শহিদুল ইসলাম, প্রতিবেদক, সিলেট।
বাংলাদেশের ৫৫তম বিজয় দিবস উপলক্ষে ১৬ ডিসেম্বর ২০২৫, মঙ্গলবার লন্ডনের হাউস অব লর্ডস-এর কমিটি রুম–১ এ। এই অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের বিজয় দিবস উদযাপনের পাশাপাশি বিশিষ্ট ব্যবসায়ী, সমাজসেবক, কমিউনিটি লিডার এবং স্কটল্যান্ডে বাংলাদেশের সম্মানসূচক কনসাল জেনারেল ড. ওয়ালী তসর উদ্দিন এমবিই, ডিবিএ, ডি.লিট-এর অসামান্য অবদানকে বিশেষভাবে সম্মাননা জানানো হয়।

অনুষ্ঠানটির আয়োজন করে নর্থ্যাম্পটন ব্রিটিশ বাংলাদেশি বিজনেস চেম্বার। এতে যুক্তরাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে হাউস অব লর্ডসের সদস্য, সংসদ সদস্য, কাউন্সিলর, ব্যবসায়ী নেতা, পেশাজীবী এবং কমিউনিটি প্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করেন, স্কটল্যান্ড থেকে প্রতিনিধিত্ব করেন আগামী স্কটিস পার্লাম্যান্ট নির্বাচনে আলবা পার্টি স্কটল্যান্ডের সম্ভাব্য এম পি পদপ্রার্থী আবু মিরন বিশিষ্ট ব্যবসায়ী এম ডি মতিন ও আব্দুল মতলিব চৌধুরী।

অনুষ্ঠানটি আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করেন নর্থ্যাম্পটন ব্রিটিশ বাংলাদেশি বিজনেস চেম্বারের সেক্রেটারি মোহাম্মদ মুজিবুর রহমান। এরপর পরিবেশিত হয় বাংলাদেশের জাতীয় সংগীত এবং ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন লর্ড রামি রেঞ্জার, হাউস অব লর্ডসের সদস্য। উদ্বোধনী বক্তব্য রাখেন কাউন্সিলর নাজ ইসলাম, নর্থ্যাম্পটন টাউন কাউন্সিল ও ব্রিটিশ বাংলাদেশি বিজনেস চেম্বারের প্রেসিডেন্ট।

অনুষ্ঠানে জাতীয় ও কমিউনিটি পর্যায়ের বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ বক্তব্য রাখেন। তাঁদের মধ্যে ছিলেন মুজাহিদ খান এমবিই ডিএল, ব্যারোনেস পোলা উদ্দিন, মাইক রিডার এমপি, আপসানা বেগম এমপি, মিসেস রুহালি উদ্দিন কাউন্সিলর ওহিদ আহমেদ, কাউন্সিলর রীতা বেগম, প্রফেসর ড. সানাওয়ার চৌধুরী, অলি খান এমবিই, মিতু চৌধুরী, টিপু রহমান, রফিক হায়দার, শাহাগীর বখত ফারুক, প্রফেসর ড. রইস আলী, কামাল ইয়াকুব, ড. মিশবাউর রহমান এবং সালিম শরীফ। বক্তারা বিজয় দিবসের ঐতিহাসিক তাৎপর্য তুলে ধরেন এবং ব্যবসা, দাতব্য কার্যক্রম ও কমিউনিটি নেতৃত্বে ড. উদ্দিনের দীর্ঘদিনের অবদানের প্রশংসা করেন।

অনুষ্ঠানের প্রধান আকর্ষণ ছিল ড. ওয়ালী তসর উদ্দিন এমবিই-এর মূল বক্তব্য। তিনি ১৯৭১ সালের শহীদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন এবং ঐক্য, সেবা ও যুক্তরাজ্য ও বাংলাদেশের মধ্যকার সম্পর্ক আরও জোরদার করার বিষয়ে গুরুত্বারোপ করেন। অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘটে সলিসিটার সাদিক চৌধুরী এলএল.এম-এর ধন্যবাদ জ্ঞাপনের মাধ্যমে। পরিশেষে মোহাম্মদ মুজিবুর রহমান কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। সার্বিকভাবে, এই অনুষ্ঠানটি বাংলাদেশের বিজয় দিবস উদযাপন এবং একজন ব্যতিক্রমী কমিউনিটি নেতাকে সম্মান জানানোর এক স্মরণীয় ও তাৎপর্যপূর্ণ আয়োজন হিসেবে সমাপ্ত হয়।
