জয়পুরহাটে ঘুড়ে দেখি মুরগি ও ডিম বাজারের হালচাল। খুচরা পর্যায় ডিম,সোনালি ও ব্রয়লার মুরগির দাম সরকার বেধেঁ দিলেও জেলার বাজারগুলোতে নির্ধারিত দামের চেয়ে বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে ডিম। তবে ব্রয়লার মুরগি ১০ টাকা কমে বিক্রি হচ্ছে। আর সোনালি মুরগি বেঁধে দেওয়া দামের চেয়ে বিক্রি হচ্ছে ২০ টাকা কমে।
বুধবার (২ অক্টোবর-২০২৪) জেলা সদরের নতুনহাট,পূর্ব বাজার,সাহেব বাজারসহ বেশ কয়েকটি বাজারে সরেজমিন দেখা গেছে, খুচরা পর্যায় সাড়ে ১২ টাকায় বিক্রি হচ্ছে এক পিস ডিম ,আর হালি বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকায়।অথচ খুচরা পর্যায় প্রতি পিস ডিম ১১ টাকা ৮৭ পয়সা বেধেঁ দিয়েছে সরকার।
অপর দিকে সোনালি মুরগি প্রতি কেজি ২৬৯ টাকা ৬৪ পয়সা ও ব্রয়লার মুরগি প্রতি কেজি ১৭৯ টাকা ৫৯ পয়সা নির্ধারণ করে দেওয়া হয়।
দেখা গেছে, ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৭০ টাকা কেজি দরে। আর সে ক্ষেত্রে সরকারের বেধেঁ দেওয়া দামের চেয়ে ১০ টাকা কমেই পাচ্ছেন ক্রেতারা। আবার সরকারের বেধেঁ দেওয়া দামের চেয়ে সোনালি মুরগি ২০ টাকা কমেই পাওয়া যাচ্ছে।
প্রতি পিস ডিম কিনতেই আমাদের খরচ হচ্ছে ১২ টাকার কিছু ওপরে।এরমধ্যে আবার কিছু ডিম ভেঙে নষ্ট হয়ে যায়। আর এখন আমরা বিক্রি করছি সাড়ে ১২ টাকা পিস, এক হালি বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকায়। যেহেতু আমাদের বেশি দামেই কিনতে হচ্ছে, সেহেতু আমরা ডিম প্রতি ৫০ পয়সা লাভ করছি বলে জানিয়েছেন,সদরের সাহেব বাজারের ডিম ব্যবসায়ী মেহেদী হাসান
আমরা কম টাকায় কিনতে না পারলে কীভাবে সরকারি দামে বিক্রি করবো? ডিম বিক্রি করে আমাদের খুব একটা লাভ হয় না। ডিম প্রতি আমাদের ৪০-৫০ পয়সা থাকে ।এমনটায় জানিয়েছেন,পূর্ব বাজারের ডিম ব্যবসায়ী লিটন হোসেন ।
বাজারে ডিম ক্রেতা মাহাবুব বলেন,সরকার প্রতি পিচ ডিমের দাম ১১ টাকা ৮৭ পয়সা নির্ধারণ করে দিলেও কিনতে হচ্ছে ১৩ টাকা দরে উল্লেখ
তিনি বলেন,বাজারে তদারকি করার মানুষ নেই।তাই শুধু দাম বেধে দিলে হবে না,নিয়মিত বাজার মনিটরিং করতে হবে।
আজকে আমরা ব্রয়লার মুরগি ১৭০ টাকা কেজি বিক্রি করছি। আর সোনালি বিক্রি করছি ২৫০-৬০ টাকা কেজি দরে।মুরগির দামের বিষয়ে জানতে চাইলে নতুনহাটের মুরগি ব্যবসায়ী রাসেল ইশতিয়াক হোসেন এমনটা জানিয়ে তিনি বলেন,খুচরা বাজারে মুরগির দাম নির্ভর করে পাইকারি বাজারের ওপর।আজ পাইকারি বাজারে ব্রয়লার মুরগির দাম কম। তাই আমরাও কম দামেই বিক্রি করছি।
সদরের শাহাপুর গ্রামের মা পোল্ট্রির খামারী মালিক আব্দুল কুদ্দুস বলেন, আমি সোনালি মুরগী পালন করি। এক কেজি ওজনের মুরগি লালন-পালনে খরচ হয় প্রায় ২২০-২২৫ টাকা। এখন আমার মুরগি কিনতে এসে পাইকাররা দাম বলছে ২২০ টাকা। সোনালি মুরগি লালন-পালন করে আমাদের কোনো লাভ হচ্ছে না। আবার বাজারে ২৫০-২৬০ টাকা দামেই বিক্রি হচ্ছে। এই শিল্পকে দেখার কেউ নেই।
ডিম ও মুরগীর বাজার ব্যবস্থাপনা বিষয়ে জানতে চাইলে জেলা কৃষি কর্মকর্তা (বিতরণ) মেহেদী হাসান বলেন, আমরা বিভিন্ন বাজারে খোঁজ নিচ্ছি।
জয়পুরহাট জেলা প্রশাসক মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর (ভারপ্রাপ্ত) তিনি বলেন, আমরা বাজারগুলো মনিটরিং করছি। সরকারের বেধেঁ দেওয়া দামের চেয়ে কেউ যদি বেশি দাম নেয়,আমরা আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।
প্রকাশক ও সম্পাদকঃ সোহেল সরকার কর্তৃক লন্ডন যুক্তরাজ্য থেকে প্রকাশিত
সহ সম্পাদকঃ মোঃ ফরিদ হোসেন বার্তা বিভাগঃ জিয়াউল ইসলাম জিয়া
সাথী সোহেল জনকল্যাণ ফাউন্ডেশন (আর্তমানবতার সেবায়) বিকাশঃ ০১৩০২৪৪৭৩৭৩