তাড়াশ প্রতিনিধিঃ
সিরাজগঞ্জঃ এক সময় চলন বিলের কৃষকরা শুধু একফসলি ইরি-বোরো আবাদ করত। বাকি সময় হাজার হাজার হেক্টর জমি পতিত পড়ে থাকত। কালের বিবর্তনে এ অঞ্চলেরও কৃষিক্ষেত্রে বিপ্লব ঘটেছে। কৃষকরা বিগত দেড় যুগ ধরে ইরি-বোরো, আমন, ভূট্টা, তরমুজ আবাদের পাশাপাশি সরিষার আবাদেও ঝুঁকেছেন।
তেলে স্বনির্ভরতার লক্ষ্যে সিরাজগঞ্জে জেলার তাড়াশ উপজেলার কৃষকেরা সরিষা চাষে নেমেছেন। উপজেলার ১টি পৌরসভা ও ৮টি ইউনিয়নসহ চলন বিলের পানি নেমে যাওয়ার সাথে সাথে উর্বর মাটিতে অথিক লাভের আশায় এখানকার কৃষকরা এখন সরিষা চাষের জন্য জমি তৈরিতে ব্যাস্ত সময় পার করছেন । সিরাজগঞ্জ জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিপ্তর সূত্রে জানা গেছে, এবছর জেলায় ৬০ হাজার ৯০০ হেক্টর জমিতে সরিষা চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে । আর এজন্য জেলার ৩৬ হাজার ১০০ জন কৃষককে বীজ ও সার প্রণোদনা হিসাবে দেয়া হয়েছে । তাড়াশ উপজেলার সদর ইউনিয়ন মাধবপুর গ্রামের কৃষক মুনসুর আলী পৌরসভার কাউরাই গ্রামের কৃষক সেরাজুল প্রামানিক , বারুহাস ইউনিয়ন কুসুম্বী গ্রামের কৃষক মজদার আলী,সগুনা ইউনিয়ন দিঘীসগুনা গ্রামের কৃষক রেজা প্রামানিক,মাগুরা ইউনিয়ন দোবিলা গ্রামের কৃষক শাহাদাৎ হোসেন জানান । তারা ইতিমধ্যেই সরিষা চাষ শুরু করেছেন । তারা জানান এবছর কৃষি বিভাগের পরামর্শে এছর এই এলাকায় কৃষকরা অধিক উৎপাদনশীল জাতের বারি সরিষা ৯, ১৪, ১৭, বিনা ৪ এবং তরী ৭ জাতের সরিষা আবাদ করছি । উপজেলার ঘরগ্রাম এলাকার কৃষক আলম হোসেন জানান এবছর আমি ১০ বিঘা জমিতে সরিষা চাষের জন্য ঠিক করেছি । কারন বিলের পানি নেমে যাওয়ার সাথে সাথেই আমরা এই চাষ শুরু করেছি । তিনি জানান সরিষা চাষে তুলনামূলক খরচ কম । তাছাড়া সরিষার দামও বেশ ভালো গতবার ৩হাজার ৩৫শ টাকা মন সরিষা বিক্রী করে লাববান হয়েছি । আমার মত এই এলাকার কৃষকরা সরিষা চাষ শুরু করছে । পৌরসভার উলিপুর গ্রামের কৃষক আকতারুজ্জামান জানান গতবার ১২ জমিতে সরিষা চাষ করে ১০০ মণ সরিষা পেয়েছিলাম । যা বিক্রি করেছিলাম সাড়ে তিন লাখ টাকা । এবারে প্রায় ১৫ বিঘা জমিতে সরিষা চাষে উদ্যোগ নিয়েছি ।
এবিষয়ে তাড়াশ উপজেলা কৃষিকর্মকর্তা জানান তাড়াশের চলনবিলের পানি নেমে যাওয়ার সাথে সাথে কৃষকরা সরিষা চাষে নেমেছে । স্থানীয় কৃষি বিভাগ এবছর উচ্চ ফরনশীল বারি সরিষা ৯, ১৪, ১৭, বিনা ৪ জাতের সরিষা চাষের পরামর্শ দিচ্ছে । তিনি জানান তেলে নিজেদের স্বনির্ভর ও আর্থিক আয়ের লক্ষ্যেই নির্দেশনা প্রদান করেছেন । সেই লক্ষ্য বাস্তবায়ন করার জন্য আমরা কাজ করে চলেছি । তিনি জানান এবছর তাড়াশে ৫৩৭০ হেক্টর জমিতে সরিষা আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারন করা হয়েছে । তবে এইলক্ষ্যমাত্রা চাড়িয়ে যাবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যাক্ত করেছেন ।
প্রকাশক ও সম্পাদকঃ সোহেল সরকার কর্তৃক লন্ডন যুক্তরাজ্য থেকে প্রকাশিত
সহ সম্পাদকঃ মোঃ ফরিদ হোসেন বার্তা বিভাগঃ জিয়াউল ইসলাম জিয়া
সাথী সোহেল জনকল্যাণ ফাউন্ডেশন (আর্তমানবতার সেবায়) বিকাশঃ ০১৩০২৪৪৭৩৭৩