
স্টাফ রিপোর্টার বগুড়াঃ
সুদীর্ঘ ১৭ বছর পর দেশে ফিরছেন তারেক রহমান। আর এই ১৭ বছরের রাজনৈতিক নির্বাসনের পরে আগামীর বিএনপির রাজনৈতিক বাস্তবতা নিয়ে কিছু গুরুত্বপূর্ণ কথা গণমাধ্যমে সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করেছেন, জিয়া সাংস্কৃতিক সংগঠন (জিসাস) বগুড়া জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক, মেডিকেল টেকনোলজিস্ট অ্যাসোসিয়েশন অফ বাংলাদেশ (এম-ট্যাব) আঞ্চলিক জেলা কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক, তরুণ উদীয়মান সাবেক ছাত্র নেতা, বিশিষ্ট সাংবাদিক, মানবাধিকার কর্মী ও সমাজসেবক মোঃ আরমান হোসেন ডলার। তার বক্তব্য নিম্নে তুলে ধরা হলো...
দীর্ঘ ১৭ বছরের রাজনৈতিক নির্বাসন শেষে মাতৃভূমির কোলে ফিরতে চলেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান, দেশনায়ক তারেক রহমান। এই প্রত্যাবর্তন শুধু একজন রাজনৈতিক নেতার দেশে ফেরা নয়; এটি বাংলাদেশের রাজনীতিতে এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা—যার সঙ্গে জড়িয়ে আছে গণতন্ত্র, অধিকার এবং মানুষের দীর্ঘদিনের প্রত্যাশা ও আবেগ।
রাজনৈতিক উত্থান ও নেতৃত্বের বিকাশঃ
তারেক রহমানের রাজনৈতিক উত্থান ছিল সময়ের দাবি ও বাস্তবতার ফল। শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে এবং দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক শিক্ষায় গড়ে ওঠা এই নেতা অল্প সময়েই বিএনপির সাংগঠনিক শক্তিকে তৃণমূল থেকে জাতীয় পর্যায়ে সুসংহত করতে সক্ষম হন। বিশেষ করে তরুণ সমাজ ও ছাত্র রাজনীতিতে তার প্রভাব ছিল সুদূরপ্রসারী।
বন্দিশালা জীবন ও নির্বাসনের অধ্যায়ঃ
গত ১৭ বছর তারেক রহমানের জীবনে ছিল এক কঠিন অধ্যায়—যেখানে একদিকে ছিল মামলার বেড়াজাল, অন্যদিকে শারীরিক ও মানসিক চাপ। কিন্তু এসব প্রতিবন্ধকতা তাকে রাজনীতি থেকে বিচ্ছিন্ন করতে পারেনি। বরং বিদেশে অবস্থান করেও তিনি দলের নীতিনির্ধারণ, সাংগঠনিক পুনর্গঠন এবং আন্দোলনের কৌশল নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। ইতিহাস সাক্ষ্য দেয়—নির্বাসন অনেক নেতাকে নিঃশেষ করে দিলেও তারেক রহমানকে আরও দৃঢ় করেছে।
বিদেশ থেকে রাজনৈতিক পরিচালনা এক অনন্য দৃষ্টান্তঃ
বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে বিদেশে অবস্থান করেও একটি বড় রাজনৈতিক দলের কার্যকর নেতৃত্ব প্রদান এক বিরল দৃষ্টান্ত। তারেক রহমান সেই দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। ডিজিটাল যোগাযোগ, কেন্দ্রীয় নির্দেশনা ও তৃণমূলের সঙ্গে ধারাবাহিক সংযোগের মাধ্যমে তিনি বিএনপিকে সংগঠিত রেখেছেন—যা প্রমাণ করে, নেতৃত্ব কেবল ভৌগোলিক উপস্থিতির ওপর নির্ভর করে না, বরং রাজনৈতিক প্রজ্ঞা ও দৃষ্টিভঙ্গির ওপর নির্ভরশীল।
স্বদেশ প্রত্যাবর্তন ও আগামীর বিএনপিঃ
তারেক রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন বিএনপির জন্য একটি টার্নিং পয়েন্ট। দলটি এখন কেবল বিরোধী রাজনীতিতে সীমাবদ্ধ নয়; বরং রাষ্ট্র পরিচালনার বিকল্প শক্তি হিসেবে নিজেকে প্রস্তুত করছে। আগামীর বিএনপির রাজনীতিতে থাকবে—
গণতন্ত্র ও ভোটাধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠা
রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানসমূহের স্বাধীনতা
অর্থনৈতিক ন্যায়বিচার ও কর্মসংস্থান
তরুণ সমাজকে রাষ্ট্র পরিচালনায় সম্পৃক্তকরণ
দেশের জনগণের চাওয়া-পাওয়া ও আবেগ
আজ দেশের মানুষ ক্লান্ত—ভোটহীনতা, মূল্যস্ফীতি, বেকারত্ব ও মতপ্রকাশের সংকটে। এই বাস্তবতায় তারেক রহমানের প্রত্যাবর্তন সাধারণ মানুষের মধ্যে নতুন আশার সঞ্চার করেছে। জনগণ চায় এমন এক বাংলাদেশ, যেখানে কথা বলার অধিকার থাকবে, ন্যায়ের শাসন প্রতিষ্ঠিত হবে এবং রাষ্ট্র হবে জনগণের।
উপসংহারঃ
সুদীর্ঘ ১৭ বছরের নির্বাসন শেষে তারেক রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন কেবল একটি রাজনৈতিক ঘটনা নয়—এটি জনগণের আবেগ, প্রত্যাশা ও গণতান্ত্রিক আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন। সময়ই বলবে তিনি কতটা সফল হবেন, তবে ইতিহাসের এই মুহূর্তে একটি সত্য স্পষ্ট—বাংলাদেশের রাজনীতি আর আগের জায়গায় নেই। নতুন সমীকরণ, নতুন প্রত্যাশা এবং নতুন সম্ভাবনার দ্বারপ্রান্তে দাঁড়িয়ে দেশ।।
প্রকাশক ও সম্পাদকঃ সোহেল সরকার কর্তৃক লন্ডন যুক্তরাজ্য থেকে প্রকাশিত
সহ সম্পাদকঃ মোঃ ফরিদ হোসেন বার্তা বিভাগঃ জিয়াউল ইসলাম জিয়া
সাথী সোহেল জনকল্যাণ ফাউন্ডেশন (আর্তমানবতার সেবায়) বিকাশঃ ০১৩০২৪৪৭৩৭৩