বৃহস্পতিবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৬:০৯ অপরাহ্ন
আজকের শিরোনাম
সুনামগঞ্জের জয়নগর এলাকায় সুরমা নদীতে পুলিশের অভিযানে ভারতীয় অবৈধ ৩১টি গরু এবং নৌকসহ ২জন আটক স্কটল্যান্ডে বাংলাদেশের কনসাল জেনারেল ড. ওয়ালী তসর উদ্দিন এমবিই হাউস অব লর্ডসে বিশেষ সম্মাননায় ভূষিত কর্ণফুলীতে সন্ত্রাস বিরোধী আইনে যুবলীগ নেতা মোহাম্মদ সালাউদ্দিন গ্রেফতার শেরপুরে অবৈধ ইটভাটায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান: ১৪ লাখ টাকা জরিমানা সুনামগঞ্জ সদর উপজেলায় টি আর ও কাবিখা প্রকল্পে ১৩৫টি উন্নয়ন কাজ বাস্তবায়ন শেরপুরে ব্র্যাকের একসেলারেটেড এডুকেশন মডেল বাস্তবায়নে অভিজ্ঞতা বিনিময় সভা অনুষ্ঠিত নাটোরের হয়বতপুরে এক গার্মেন্টস শ্রমিকের স্বপ্নভঙ্গ—প্রভাবশালী প্রতারকের ফাঁদে নিঃস্ব মাসুদ রানা পরিবার মধ্য পালশা একতা যুব সংঘ ক্লাবের উদ্যোগে বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠিত শেরপুরে মহান বিজয় দিবস উদযাপনও জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের বিনম্র শ্রদ্ধা জাল কাগজ ও মিথ্যা মামলায় হয়রানির অভিযোগে লোহাগাড়ায় সংবাদ সম্মেলন

তাড়াশে হারিয়ে যাচ্ছে গ্রাম বাংলার ঐতিহ্য নবান্ন উৎসব

রিপোর্টারের নাম / ৪৫ বার দেখা হয়েছে
আপডেট: রবিবার, ৮ ডিসেম্বর, ২০২৪

 তাড়াশ প্রতিনিধিঃ

সিরাজগঞ্জঃ শিশির ভেজা প্রকৃতি জানান দিচ্ছে হেমন্ত পেরিয়ে শীত আসছে। মাঠে মাঠে সোনালী ধানের সমারোহ, বাতাসে দোল খাচ্ছে কৃষকের স্বপ্ন। শুরু হয়েছে সোনালী ধান কাটা, আবার কেউবা ঘরে তুলছেন আগাম ধান। তবুও নেই গ্রামীণ সংস্কৃতির নবান্ন উৎসবের আমেজ। গ্রামবাংলা থেকে হারিয়ে যাচ্ছে বাঙালি জাতির হাজার বছরের পুরনো ঐতিহ্যবাহী নবান্ন উৎসব। অতীতে নবান্নে সোনালী ধান কাটার উৎসবে মুখরিত হতো গ্রামের প্রতিটি আঙিনা। কিন্তু গ্রামীণ জনজীবনে যেন এই চিত্র এখন শুধুই স্মৃতি।
সিরাজগঞ্জ জেলার তাড়াশ উপজেলার ১টি পৌরসভা ও ৮টি ইউনিয়ন এ সোনালী ফসল ঘরে তুলতে শুরু করেছেন আমন চাষীরা। প্রতিবছর হেমন্ত ঋতুতে নতুন বার্তা নিয়ে আসে আমন ধান। মাঠে মাঠে ছড়াচ্ছে নতুন ধানের গন্ধ। কৃষকের উৎপাদিত সোনালী ধানের সোনালী দিন চলছে। কিন্তু আমেজ নেই নবান্নের। একটা সময় এই উৎসবকে ঘিরে বাঙালির ঘরে ঘরে আত্মীয়তার বন্ধন তৈরি হতো। কিন্তু বর্তমানে গ্রামবাংলার শিশুরা বইপুস্তক কিংবা গল্পেই শুনে থাকে নবান্নের কথা। একসময় অগ্রহায়ণ মাস এলেই পাকা ধানের মৌ মৌ গন্ধে গ্রামবাংলায় জানান দিত নবান্নের কথা। তবে এখন আর তেমন উৎসব চোখে পড়ে না গ্রামীণ জনপদে।
নবান্ন উৎসবে সকলের ঘরে ঘরে নতুন আমন ধানের চালের বাহারি পিঠা,ফিরনি-পায়েস,ক্ষীরসহ নানা আয়োজন দেখা যেত এবং আত্মীয়স্বজন,পাড়া-প্রতিবেশীকে বাড়িতে ডেকে বসিয়ে খাওয়ানো হতো।
তাড়াশ উপজেলার পৌষার আদিবাসি উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক শ্যাম সুন্দর বলেন, দাদা-দাদির কাছে নবান্ন উৎসবের কথা শুনেছি। আগে অনেক ভালো হতো। নবান্নের দিনে একে অপরের বাসায় খেতে যেত। কিন্তু বর্তমানে আমাদের গ্রামে সেটা আর দেখি না। নিজেরাই নিজের মতো এখন নবান্ন উৎসব পালন করে।
তাড়াশ জে,আই কারিগরি কলেজের অধ্যক্ষ মোঃ সোলাইমান হোসেন কবির বলেন, হেমন্তের ধান কাটা শুরু হলেই আমার মনে ভেসে ওঠে নবান্ন উৎসবের আমেজ। কিন্তু বর্তমানে সেটা আর গ্রাম বাংলায় দেখা যায় না। আমরা ছোটবেলায় দল বেঁধে একে অপরের বাসায় খেতাম এবং নবান্ন উৎসবকে নতুনভাবেই বরণ করে নিতাম। কিন্তু এখনকার ছেলে-মেয়েরা শুধু নামেই জানে নবান্ন উৎসব। আগের মতো তারা আর নবান্ন উৎসব করতে পারে না।
কৃষকদের অনেকেই বলছেন,অভাবে স্বভাব নষ্ট, কুল নষ্ট ভজনে। আগে জিনিসপত্রের দাম কম ছিল, নবান্ন উৎসব করা সম্ভব হতো। এখন সবকিছুর দাম বেড়ে যাওয়ায় আর করা সম্ভব হয় না। একারণে গ্রামবাংলার ঐতিহ্যবাহী নবান্ন উৎসব হারিয়ে যেতে বসেছে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর