
সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলায় আওয়ামীলীগের দূষর হিসাবে পরিচিত রুকন উদ্দিন আইনশৃঙ্খলা মিটিং, মাসিক সভায় উপস্থিত থাকা ছাড়াও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সাথে কম্বল বিতরণেও থাকায়
সর্বমহলে চরম ক্ষোভের জন্ম দিয়েছে।
রবিবার সকালে উপজেলা পরিষদ সম্মেল ন কক্ষে আইনশৃঙ্খলা মিটিংয়েসহ অন্যান্য সভা অনুষ্ঠিত হয়।
রুকনের বিরুদ্ধে সংবাদ মাধ্যমে একাধিক সংবাদ প্রকাশ হয়েছে প্রমান সহ,সেখানে কি ভাবে আর কার সহযোগিতায় তার উপস্থিত আর কি ভাবে প্রশাসন ও তাকে আশ্রয় দিচ্ছে নানা মহলে প্রশ্ন উঠেছে।
অপর দিকে,আওয়ামীলীগ ও সহযোগি সংগঠনের নেতা কর্মীদের আটক করা হচ্ছে সেখানে তাকে নিয়ে উপজেলার আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় মিটিং হয় তা মেনে নিতে পারছেন না বিএনপি সহ অন্যান্য দলের নেতৃবৃন্দ।
স্থানীয় এলাকাবাসী জানান,রুকন উদ্দিনের বড় ভাই আলমগীর খোকন তাহিরপুর উপজেলা আ,লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক,তার বাতিজা তানসেন তালুকদার তুশার উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক পদে ছিলো।
এছাড়াও রুকন উদ্দিন আওয়ামীলীগের আমলে বিভিন্ন ভাবে সকল ধরনের সুবিধা ভোগ করেছে। তার নিজের ফেইসবুক আইডিতে আওয়ামিলীগ ও তৎকালীন ক্ষমতায় থাকা এমপির দের পক্ষ নিয়ে বিভিন্ন সময় লেখা লেখিও করেছে তা একাধিক স্থানীয় ও জাতীয় পত্রিকা প্রকাশিত হয়েছে ও সংরক্ষিত রয়েছে সবার কাছে।
৫ আগষ্টের পর আওয়ামীলীগ সরকারের পতন হলে বিএনপি নেতা পরিচয় দিয়ে চলাচল করেছে। সম্প্রতি উপজেলা যুবদলের সভায় সে উপস্থিত হলে হট্রগোল হয়। এছাড়াও তার বিরুদ্ধে নানান অনিয়মের অভিযোগ রয়েছে।
সে বিএনপি নেতা বনে গিয়ে নিজের ভাই আ,লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আলমগীর খোকন বাতিজা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তানসেন তালুকদার তুশার কে রক্ষায় চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
এলাকার বাসিন্দাগন জানান,উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মেহেদী হাসান মানিক ও সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জুনাব আলীকে নিয়ে সারাক্ষণেই তার ফেইসবুক আইডি তে তোষামোদি করা মন্তব্য করেছেন। এর কারন হলো সুবিধা আদায় করা। রুকন উদ্দিন এর মত মানুষ যদি এতকিছুর পরও প্রকাশে থাকে আবার আইনশৃঙ্খলা মিটিংয়ে উপস্থিত হয় তাহলে আওয়ামীলীগ এর লোকজনকে কেন আটক করা হবে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আওয়ামীলীগ নেতা জানান,সবাই জানে রুকন উদ্দিন আওয়ামীলীগ ও আ,লীগ পরিবারের লোক। আ,লীগের সময় অনেক সুবিধা নিয়েছে। তাকে কেউ কিছু বলে না। আর আমরা পালিয়ে থাকি। আমাদের নেতা কর্মীরা আটক হয়।
বিএনপি নেতাগন বলেন,রুকন উদ্দিন কে ও আইনের আওতায় আনার প্রয়োজন। কেননা সে আওয়ামীলীগ ও আওয়ামীলীগ পরিবারের সদস্য সে সকল সভা সেমিনার উপস্থিত থাকে এটা কোনো ভাবেই মানা যায় না। সে এভাবে প্রকাশ্যে থাকলে বড় ধরনের ঘটনা ঘটতেও পারে। পরে এর দায় ভার আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে নিতে হবে।
এই বিষয়ে রুকন উদ্দিন তার বিরুদ্ধে সকল অভিযোগ অস্বীকার করে জানায়,আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা বানোয়াট অভিযোগ করছে একটি মহল।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ মেহেদী হাসান মানিক এর সরকারী ফোন নম্বরে একাধিক বার কল করা হলেও তিনি রিসিভ না করার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
প্রকাশক ও সম্পাদকঃ সোহেল সরকার কর্তৃক লন্ডন যুক্তরাজ্য থেকে প্রকাশিত
সহ সম্পাদকঃ মোঃ ফরিদ হোসেন বার্তা বিভাগঃ জিয়াউল ইসলাম জিয়া
সাথী সোহেল জনকল্যাণ ফাউন্ডেশন (আর্তমানবতার সেবায়) বিকাশঃ ০১৩০২৪৪৭৩৭৩