বৃহস্পতিবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ০১:৪১ অপরাহ্ন
আজকের শিরোনাম
সুনামগঞ্জের জয়নগর এলাকায় সুরমা নদীতে পুলিশের অভিযানে ভারতীয় অবৈধ ৩১টি গরু এবং নৌকসহ ২জন আটক স্কটল্যান্ডে বাংলাদেশের কনসাল জেনারেল ড. ওয়ালী তসর উদ্দিন এমবিই হাউস অব লর্ডসে বিশেষ সম্মাননায় ভূষিত কর্ণফুলীতে সন্ত্রাস বিরোধী আইনে যুবলীগ নেতা মোহাম্মদ সালাউদ্দিন গ্রেফতার শেরপুরে অবৈধ ইটভাটায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান: ১৪ লাখ টাকা জরিমানা সুনামগঞ্জ সদর উপজেলায় টি আর ও কাবিখা প্রকল্পে ১৩৫টি উন্নয়ন কাজ বাস্তবায়ন শেরপুরে ব্র্যাকের একসেলারেটেড এডুকেশন মডেল বাস্তবায়নে অভিজ্ঞতা বিনিময় সভা অনুষ্ঠিত নাটোরের হয়বতপুরে এক গার্মেন্টস শ্রমিকের স্বপ্নভঙ্গ—প্রভাবশালী প্রতারকের ফাঁদে নিঃস্ব মাসুদ রানা পরিবার মধ্য পালশা একতা যুব সংঘ ক্লাবের উদ্যোগে বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠিত শেরপুরে মহান বিজয় দিবস উদযাপনও জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের বিনম্র শ্রদ্ধা জাল কাগজ ও মিথ্যা মামলায় হয়রানির অভিযোগে লোহাগাড়ায় সংবাদ সম্মেলন

শামসুজ্জামানের সার্টিফিকেট বিক্রির টাকার ভাগ পেতেন অনেকে: ডিবি

নিজস্ব প্রতিবেদক,ঢাকা / ১৪৬ বার দেখা হয়েছে
আপডেট: বৃহস্পতিবার, ৪ এপ্রিল, ২০২৪



রাজধানীর পীরেরবাগ থেকে টাকার বিনিময়ে আসল সার্টিফিকে তৈরি করার অভিযোগে গ্রেফতার কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের সিস্টেম অ্যানালিস্ট এ কে এম শামসুজ্জামান গোয়েন্দা পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে মুখ খুলতে শুরু করেছেন। তিনিএকাই নন বোর্ডের উর্ধ্বতন অনেক কর্মকর্তা জড়িত বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) অতিরিক্ত কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ।

বৃহস্পতিবার ( ৪ এপ্রিল ) দুপুরে রাজধানীর মিন্টো রোডে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

অতিরিক্ত কমিশনার হারুন বলেন, কয়েক দিন আগে পীরেরবাগে অভিযান চালিয়ে কারিগারি শিক্ষা বোর্ডের সার্টিফিকে তৈরির কারখানার সন্ধান পেয়েছিলাম। এই সার্টিফিকে কিন্তু জাল নয় বরং সরকার যে কাগজ ব্যবহার করে শিক্ষার্থীদের সনদ দেয় কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের সিস্টেম অ্যানালিস্ট শামসুজ্জামান একই কাগজ ব্যবহার করে সার্টিফিকে বানাত। অর্থাৎ তিনি শিক্ষা বোর্ড থেকে কাগজ এনে বাসায় বসে সার্টিফিকে বানাতো। রেজাল্ট অনুযায়ী সে টাকা নিতো, তবে ৩৫ হাজারের কমে সে কাজ করত না। এরপর সার্টিফিকেট বানানোর পরে সেই রেজাল্টের তথ্য শিক্ষা বোর্ডের সার্ভারে আপলোড করে দিতো। এই সার্টিফিকে দিয়ে অনেকে বিদেশে গেছে, অনেকে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোন করছে আবার অনেকে চাকরি করছে। এভাবে সে সাড়ে পাঁচ হাজারের বেশি সার্টিফিকে দিয়েছে।

ডিবি প্রধান বলেন, গ্রেফতারের পর কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের সিস্টেম অ্যানালিস্ট এ কে এম শামসুজ্জামানকে আমরা রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করেছি। আমাদের জিজ্ঞাসাবাদে সে অনেক চমকপ্রদ তথ্য দিচ্ছে। শিক্ষা বোর্ড থেকে সনদ তৈরির কাগজ কি ভাবে বের করত এই প্রশ্নের জবাবে শামসুজ্জামান গোয়েন্দাদের জানিয়েছেন, সবাইকে ম্যানেজ করে অর্থাৎ শিক্ষা বোর্ডের সকলের সঙ্গে যোগসাজশ করে কাগজ বের করত। এমন কি তার এই সার্টিফিকেট তৈরির কারখানার বিষয়ে অনেক গণমাধ্যমের সাংবাদিকরাও জানত। সকলেই তার কাছ থেকে অবৈধ সুবিধা নিয়েছে।

তিনি আরও বলেন, শামসুজ্জামানের অবৈধভাবে সার্টিফিকেটের বিষয়ে একাধিকবার তদন্ত কমিটি গঠন হয়েছে। বোর্ডের কর্মকর্তারা তদন্ত করতে গিয়ে দেখলেন অনেক কিছু বেড়িয়ে আসছে। ফলে সেটাও ধামাচাপা পড়ে যায়। নিজেরে না বোঝার দোহাই দিয়ে অভিযোগ তদন্তের জন্য পাঠানো হয় কমপিউটার কাউন্সিলে। তারাও চুপ হয়ে যায়। কামরুজ্জামান আমাদের বলেছেন, সার্টিফিকেট তৈরির বিষয়টি সকলেই জানতেন। টাকার বিনিময়ে সবাই তার কাছে ম্যানেজ করে আসল সার্টিফিকে বানিয়ে সার্ভারে আপলোড করে দিতেন। আমরা সব কিছুই তদন্ত করছি। তার কাছ থেকে সার্টিফিকেট উদ্ধার করা হয়েছে। আমাদের কাছে সে বলেছে, কারা তদন্ত করতে গিয়ে চুপ হয়ে গেছেন। রিমান্ডে পাওয়া তথ্য যাচাই করে কোন কোন রাঘব বোয়াল জড়িত সবার নাম প্রকাশ করা হবে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর