সোমবার, ১৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৬:৩৪ অপরাহ্ন
আজকের শিরোনাম
ভুরুঙ্গামারী সরকারি কলেজে বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণী সিরাজগঞ্জ ৩ আসনে বিএনপি’র মনোনয়ন পুনঃ বিবেচনার দাবিতে গণমিছিল  আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন: আমাদের দায়িত্ব ও জনগণের প্রত্যাশা – আরমান হোসেন ডলার লন্ডনে গ্রেটার চট্টগ্রাম এসোসিয়েশন, ইউকে’র উদ্যোগে মহান বিজয় দিবস উদযাপিত লালমনিরহাট টিটিসি’র প্রশিক্ষণের পরিবেশ বিনষ্ট করতে উঠেপড়ে লেগেছে গিয়াস উদ্দিন  ভুরুঙ্গামারীতে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা জাতীয় মানবাধিকার অ্যাসোসিয়েশন বগুড়া জেলা কমিটির উদ্যোগ শ্রমিক ইউনিয়নে ক্রাম বোর্ড প্রদান শেরপুরের ঝিনাইগাতীতে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালিত ! কামরুজ্জামানের উদ্যোগে ধর্মপাশায় বেগম খালেদা জিয়ার আরোগ্য কামনায় দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত ডোমার শিক্ষক-কর্মচারী কো-অপারেটিভ ক্রেডিট ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নির্বাচিত মোঃ আলমগীর আলম

১৫ বছর পর নিখোঁজ ব্যাক্তির নামে ওয়ারিশ নাম জারি,জমা ভাগ গ্রহন

স্টাফ রিপোর্টার / ৭৪ বার দেখা হয়েছে
আপডেট: শনিবার, ৩০ নভেম্বর, ২০২৪

স্টাফ রিপোর্টার

গাজীপুরের কালীগঞ্জে নিখোঁজের ১৫ বছর পর ওয়ারিশ আবেদনে স্বাক্ষর দিয়ে সেনপাড়া মৌজায় ৮৩. ৩২ শতক জমি নামজারি ও জমা ভাগ গ্রহন করেছে একটি প্রতারক দল।

 

ওয়ারিশ সনদে আবির্ভাব হয়ে স্বাক্ষর দেখিয়ে প্রতারনার ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার নাগরী ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে।

 

অভিযোগে জানা যায়, ২০০৯ সালে নাগরী ইউনিয়নের সেনপাড়া গ্রামের মৃত মোতালিব মিয়ার ছেলে আফাজ উদ্দিন নিখোঁজ হয়।

 

এ বিষয়ে গত ৩ ডিসেম্বর ২০০৯ তারিখে কালীগঞ্জ থানায় একটি নিখোঁজ জিডি দায়ের করেন তারই ছোট ভাই সাদেক মিয়। যার নং- ৭৯/০৯ ইং এবং নাগরী ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যন সিরাজ মিয়া বিগত ২৪ মে ২০১২ তারিখে নিখোঁজ ব্যাক্তির নামে একটি প্রত্যয়ন পত্র প্রদান করেন।

জানা যায়, নাগরী ইউনিয়ন পরিষদে গত ২১ আগস্ট ২০২৪ ইং ওয়ারিশ সনদের আবেদন করার পর ২৮ আগস্ট ২৪/২৫ অর্থ বছর তারিখে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে ৭,৮,৯ নং ওয়ার্ডের সংরক্ষিত আসনের সদস্য রোকসানা বেগমের স্বাক্ষরে ওয়ারিশ সনদ প্রদান করেন ওলিউল ইসলাম অলি চেয়ারম্যান।

এ বিষয়ে গাজীপুর অতিরিক্ত বিজ্ঞ জেলা ম্যাজিষ্ট্রেড আদালতে একটি পিটিশন মোকদ্দমা দায়ের করেন। যার
নং-৭৬/২০১২ ইং। পরে বিজ্ঞ সিনিয়র চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালত (৩) এ একটি সিআর মোকদ্দমা দায়ের করেন যার নং ১৬৫/২০১৮ ইং।

এমতাবস্থায় খোজ নিয়ে ওযারিশ আবেদনে দেখা যায় যে, নিখোজ ব্যাক্তির স্বাক্খর রয়েছে।

নিখোজ এর ভাই সাদেক বলেন, নাগরী ইউনিয়ন পরিষদ নিখোঁজ ব্যাক্তির প্রত্যয়ন পত্র দেয়ার পর কিভাবে ওয়ারিশ সনদ প্রদান করা হয়? তা জানতে পরিষদে গেলা কোন তথ্য দিতে অপারগতা জানায়।

পরে নামজারি ও জমাভাগ আবেদন পত্রে নিখোজ ব্যাক্তির নাম জাল সাক্খর করেন আনোয়ার হোসেন হাতেম নিজেই। এর ফলে বাদী পক্ষ আর্থিক ভাবে বিরাট ধরনের ক্ষতি সাধিত হয়।

নাগরী ইউনিয়নের ৭,৮,৯ নং ওয়ার্ডের সংরক্ষিত আসনের সংসদ্য স্বাক্ষরের ফলে মূল প্রতারক সেনপাড়া গ্রামের মৃত জহির উদ্দিনের ছেলে আনোয়ার হোসেন নিখোঁজ ব্যাক্তির জাল ( হাতেম) স্বাক্ষর করেন এবং নিজেই ওয়ারিশ সনদে সাক্ষী প্রদান করেন। এতে সাক্ষী হিসেবে সেন পাড়া গ্রামের মৃত: ছবদর আলীর ছেলে মো: কবির সাক্ষার করেন।

এ বিষয়ে ইউপি সদস্য রোকসানা আক্তার জানান, এ বিষয়ে আমি কোন স্বাক্ষর করি নাই। তবে আবেদনে স্পষ্ট স্বাক্ষর মিল রয়েছ।

অভিযুক্ত আনোয়ার হোসেনকে জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন, এ বিষয়ে আমি কিছুই জানিনা।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর