বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে সিরাজগঞ্জের এনায়েতপুরে কলেজ ছাত্র শিহাব হোসেন (১৯) নিহত হওয়ার ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলায় সিরাজগঞ্জ-৫ (বেলকুচি-চৌহালী) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও বেলকুচি উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আব্দুল মমিন মন্ডল সহ ৩৩ জনের নাম উল্লেখ করে মামলাটি দায়ের করা হয়। এ মামলায় ৫০০ থেকে ৭০০ জনকে অজ্ঞাত করে আসামী করা হয়েছে।
সোমবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে এনায়েতপুর থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য মো: সোলায়মান বাদী হয়ে এনায়েতপুর থানায় মামলাটি দায়ের করেন। এনায়েতপুর থানার মামলা নং ২/২০২৪। মামলা দায়েরের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিরাজগঞ্জের পুলিশ সুপার আরিফুর রহমান মন্ডল বিপিএম।
নিহত শিহাব হোসেন সিরাজগঞ্জ সরকারী কলেজের এইচএসসি পরীক্ষার্থী। সে কমার্সের ছাত্র। তার বাড়ি সিরাজগঞ্জের এনায়েতপুরের মাধবপুর গ্রামে। মামলার আসামীদের মধ্যে আরও রয়েছেন, মন্ডল গ্রুপের এমডি আব্দুল আলীম মন্ডল ও জোবায়ের মন্ডল, এনায়েতপুর থানা আওয়ামীলীগের সভাপতি আহম্মদ মোস্তফা খান বাচ্চু, সিনিয়র সহ সভাপতি রাশেদুল ইসলাম সিরাজ, সাধারন সম্পাদক আজগর আলী বিএসসি, চৌহালী উপজেলার সদিয়া চাঁদপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম জাহিদ, বেলকুচি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার আমিনুল ইসলাম, চৌহালী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি তাজউদ্দিন, চৌহালী উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সম্পাদক বাবুল আক্তার, ও সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুর রহমান চুন্নু তালুকদার, খাষকাউলিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আবু সাঈদ বিদুৎ ও বেলকুচি উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রকি সহ ৩৩ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে।
মামলার অভিযোগ পত্রে উল্লেখ করা হয়েছে, গত ৪ আগষ্ট এনায়েতপুর থানার খাজা ইউনুস আলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সামনে থেকে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র জনতার একটি মিছিল বের হয়। মিছিলটি এনায়েতপুর থানার আল হেরা মার্কেটের সামনে পৌছলে আসামীরা হাতে পিস্তল, ককটেল বিস্ফোরন, লোহার রড, দেশীয় অস্ত্র নিয়ে জয় বাংলার স্লোগান দিয়ে ছাত্র-জনতার মিছিলে হামলা চালায়। এতে বেশ কিছু ছাত্র আহত হয়। গুলিতে আহত হয় কলেজ ছাত্র শিহাব হোসেন। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে এনায়েতপুর খাঁজা ইউনুস আলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহত কলেজ ছাত্র শিহাব হোসেনের পরিবারের অনুমতিক্রমে মামলাটি দায়ের করা হয়েছে বলে অভিযোগ পত্রে উল্লেখ করা হয়েছে।