বুধবার, ১৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ০২:৩৬ পূর্বাহ্ন
আজকের শিরোনাম
মধ্য পালশা একতা যুব সংঘ ক্লাবের উদ্যোগে বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠিত শেরপুরে মহান বিজয় দিবস উদযাপনও জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের বিনম্র শ্রদ্ধা জাল কাগজ ও মিথ্যা মামলায় হয়রানির অভিযোগে লোহাগাড়ায় সংবাদ সম্মেলন জিয়া সাংস্কৃতিক সংগঠন বগুড়া জেলা কমিটির উদ্যোগে বিজয় দিবসে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি জাতীয় মানবাধিকার অ্যাসোসিয়েশন বগুড়া জেলা কমিটির উদ্যোগে বিজয় দিবসে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি ভুরুঙ্গামারী সরকারি কলেজে বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণী সিরাজগঞ্জ ৩ আসনে বিএনপি’র মনোনয়ন পুনঃ বিবেচনার দাবিতে গণমিছিল  আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন: আমাদের দায়িত্ব ও জনগণের প্রত্যাশা – আরমান হোসেন ডলার লন্ডনে গ্রেটার চট্টগ্রাম এসোসিয়েশন, ইউকে’র উদ্যোগে মহান বিজয় দিবস উদযাপিত লালমনিরহাট টিটিসি’র প্রশিক্ষণের পরিবেশ বিনষ্ট করতে উঠেপড়ে লেগেছে গিয়াস উদ্দিন 

প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে ফিলিপাইনের সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় খেতাবে ভূষিত হয়েছেন শেখ অলিউর রহমান ওবিই

রিপোর্টারের নাম / ৯৬ বার দেখা হয়েছে
আপডেট: রবিবার, ৯ মার্চ, ২০২৫

শহিদুল ইসলাম, বিশেষ প্রতিবেদক।

ফিলিপাইনের সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় খেতাব ‘নাইটহুড’ ও সিনো ফিল এশিয়া আন্তর্জাতিক শান্তি পুরস্কার পিস অ্যাওয়ার্ডে ভূষিত হয়েছেন যুক্তরাজ্য প্রবাসী বাংলাদেশি শেখ অলিউর রহমান ওবিই। এ বছর ফিলিপাইনের সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় খেতাব ‘নাইটহুড’ ও আন্তর্জাতিক পুরস্কার পিস অ্যাওয়ার্ড, দুটো একসঙ্গে জিতে নিয়েছেন যুক্তরাজ্য প্রবাসী বাংলাদেশি শেখ অলিউর রহমান ওবিই, যা বিশ্বে এক অনন্য রেকর্ড।

অতীতে ফিলিপাইনের সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় খেতাব নাইটহুড বা নাইট অব রিজাল প্রাপ্তদের মধ্যে আছেন হেনরি কিসিঞ্জার, স্পেনের রাজা ডন জুয়ান কার্লোস এবং মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিম, ক্রোয়েশিয়ার প্রেসিডেন্ট এইচ.ই. মেসিকের মতো বিশিষ্ট ব্যক্তিরা। তার সঙ্গে এখন যুক্ত হলো শেখ অলিউর রহমান ওবিই নাম, যা বাংলাদেশি হিসেবে প্রথম।

শেখ অলিউর রহমান ওবিই লন্ডন টি এক্সচেঞ্জের গ্রুপ চেয়ারম্যান, যা ইউরোপের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় বিলাসবহুল চা কোম্পানি। তবে আলিউর নিজেকে কেবল ব্যবসার মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখেননি। বরং টেকসই ব্যবসার মধ্য দিয়ে শ্রমিকদের কল্যাণ নিশ্চিত করতে প্রতিষ্ঠিত করেন গ্লোবাল ফেয়ার পে চার্টার বা ন্যায্য মজুরির সনদ। সনদটি ২০২৩ সালের শুরুতে জাতিসংঘের কাছে পেশ করা হয়। গতবছর ২২ মে লন্ডনের ম্যানশন হাউসে জাতিসংঘ ও কমনওয়েলথ সনদটিতে সই করে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃতি দেয় । শ্রমিক কল্যাণ এবং টেকসই ব্যবসার জন্য সনদের প্রতিটি শর্তকে সমর্থন দিয়ে তাতে সই করেন লন্ডনের মেয়রসহ প্রভাবশালী নেতারা।

মূলত এর পরপরই ছড়িয়ে পড়ে শেখ অলিউর রহমান ওবিই ন্যায্য মজুরির সনদ। ২০২৪ সালের মে মাস থেকে শেখ আলীউরের নেতৃত্বে এখন পর্যন্ত ১৪টি দেশ শ্রমিকদের বেতন বাড়াতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হয়েছে। ৫০ লাখের বেশি মানুষ ইতিমধ্যেই আলিউরের ন্যায্য মজুরির সনদ থেকে উপকৃত হয়েছে।

এত অল্প সময়ে শ্রমিকদের কল্যাণে যুগান্তকারী ভূমিকা রাখায় ফিলিপাইন সরকার তার দেশের সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় খেতাবের জন্য এবছর শেখ অলিউর রহমান ওবিইকে মনোনীত করেছে।
নাইটহুড বা নাইট অব রিজালের এই মর্যাদাপূর্ণ স্বীকৃতি (৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, রবিবার) ম্যানিলায় শেখ অলিউর রহমান ওবিই হাতে আনুষ্ঠানিকভাবে তুলে দেয়া হয়।

এর ঠিক দুদিন আগে, শুক্রবার (৭ ফেব্রুয়ারি) শেখ আলিউর রহমান সিনো ফিল এশিয়া আন্তর্জাতিক শান্তি পুরস্কার বা ইন্টারন্যাশনাল পিস অ্যাওয়ার্ড গ্রহণ করেন।
শেখ অলিউর রহমান ওবিই বিশ্বব্যাপী ন্যায্য বেতন সমর্থন ও বাস্তবায়নে তার অবদানের জন্য এই পিস এওয়ার্ড পাবেন, যা তিনি দ্বিতীয় বাংলাদেশি হিসাবে পুরস্কারটি পান।

ফিলিপাইনের ম্যানিলায় প্রতিষ্ঠিত, সিনো ফিল এশিয়া ইন্টারন্যাশনাল পিস অ্যাওয়ার্ডস ফাউন্ডেশন বিশ্বজুড়ে পেশাদার, শিক্ষাবিদ, শিল্পী, সাংবাদিক, নীতিনির্ধারক সহ শান্তির নেতাদের সম্মানজনক এই পুরস্কার দিয়ে থাকে, যা এশিয়ার নোবেল বলে পরিচিত। এর আগে, ব্রিটেনে রাজা তৃতীয় চার্লসের প্রথম নববর্ষের সম্মানের তালিকায় শেখ অলিউর রহমান ওবিইকে ‘চা শিল্প এবং যুবকদের প্রতি সেবা’র জন্য ওবিই (অর্ডার অফ দ্য ব্রিটিশ এম্পায়ার) প্রদান করা হয়।

শেখ অলিউর রহমান ওবিই সিলেটের কৃতি সন্তান। সিলেট থেকেই মূলত চা শিল্পের প্রতি তার এমন ভালোবাসা। সেই ভালোবাসা কেবল চা নিয়ে ব্যবসার করার জন্য নয়, বরং তিনি সবসময় চেয়েছেন এই শিল্পের সঙ্গে জড়িত শ্রমিকদের কল্যাণ নিশ্চিত করা। তার এই ভাবনা থেকে গ্লোবাল ফেয়ার পে চার্টারের সৃষ্টি। জাতিসংঘের সহায়তাপুষ্ট মডেল চা বাগান বাংলাদেশে প্রতিষ্ঠা করার জন্য কাজ করে যাচ্ছেন শেখ অলিউর রহমান ওবিই।

এই মডেলের চা বাগান সারা বিশ্বকে দেখাবে কিভাবে টেকসই ব্যবসা দিয়ে শ্রমিকদের কল্যাণ নিশ্চিত করা যায়। শেখ অলিউর রহমান ওবিই মনে করেন। এই মডেলের চা বাগান বাংলাদেশে প্রতিষ্ঠিত হলে মুখ থুবড়ে পড়া এখানকার চা শিল্প দারুনভাবে ঘুরে দাঁড়াতে পারবে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর