মঙ্গলবার, ১৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৬:০১ অপরাহ্ন
আজকের শিরোনাম
শেরপুরে মহান বিজয় দিবস উদযাপনও জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের বিনম্র শ্রদ্ধা জাল কাগজ ও মিথ্যা মামলায় হয়রানির অভিযোগে লোহাগাড়ায় সংবাদ সম্মেলন জিয়া সাংস্কৃতিক সংগঠন বগুড়া জেলা কমিটির উদ্যোগে বিজয় দিবসে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি জাতীয় মানবাধিকার অ্যাসোসিয়েশন বগুড়া জেলা কমিটির উদ্যোগে বিজয় দিবসে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি ভুরুঙ্গামারী সরকারি কলেজে বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণী সিরাজগঞ্জ ৩ আসনে বিএনপি’র মনোনয়ন পুনঃ বিবেচনার দাবিতে গণমিছিল  আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন: আমাদের দায়িত্ব ও জনগণের প্রত্যাশা – আরমান হোসেন ডলার লন্ডনে গ্রেটার চট্টগ্রাম এসোসিয়েশন, ইউকে’র উদ্যোগে মহান বিজয় দিবস উদযাপিত লালমনিরহাট টিটিসি’র প্রশিক্ষণের পরিবেশ বিনষ্ট করতে উঠেপড়ে লেগেছে গিয়াস উদ্দিন  ভুরুঙ্গামারীতে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা

কৃষি প্রণোদনা দিতে অস্বীকার করায় নকলা কৃষি কর্মকর্তাকে থাপ্পড় মারার অভিযোগে ছাত্রদল নেতার বিরুদ্ধে মামলা

মিজানুর রহমান, শেরপুর জেলা প্রতিনিধি: / ১৯ বার দেখা হয়েছে
আপডেট: বৃহস্পতিবার, ৬ নভেম্বর, ২০২৫

মিজানুর রহমান, শেরপুর জেলা প্রতিনিধি:

শেরপুরের নকলা উপজেলায় সরকারি কৃষি প্রণোদনা দিতে অস্বীকার উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শাহারিয়ার মুরসালিনকে থাপ্পড় দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে উপজেলা ছাত্রদলের সদস্য সচিব রাহাত হাসান কাইয়ুম (৩৫) ও তার সহযোগী ফজলুর (৩২) বিরুদ্ধে। 

ঘটনাটি ঘটেছে নকলা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার অফিসে। 

পরে রাতেই নকলা থানায় একটি নিয়মিত মামলা ( মামলা নং ৫ ) দায়ের করেছেন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা।

মামলায় ছাত্রদল নেতা রাহাত হাসান কাইয়ুম ও ফজলুকে আসামি করা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

অভিযুক্ত রাহাত হাসান কাইয়ুম নকলা পৌরসভার ধুকুরিয়া গ্রামের সুরুজ মোওলার ছেলে এবং ফজলু একই গ্রামের সিরাজুল হকের ছেলে।

 

নকলা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শাহারিয়ার মোরসালিন বলেন,( ৫ নভেম্বর ) বিকেল আড়াইটার দিকে রাহাত ও ফজলু আমার অফিসে এসে জানতে চান আমি এখনো কেন বদলি হচ্ছি না। কারা কৃষি প্রণোদনা পেয়েছে এবং নেতাদের ভাগ কত। এরপর তারা বলেন, ছাত্রদলের ভাগ তাদের দিতে হবে। আমি জানাই, সরকারি প্রণোদনা প্রকৃত কৃষকদের জন্য। রাজনৈতিকভাবে কারও ভাগ দেয়ার সুযোগ নেই। এতেই তারা ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে এবং অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকেন।

 

কৃষি অফিসার শাহরিয়ার মোরসালিন মেহেদী বলেন, আমি বিষয়টি স্থানীয় বিএনপির সদ্য বিলুপ্ত কমিটির সভাপতি খোরশেদ আলমকে জানাই। পরে রাহাত আরও ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে এবং সহকারী ফজলুকে নিয়ে আমাকে অফিসের ভেতরেই মারধর করেন। পরে আমি চিৎকার করলে তারা দ্রুত পালিয়ে যান।

বিলুপ্ত কমিটির সভাপতি খোরশেদ আলম বলেন, রাহাত উপজেলা ছাত্রদলের সদস্য সচিব। কৃষি কর্মকর্তা আমাকে ফোনে বিষয়টি জানান। আমি রাহাতের জেঠাত ভাই যুবদল নেতা লুটাসকে বিষয়টি বললে, তিনি রাহাতকে ফোনে ধমক দেন। তারপরও সে এমন কাণ্ড ঘটিয়েছেন।

 

নকলা থানার ( ওসি তদন্ত ) প্রতিনিধিকে বলেন, কৃষি কর্মকর্তাকে মারধরের ঘটনায় একটি নিয়মিত মামলা হয়েছে। ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেছে। আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর