসিকে রয়েছে। বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর-২০২৪) রাতে খাওয়া-দাওয়া শেষে আবাসিকের ছাত্রীরা ঘুমিয়ে পড়ে। প্রতিদিনের মতো ভোরে তাদের ফজরের নামাজ আদায় করার জন্য দরজা খুলে দেন আবাসিকের তত্ত্বাবধায়ক মঞ্জুয়ারা বিবি। এরপর মাদরাসার পরিচালক ফিরোজ হোসেনের মেয়ে সহ ৫ ছাত্রী বাইরে গিয়ে আর ফেরেনি। মাদরাসা কর্তৃপক্ষ অন্য ৪ ছাত্রীর বাসায় খোঁজ নিয়েছে। তবে তাদের কেউই বাসায় যায়নি।
নিখোঁজ ৫ ছাত্রীর সবার বয়স ১০-১২ বছর। এদের মধ্যে ৪ ছাত্রীর ট্রাংক খুলে ভেতরে একটি করে চিরকুট পাওয়া গেছে। তবে বিকেল পর্যন্ত নিখোঁজ ৫ ছাত্রীর খোঁজ মেলেনি।
নিখোঁজ ১ ছাত্রীর চাচাতো ভাই শামীম হোসেন বলেন,‘আমার চাচাতো বোন মাদরাসায় পড়তো। সে হঠাৎ করেই মাদরাসা থেকে নিখোঁজ হয়েছে বলে আমাদের জানানো হয়েছ। এ ঘটনায় আমরা খুবী উদ্বিগ্ন।’
আর এক ছাত্রীর ভাই হৃদয় হাসান বলেন,‘এ মাদরাসায় যে নিরাপত্তা নেই আমরা আগে জানতাম না। শুক্রবার সকালে মাদরাসা থেকে ফোন করে আমার বোনকে পাওয়া যাচ্ছে বলে জানানো হয়েছে। আমার বোন সহ ৫জন আজকেই চলে গেছে নাকি আগে চলে গেছে তা নিয়ে সন্দেহ আছে। ৩ জনের ট্রাংকে যে চিরকুট পাওয়া গেছে বলে সেটিও মাদরাসা কর্তৃপক্ষ লেখে রেখেছে বলে সন্দেহ হচ্ছে।’
জানতে চাইলে মাদরাসার পরিচালক ফিরোজ হোসেন বলেন, ‘আমার মেয়ে কামরুন্নাহার শিমু মাদরাসার প্রধান শিক্ষক।শুক্রবার ভোর থেকে মাদরাসার আবাসিকের ৫ ছাত্রীর খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না বলে জানানো হয়েছে। এরমধ্যে আমার মেয়েও রয়েছে।’
তিনি আরও বলেন,“মাদরাসায় গিয়ে নিখোঁজ ৫ ছাত্রীর মধ্যে ৩ জনের ট্রাংকে চিরকুট পেয়েছি। ৩টি চিরকুটের লেখা প্রায় অভিন্ন। ১জন লিখেছে, ‘প্রিয় মা-বাবা, তোমাদের কষ্ট হচ্ছে। আমরা তোমাদের কষ্ট দিতে চাই না। এ কারণে চলে যাচ্ছি।আমরা আবার ফিরে আসবো’।”
মাদরাসার ৫ ছাত্রী নিখোঁজের ঘটনায় কালাই থানায় একটি অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। পুলিশ অভিযোগটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) হিসেবে নিয়েছে বলেও জানায় মাদরাসা কর্তৃপক্ষ।
এ বিষয়ে জানতে দুপুরে কালাই থানায় ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওয়াসিম আল বারির ফোনে একাধিকবার কল দিলেও তিনি রিসিভ করেননি।
তবে কালাই থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) তোফায়েল হাসান বলেন, একটি অভিযোগ পেয়েছি। আর অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তও শুরু হয়েছে।
প্রকাশক ও সম্পাদকঃ সোহেল সরকার কর্তৃক লন্ডন যুক্তরাজ্য থেকে প্রকাশিত
সহ সম্পাদকঃ মোঃ ফরিদ হোসেন বার্তা বিভাগঃ জিয়াউল ইসলাম জিয়া
সাথী সোহেল জনকল্যাণ ফাউন্ডেশন (আর্তমানবতার সেবায়) বিকাশঃ ০১৩০২৪৪৭৩৭৩