জয়পুরহাটে কমিউনিটি ক্লিনিক স্বাস্থ্য কর্মকর্তাদের অনিয়মে চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত রোগীরা।জেলায় ১১৩টি কমিউনিটি ক্লিনিক সময় সূচী নামার কারনেই এই অনিয়ম হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে।সকাল ৯টা-বিকেল ৩টা পর্যন্ত এসব ক্লিনিকে সেবা দেওয়ার কথা থাকলেও সংশ্লিষ্ট স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা মানছেন না এ সময় সূচী।জেলার বেশিরভাগ কমিউনিটি ক্লিনি সকাল ১০টার পরে খোলা হলেও আবার দেড়টার মধ্যেই বন্ধ হয় । জেলার একাধিক কমিউনিটি ক্লিনিকে সরেজমিন এসব অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে।
উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ও পরিদর্শকদের নিয়মিত ক্লিনিকগুলোতে পরিদর্শনের কথা থাকলেও তারা সেই দায়িত্ব সঠিকমতো পালন করেন না বলেও অভিযোগ পাওয়া গেছে।এসব কারণে স্থানীয়রা বঞ্চিত হচ্ছেন চিকিৎসা সেবা থেকে।
জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্র দ্য পিপলস্ নিউজ২৪.কমকে জানিয়েছেন,দেশের প্রান্তিক পর্যায় মানুষের কাছে কাঙ্খিত স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দিতে দেশব্যাপী কমিউনিটি ক্লিনিক চালু করা হয়। ক্লিনিকে মা ও শিশুর স্বাস্থ্যসেবা,পরিবার পরিকল্পনা সেবা,টিকাদান কর্মসূচী,পরামর্শ সহ বিভিন্ন স্বাস্থ্যসেবা দেওয়ার কথা।কিন্তু দক্ষ জনবল ও নিয়মিত তদারকির নাথাকার কারনে এর কাঙ্খিত উদ্দেশ্য সফল হচ্ছে না।
(৭ সেপ্টেম্বর-২০২৪) সরেজমিন দুপুর আনুমানিক দেড়টার দিকে জেলার সদর উপজেলার আমদই ইউনিয়নের মাধাইনগর কমিউনিটি ক্লিনিকে গিয়ে দেখা যায় যে,দায়িত্বরত কর্মকর্তারা অনেক আগেই চলে গেছেন। ওইদিন সোয়া ১টার পর জেলার পাচঁবিবি উপজেলার আওলাই ইউনিয়নের ছাতিনালী ইউনিয়ন স্বাস্থ্যকেন্দ্রে সরেজমিন দেখা যায়,সেখানে আবার তালা ঝুলছে।ওই ইউনিয়নের ছাতিনালী গ্রামের আবু সালে ও ইউনুস আলী দ্যা পিপুলস নিউজ২৪.কমকে জানান,‘আমরা দেখি স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা কোনো দিন সকাল ১০টা আবার কখনো ১১টার দিকে আসে,এসে আবার ১টার আগেই চলে যায়।আমরাতো গ্রামের মানুষ তেমনটা বুঝিনা যে,তাদের আসা যাওয়ার সময় কয়টা থেকে কয়টা পর্যন্ত । তাদের কাছে গেলে দু-এক ধরনের ওষুধ ছাড়া তারা আর কিছুই দেন না।আবার বলে শেষ হয়েছে নয়তোবা বলেন আর নাই।’
জেলার ক্ষেতলাল উপজেলার কোড়লগাড়ি গ্রামে সেবা নিতে আসা কয়েক জন নাম নাবলার শর্তে দ্যা পিপুলস নিউজ২৪.কমকে বলেন,‘আমরা ওষুধ নিতে আসি,অনেক সময় পাই না। ক্লিনিকগুলোতে সরকার দেওয়া বা যেসব ওষুধ থাকার কথা সেগুলো থাকলে আমাদের জন্য খুবি ভালো হতো।’
অভিযোগ বিষয়ে জানতে চাইলে একই উপজেলার রামপুরা চৌধুরীপাড়া কমিউনিটি ক্লিনিকের কমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রোভাইডার (সিএইচসিপি) মানিক হোসেন দ্য পিপলস্ নিউজ২৪.কমকে জানান,‘আমি শুক্রবার ছাড়া সবদিন সকাল ৯টা-বিকেল ৩টা পর্যন্ত থাকি।মাঝে মধ্যে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপেক্সে নানান ধরনের কাজে যাই।সেজন্য হয়তো বন্ধ থাকতে পারে উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন,আমাদের ওষুধের স্বল্পতা রয়েছে।সেগুলো সাপ্লাই পেলে ওষুধ না পাওয়ার অভিযোগ আর থাকবে না।
একই উপজেলার মোনঝার দাশড়া কমিউনিটি ক্লিনিকের সিএইচসিপি ফজিলাতুন পারুল দ্য পিপলস্ নিউজ২৪.কমকে বলেন,আমি স্বীকার করলাম কিছু মানুষের অভিযোগ রয়েছে,কিন্তু তারা জানেন না ওষুধ না থাকলে কীভাবে দিবো।যখন ওষুধ পায় না,কিছু মানুষ তখন ভুল বোঝেন। তিনি অফিসে নিয়মিত বসেন বলেও দাবি করেন।
জেলা সিভিল সার্জন ডা: রুহুল আমিন দ্য পিপলস্ নিউজ২৪.কমকে জানান,সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৩ টা পর্যন্ত অফিস খোলা থাকে।যদি কেউ পরে যান কিংবা নির্দিষ্ট সময়ের আগেই চলে যান,তাহলে তাদের বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়া হয়।এছাড়া ক্লিনিকগুলোতে ২০ ধরনের ওষুধ দেওয়া হয় বলেও জানান এই কর্মকর্তা।
প্রকাশক ও সম্পাদকঃ সোহেল সরকার কর্তৃক লন্ডন যুক্তরাজ্য থেকে প্রকাশিত
সহ সম্পাদকঃ মোঃ ফরিদ হোসেন বার্তা বিভাগঃ জিয়াউল ইসলাম জিয়া
সাথী সোহেল জনকল্যাণ ফাউন্ডেশন (আর্তমানবতার সেবায়) বিকাশঃ ০১৩০২৪৪৭৩৭৩