বুধবার, ১৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ০১:৫৩ পূর্বাহ্ন
আজকের শিরোনাম
মধ্য পালশা একতা যুব সংঘ ক্লাবের উদ্যোগে বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠিত শেরপুরে মহান বিজয় দিবস উদযাপনও জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের বিনম্র শ্রদ্ধা জাল কাগজ ও মিথ্যা মামলায় হয়রানির অভিযোগে লোহাগাড়ায় সংবাদ সম্মেলন জিয়া সাংস্কৃতিক সংগঠন বগুড়া জেলা কমিটির উদ্যোগে বিজয় দিবসে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি জাতীয় মানবাধিকার অ্যাসোসিয়েশন বগুড়া জেলা কমিটির উদ্যোগে বিজয় দিবসে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি ভুরুঙ্গামারী সরকারি কলেজে বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণী সিরাজগঞ্জ ৩ আসনে বিএনপি’র মনোনয়ন পুনঃ বিবেচনার দাবিতে গণমিছিল  আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন: আমাদের দায়িত্ব ও জনগণের প্রত্যাশা – আরমান হোসেন ডলার লন্ডনে গ্রেটার চট্টগ্রাম এসোসিয়েশন, ইউকে’র উদ্যোগে মহান বিজয় দিবস উদযাপিত লালমনিরহাট টিটিসি’র প্রশিক্ষণের পরিবেশ বিনষ্ট করতে উঠেপড়ে লেগেছে গিয়াস উদ্দিন 

তাড়াশে ধান সেদ্ধ ও শুকানোর কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষানীরা

রিপোর্টারের নাম / ১৬৩ বার দেখা হয়েছে
আপডেট: শনিবার, ৩০ নভেম্বর, ২০২৪

শেখ মোঃ করিম বকসো,তাড়াশঃ

সিরাজগঞ্জঃ সিরাজগঞ্জের তাড়াশে তীব্র তাপদাহ ও বৈরী আবহাওয়া উপেক্ষা করে এ বছর আমন ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। অধিকাংশ কৃষক তাদের উৎপাদিত ধান ঘরে তুলে মাড়াইয়ের কাজ শেষ করেছেন। বাকি কিছু ধান বিস্তীর্ণ মাঠে যা আছে তা কয়েকদিনের মধ্যেই মাড়াইয়ের কাজ শেষ হবে।

বর্তমানে উপজেলার একটি পৌরসভা ও আটটি ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে গ্রামে চলছে ধান সেদ্ধ ও শুকানোর উৎসব। গ্রামের প্রতিটি বাড়িতে নারী-পুরুষসহ সবাই ধান শুকাতে ব্যস্ত সময় পার করছেন।

সরেজমিনে উপজেলার সদর ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, ধান মাড়াইয়ের পর গ্রামীণ নারী-পুরুষ ছোট ছোট বস্তা করে সেই ধান পুকুর বা বাড়ির নির্দিষ্ট স্থানে গর্ত করে ধান ভেজাতে দিচ্ছেন। সেই ভেজা ধান ৭/৮ ঘণ্টা পানিতে ভেজার পর বড় পাতিল বা কড়াইয়ে সেদ্ধ করা হয়। আর এ ধান সিদ্ধ হলে বাড়ির উঠনে অথবা ভ্যানে বা সাইকেলে করে শুকানোর জন্য মাঠে নিয়ে যান তারা।

সিদ্ধ ধান মাঠে দেওয়ার আগে বড় আকারের নেট জাল বিছিয়ে নেওয়া হয়। তারপর সেই কাগজে সেদ্ধ ধান বিছিয়ে দিয়ে শুকানো হয়। ধান শুকাতে সময় লাগে ২/১ দিন। ধান শুকানোর পর সেই ধান ছাঁটাই করে কাঙ্ক্ষিত চাল পাওয়া যায়। যা পরবর্তী ইরি ধান আসা পর্যন্ত সেই চালের ভাত খেয়ে থাকেন গ্রামীণ জনপদের মানুষ।

জানতে চাইলে দেশীগ্রাম ইউনিয়নের টারোটিয়া গ্রামের বেবী বেগম বলেন, আমরা ১ বিঘা ধান মাড়াই করার পর সেই ধান সিদ্ধ দিয়ে মাঠে নিয়ে এসেছি। বাসায় ধান শুকানোর তেমন জাগায় নেই, দিনের অল্প সময়ে ছায়া চলে আসে, আকাশের অবস্থা ভালো না। সিদ্ধ ধান ফাঁকা মাঠে নিয়ে এসেছি। এখানে ধান শুকাতে কমবেশি সারা দিনের রোদ পাওয়া যাবে। কোনো প্রকার ঝামেলা নেই।

কৃষক মেহেদী হাসান বলেন, আগে গ্রামের প্রত্যেক বাড়ির উঠানে ধান মাড়াই ও শুকানোর কাজ করত কিন্তু আজ গ্রামের অধিকাংশ বাড়িতে ফাঁকা জায়গার অভাব। সেই কারণে স্কুল মাঠ কিংবা ফসলি মাঠের ফাঁকা জায়গায় ধান শুকানো হচ্ছে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর