সরকারের পক্ষ থেকে গত মঙ্গলবার ডিমের মূল্য নির্ধারণ করে দেওয়া হয়, যা গতকাল থেকে সারা দেশে কার্যকর হওয়ার কথা ছিল। সরকার নির্ধারিত মূল্য হচ্ছে—উৎপাদক পর্যায়ে প্রতিটি ডিম ১০ টাকা ৯১ পয়সা, পাইকারি পর্যায়ে ১১ টাকা ১ পয়সা এবং খুচরা পর্যায়ে ১১ টাকা ৮৭ পয়সা। এই হিসাবে খুচরা পর্যায়ে প্রতি ডজন ডিমের দাম ১৪২ টাকা ৪৪ পয়সা।
কিন্তু গতকাল পাইকারি থেকে খুচরা বিক্রেতা কেউই এ মূল্যে ডিম বিক্রি করেননি। আজ বৃহস্পতিবার তাড়াশ পৌর শহরের পাইকারি বিক্রেতারা জানান, গত বুধবার রাতে খামারিদের কাছ থেকে তাঁরা প্রতিটি ডিম ১২ টাকা করে কিনেছেন এবং তা বিক্রি করেছেন ১২ টাকা ২০ পয়সা থেকে ১২ টাকা ৩০ পয়সা দরে। আর তাড়াশের বিভিন্ন খুচরা বাজারে প্রতিটি ডিম বিক্রি করা হয় ১৩ টাকা ৩৩ পয়সা থেকে ১৪ টাকা পর্যন্ত। তবে তাড়াশের গ্রাম পর্যায়ের বাজারের তুলনায় তাড়াশ পৌর শহরে খুচরা পর্যায়ে ডজনপ্রতি ১০ টাকা পর্যন্ত বেশি বিক্রি হতে দেখা গেছে।
তাড়াশ পৌর শহরের ডিম ব্যবসায়ী মোঃ সানোয়ার হোসেন বলেন, ডিমের দাম বেড়ে যে অবস্থায় গিয়েছিল, সেখান থেকে যৌক্তিক দামে আসতে আরো দু-এক দিন সময় লাগবে। এটা এক দিনের মধ্যে ধরে বেঁধে কমানো সম্ভব নয়, যদিও উল্লেখযোগ্য হারে দাম কমছে। আমরা যত কম দামে কিনতে পারব, তত কম দামে বিক্রি করব।’
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন ক্রেতা বলেন, সরকার কর্তৃক ডিমের দাম নির্ধারণ করা সত্ত্বেও, বাজারে এর ছিটেফোঁটা বাস্তবায়িত হয়নি।
প্রকাশক ও সম্পাদকঃ সোহেল সরকার কর্তৃক লন্ডন যুক্তরাজ্য থেকে প্রকাশিত
সহ সম্পাদকঃ মোঃ ফরিদ হোসেন বার্তা বিভাগঃ জিয়াউল ইসলাম জিয়া
সাথী সোহেল জনকল্যাণ ফাউন্ডেশন (আর্তমানবতার সেবায়) বিকাশঃ ০১৩০২৪৪৭৩৭৩