নাটোর শহরের বনবেলঘড়িয়া এলাকার ষষ্ট শ্রেনীর এক স্কুল শিক্ষার্থীকে অপহরণ, গণধর্ষণ ও হত্যার পর মরদেহ গুম করার দায়ে তিন যুববকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড দিয়েছে আদালত। বৃহস্পতিবার দুপুরে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতের বিচারক মুহাম্মদ আব্দুর রহিম এই রায় দেন। দন্ডপ্রাপ্তরা হলেন, নাটোর শহরের বনবেলঘড়িয়া এলাকার নুর ইসলামের ছেলে সেলিম হোসেন, আলতাফ হোসেনের ছেলে শরিফুল ইসলাম শরিফ ও আরশেদ আলীর ছেলে মনির হোসেন।
আদালতের স্পেশাল পিপি অ্যাডভোকেট আনিছুর রহমান মামলার জানান, এলাকার বখাটে বলে পরিচিত যুবক সেলিম হোসেন ষষ্ঠ শ্রেণীতে অধ্যায়তরত এক স্কুল শিক্ষার্থীকে প্রতিনিয়ত স্কুলে যাওয়া আসা সহ রাস্তা ঘাটে বিরক্ত করতো এবং প্রেমের প্রস্তাব দিত। তাতে রাজী না হলে ২০১৬ সালের ২৯ মে সন্ধ্যায় ওই শিশু শিক্ষার্থী জরুরী কাজে বাড়ী থেকে বের হলে সেলিম হোসেন ও তার সহযোগিরা শিক্ষার্থীকে অপহরণ করে একটি মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে চলে যায়। এরপর বিষয়টি জানাজানি হলে ঐ শিক্ষার্থীর পরিবার থেকে সেলিম হোসেন সহ অন্যান্যদের পরিবারের সদস্যদের জানালে তারা কোন সহযোগিতা না করে হুমকি ধামকি দেয়। এ ঘটনায় শিক্ষার্থীর মা বাদী হয়ে ৪ জনের নাম সহ অজ্ঞাত ২ থেকে ৩ জনকে অভিযুক্ত করে সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলা দায়েরের পর পুলিশ অভিযুক্ত তিনজনকে গ্রেফতার করে কারাগারে প্রেরণ করে। পরে গ্রেফতারকৃতরা আদালত থেকে জামিনে বের হয়ে আত্মগোপনে চলে যায়।
পরবর্র্তীতে শিক্ষার্থীর মরদেহ উদ্ধারসহ পুলিশ তিনজনের বিরুদ্ধে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করেন। দীর্ঘ ৮ বছর মামলার স্বাক্ষ্য প্রমান গ্রহন শেষে অভিযুক্তদের অনুপস্থিতিতেই এই রায় ঘোষণা করেন আদালতের বিচারক। এ সময় দন্ডপ্রাপ্তদের সকলকে ৬০ হাজার টাকা করে জরিমানার আদেশ দেওয়া হয়েছে। সময় অভিযুক্তদের অনুপস্থিতিতেই এই রায় ঘোষণা করেন আদালতের বিচারক।
প্রকাশক ও সম্পাদকঃ সোহেল সরকার কর্তৃক লন্ডন যুক্তরাজ্য থেকে প্রকাশিত
সহ সম্পাদকঃ মোঃ ফরিদ হোসেন বার্তা বিভাগঃ জিয়াউল ইসলাম জিয়া
সাথী সোহেল জনকল্যাণ ফাউন্ডেশন (আর্তমানবতার সেবায়) বিকাশঃ ০১৩০২৪৪৭৩৭৩