মজিবর রহমান স্টাফ রিপোর্টার
চলনবিল অধ্যুষিত সিরাজগঞ্জের তাড়াশে শীতের শুরুতেই খেজুর গাছ থেকে রস সংগ্রহে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন গাছিরা। দিন দিন তাড়াশের সুস্বাদু ও ভেজালমুক্ত খেজুর গুড়ের কদর বাড়ছে । এলাকার চাহিদা মিটিয়ে সরবরাহ হচ্ছে দেশের নানা জায়গাই।
তাড়াশ উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, এ উপজেলায় ২৫ থেকে ৩০ হাজার খেজুর গাছ রয়েছে। এসব গাছ থেকে প্রতিবছর প্রায় ২ হাজার ৪০০ টন রস সংগ্রহ হয়ে থাকে। আর ওই রস থেকে তৈরি হয় প্রায় ৩০ থেকে ৩৫ টন খেজুর গুড়। শনিবার সকালে উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, এলাকার গাছিদের পাশাপাশি রাজশাহী জেলার বাঘা ও চারঘাট, নাটোরের গুরুদাসপুর, বড়াইগ্রাম ও সিংড়া উপজেলা থেকে ৬০ থেকে ৭০ গাছি খেজুর রস সংগ্রহ করতে তাড়াশ উপজেলায় এসেছেন। তাহারা গাছ মালিকদের কাছ থেকে গাছ প্রতি ৩ থেকে ৪ কেজি গুড়ের বিনিময়ে শীত মৌসুমের জন্য এলাকার খেজুর গাছগুলো লিজ নিয়ে থাকেন। বিকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত গাছগুলো এক বিশেষ কায়দায় কেটে তাতে হাঁড়ি ঝুলিয়ে রাখা হয়। ভোর রাত থেকে রস সংগ্রহ করে সকালে বড় কড়াইয়ে করে আগুনে তাপ দেওয়া হয়। পাতলা রস গাঢ় হলে তা বাটখাড়ায় ঢেলে তৈরি করা হয় খুড়ি গুড়, পাটালি গুড় ও ঝোলা গুড়। তালম ইউনিয়নের ছাইর উদ্দিন ও তালম পুল্লা পাড়ার রেজাউল গাছি বলেন, এ বছর আগাম শীত পড়েছে। আমরাও গুড় তৈরি শুরু করেছি। ইতিমধ্যে ঢাকা, চট্টগ্রাম, নারায়ণগঞ্জ খুলনা সহ দেশের বিভিন্ন জেলার পাইকাররা এ উপজেলা থেকে সুস্বাদ ও ভেজালমুক্ত খেজুর গুড় কিনে নিয়ে যাচ্ছেন। প্রতি কেজি গুড় পাইকারদের কাছে ১২৫ টাকা থেকে ১৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তাড়াশ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, শীত মৌসুমে এ উপজেলায় খেজুরের রস থেকে উৎকৃষ্ট মানের গুড় তৈরি হয়। ভেজাল কমাতে গুড় তৈরির স্থানগুলো সার্বক্ষণিক কৃষি অধিদপ্তরের অধীনে মনিটরিং করা হয়। তাই তাড়াশের তৈরি সুস্বাদু খেজুর গুড়ের কদর দিন দিন বেড়েই চলছে।
প্রকাশক ও সম্পাদকঃ সোহেল সরকার কর্তৃক লন্ডন যুক্তরাজ্য থেকে প্রকাশিত
সহ সম্পাদকঃ মোঃ ফরিদ হোসেন বার্তা বিভাগঃ জিয়াউল ইসলাম জিয়া
সাথী সোহেল জনকল্যাণ ফাউন্ডেশন (আর্তমানবতার সেবায়) বিকাশঃ ০১৩০২৪৪৭৩৭৩