
আমতলী উপজেলার গুলিশাখালী ইউনিয়নের দুস্থ ও অসহায় মানুষদের বরাদ্দকৃত খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ১৫ টাকা কেজি চালের তালিকায় নাম থাকার পরও নবায়ন করতে টাকা দাবী করা,অসৌজন্যমূলক আচরণ ও ঘুষ দাবি করার এমন অভিযোগ উঠেছে ওই ইউনিয়নের এক যুবদলের নেতা রফিক বিশ্বাসের বিরুদ্ধে।
জানাগেছে,গত (১৪ অক্টোবর)মঙ্গলবার সকালে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ১৫ টাকা কেজি চাল দেয়া কার্যক্রম চলছিলো এর মধ্যে মো: বাদশা আকন নামের এক বৃদ্ধ চাল আনতে গেলে ওই সময় গুলিসাখালী ইউনিয়ন বিএনপির রফিক বিশ্বাস নামের এক নেতা তাকে ভিজিডি কার্ড নবায়নের জন্য ৫ হাজার টাকা ঘুষ চাইলে তিনি অমত পোষন করেন।এতে ক্ষিপ্ত হয়ে রফিক বিশ্বাস অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন।এবং তার মা বোনকে নিয়েও কুরুচিপুর্ণ ভাষা করেছেন এমনটাই অভিযোগ উঠেছে ওই গুলিশাখালী ইউনিয়নের যুবদলের সভাপতি মো: রফিক বিশ্বাসের বিরুদ্ধে।
আরো জানাগেছে,রফিক বিশ্বাস নামের ওই ব্যক্তি গুলিশাখালি ইউনিয়ন পরিষদের ২ নং ওয়ার্ড কলাগাছিয়া গ্রামের বাসিন্দা। তিনি বিএনপির একজন কর্মী হিসেবে আছেন।তার বড় ভাই মো: হানিফ বিশ্বাস ওই ইউনিয়নের কলাগাছি গ্রামের আওয়ামী লীগের আমলে একজন ইউপি সদস্য ছিলেন। আওয়ামীলীগের আমলে মো:হানিফ বিশ্বাসের ছত্রছায়ায় তার ছোট ভাই মো:রফিক বিশ্বাস মামলা হামলার শিকার হননি।ওই ইউনিয়নের বিএনপি’র কিছু নেতাকর্মীদের সাথে কথা বললে জানা যায়,মো: রফিক বিশ্বাস তার ভাই আওয়ামী লীগের আমলে জনপ্রতিনিধি থাকায় নিরাপদ ছিলো। রফিক বিশ্বাস বিগত ৫ আগষ্টের পরপরই বিভিন্ন সালিশ বৈঠকসহ নানা অপকর্মের সাথেও জরিত ছিলেন।তার বিরুদ্ধে বহু মামলাও রয়েছে। তার বিরুদ্ধে বাদশা আকন সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করেন।
এলাকা ও অভিযোগসূত্রে জানাগেছে, খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ১৫ টাকা কেজি চালের কার্ড দেওয়ার কথা বলে মো: রফিক বিশ্বাস তাঁর কাছ থেকে ছবি, জাতীয় পরিচয়পত্রসহ ৫ হাজার টাকা চান। রফিক বিশ্বাসের পাঁচ হাজার টাকা চাওয়ায় তিনি দিতে অস্বীকার করেন।রফিক বিশ্বাস ক্ষুব্দ হয়ে আমাকে নানান ভাবে ও সৌজন্যমূলক আচরন মা বোনকে নিয়ে গালিগালাজ করেন।তিনি এলাকায় বিভিন্ন লোকের সাথেও এ আচরন করেছেন।তার বড় ভাই মো: হানিফ বিশ্বাস ওই ইউনিয়নের কলাগাছি গ্রামের আওয়ামী লীগের আমলে একজন ইউপি সদস্যও ছিলেন। আওয়ামীলীগের আমলে মো:হানিফ বিশ্বাসের ছত্রছায়ায় তার ছোট ভাই মো:রফিক বিশ্বাস কোন হয়রানির শিকার হয়নি।ওই ইউনিয়নের বিএনপি’র কিছু নেতাকর্মীদের সাথে কথা বললে জানা যায়,মো: রফিক বিশ্বাস তার ভাই আওয়ামী লীগের আমলে জনপ্রতিনিধি থাকায় নিরাপদ ছিলো এমন কথা বিএনপি’র অনেক নেতা কর্মীরাই জানে।
গুলিশাখালী ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ডের কালিবাড়ি গ্রামের বাসিন্দা মো: কালাম মাদবর বলেন,ডিলার রফিক বিশ্বাসের কাছে আমরা চালের জন্য তার অফিসে যাই আমরা ওখানে উপস্থিত থাকা অবস্থায় তিনি আমার সামনে, আমার বাবার সমতুল্য মুরুব্বী মো : বাদশা আকনকে অকথ্য ভাষায় গালাগালি করেন।
তখন হারুন ভাইর কাছ থেকে জানতে পারি যে তার কাছে নাকি ৫০০০ টাকা চাইছিলো তাকে চালের নাম রেনু করিয়ে দিবে সে দিতে রাজি না হওয়াতে তাকে এই ভাবে অকথ্য ভাষায় গালাগালি করেন।এছারাও তিনি রফিকের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন যে এই রফিক ৫ তারিখের আগের কিছুই ছিল না কিন্তু এখন অবৈধভাবে ইনকাম করে লক্ষ লক্ষ টাকার মালিক হয়েছেন। এখন এই ইউনিয়নের সাধারণ মানুষকে মানুষ বলে মনেকরে না।আমরা এর রফিকের বিচার চাই সে বাদশা ভাইয়ের মত ভালোলোককে অকথ্য ভাষায় গালাগালি কেন করল তার বিচার চাই, তার সাথে তার ডিলার বাতিল করা হোক।
এ বিষয় টাকা চাওয়ার কথা অস্বীকার করে রফিক বিশ্বাস বলেন, এসব কথা বানোয়াট।
এবিষয় ভুক্তভুগি মো:বাদশা আকন বলেন,আমি ডিলার রফিক বিশ্বাস কাছে চাল আনতে গেছিলাম, তখন খাদ্যবন্ধব কর্মসূচির ১৫ টাকা কেজি দরে দেয়া কার্ডের নবায়ন করতে হবে
তখন আমার কাছে ৫ হাজার টাকা চাইছিলো। আমি টাকা দিতে রাজি না হওয়াতে পরবর্তী সময় চাল আনতে গেলে রফিক বিশ্বাস আমাকে অকথ্য ভাষায় গালাগালি করেন, যা ভাষায় প্রকাশ করা যায় না, আমি ওর বাবার বয়সের সমতুল্য হলে ও আমাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। আমি এর ন্যায্য বিচার চাই।
গুলিশাখালী ইউনিয়নের ইউপি চেয়ারম্যান ফারুক আকন বলেন, এ বিষয় আমার কাছে কোন তথ্য জানা নাই। খাদ্য বান্ধব কর্মসূচির ১৫ টাকা কেজি দরে চালের কার্ড করার জন্য কোনো টাকা নেওয়া হয় না।আর কেউ ঘুষ চাইতে পারেবনা।যদি কেউ অভিযোগ করেন তাহলে তদন্ত সাপেক্ষে আমরা উর্ধতন কতৃপক্ষের কাছে আইনি সহাযোগিতা চাইবো।