সোমবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ১২:০১ পূর্বাহ্ন
আজকের শিরোনাম
তাহিরপুরে আ,লীগের দূষর হিসাবে পরিচিত রুকন আইনশৃঙ্খলা মিটিংয়ে,সর্বমহলে ক্ষোভ বিজিবি হামলার মামলার আসামীরাই সক্রিয় বিজিবি হামলার পরও অধরা আসামীরা, বারেক টিলা দিয়ে কোটি টাকার চোরাচালান। শেরপুরে দোকান থেকে টিসিবি পণ্য জব্দ, গ্রেফতার ২ বিশ্বম্ভরপুরে অবৈধ বালু উত্তোলনের বিরুদ্ধে কঠোর প্রশাসনিক অভিযান ৩টি ট্রলি জব্দ, এক লক্ষ টাকা জরিমানা। গোদাগাড়ীর প্রেমতলি শ্রী পাট খেতুরী ধাম ট্রাস্ট্রে সুজন পালের বিরুদ্ধে হুমকি, দখলচেষ্টা ও মিথ্যা মামলার অভিযোগ কমিউনিটি লিডার হিসেবে রাষ্ট্রীয় “প্রবাসী সম্মাননা ২০২৫” পেলেন স্কটল্যান্ডে বাংলাদেশের অনারারি কনসাল ড. ওয়ালী তছর উদ্দিন এমবিই,জেপি কমিউনিটি লিডার হিসেবে রাষ্ট্রীয় “প্রবাসী সম্মাননা ২০২৫” পেলেন কাউন্সিলর মোহাম্মদ আয়াছ মিয়া সুদীর্ঘ ১৭ বছর পরে দেশে তারেক রহমান: বিদেশি সংবাদ মাধ্যমের শিরোনামে বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ প্রধানমন্ত্রী ডেইলি স্টার,প্রথম আলো অফিসে হামলার প্রতিবাদে তাহিরপুরে সাংবাদিকদের মানববন্ধন বাঘায় সাংবাদিকদের সঙ্গে জামায়াত প্রার্থীর মতবিনিময়

বিজিবি হামলার মামলার আসামীরাই সক্রিয় বিজিবি হামলার পরও অধরা আসামীরা, বারেক টিলা দিয়ে কোটি টাকার চোরাচালান।

আমির হোসেন স্টাফ রিপোর্টার / ৩ বার দেখা হয়েছে
আপডেট: রবিবার, ২৮ ডিসেম্বর, ২০২৫

আমির হোসেন স্টাফ রিপোর্টার

সুনামগঞ্জের তাহিরপুরের পর্যটন স্পট বারেক টিলা এখন চোরাচালানের নিরাপদ রুট হিসেবে ব্যবহার করছে বিজিবি উপর হামলার মামলার আসামীরা। তারা ছাড়া ৫ আগষ্টের পর থেকে আরও একটি সংঘবদ্ধ চোরাচালান চক্র একাধিক মামলার আসামী সিন্ডিকেট করে বিজিবির সদস্য,পুলিশ,সংবাদ কর্মীদের ম্যানেজ করেই তাদের অপকর্ম করে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। শুল্ক ফাঁকি দিয়ে পণ্য আনা নেয়া করায় সরকার রাজস্ব বঞ্চিত হচ্ছে।
জানাগেছে,চলতি বছরের গত (১৯ এপ্রিল) লাউরগড় সীমান্তে বিজিবি টহল দলের হাত থেকে চোরাচালানের মাধ্যমে নিয়ে আসা আটক ১২ বস্তা ভারতীয় ফুচকা ছিনিয়ে নেওয়ার পর বিজিবি সদস্যদের ওপর হামলা ও করা হয়। এ সময় অভিযানে থাকা বিজিবি সদস্যদের অস্ত্র, চোরাচালানের ফুচকা ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা করে চোরাকারবারিরা। পরে এ ঘটনায় বিজিবি তাহিরপুরের লাউরগড় বিওপির হাবিলদার আব্দুল আলীম বাদী হয়ে ২০/২৫ জনকে আসামি করে একটি মামলাটি করেন।
একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র জানায়, টহলে আসা বিজিবি সদস্যদের ম্যানেজ করতে রারেকেরটিলার উপর আনন্দ নগর গ্রামের বিজিবির সোর্স পরিচয়ধারী নিতুল মারাক ও তার স্ত্রীর সঙ্গে কন্টাক্ট করে চোরাকারবারিরা। পরে তারা টহলকারী বিজিবি সদস্যদের সঙ্গে আলাপ করে চোরাই লাইন ক্লিয়ার করে। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে রাত ১০টা থেক ভোররাত পর্যন্ত ওইসব পয়েন্ট দিয়ে চোরাচালানের মাধ্যমে ভারত থেকে বাংলাদেশে নিয়ে আসে কম্বল,কমলা, চিনি ও ফুচকা, নাছির উদ্দীন বিড়ি, কসমেটিকস, গরু ও মাদকদ্রব্যসহ ভারতীয় বিভিন্ন পণ্য। এসব অবৈধ পণ্য নিয়ে আসার পরটিলার উপর বিভিন্ন বাড়িতে প্রথমে মজুদ রাখা হয়। পরে ভোররাতে অটোরিকশা বুঝাই করে নিয়ে যাওয়া হয় বাদাঘাট বাজারে। এর পর সুযোগ বুঝে চোরাকারবারিরা নৌকা ও ট্রাক বোঝাই করে দেশের বিভিন্ন স্থানে পাচার করে।
সূত্র জানায়,চোরাকারবারের সঙ্গে জড়িত রয়েছে, মাহারামটিলা গ্রামের সিরাজ মিয়ার ছেলে শফিকুল ইসলাম বুটকুন (৪০), তোতা মিয়া (৩৮), বড়গোফটিলা গ্রামের আব্দুল জলিলের ছেলে সাইকুল মিয়া (৩২), মিলন মিয়া (২৮), একই গ্রামের আব্দুর রহমানের ছেলে সোলায়মান (২৭), জসিম উদ্দিনের ছেলে ফরিদ মিয়া (৩৮), আব্দুল হেকিমের ছেলে সাদ্দাম মিয়া (৩৫), মারামটিলার হাবি রহমানের ছেলে কাজল মিয়া (৪০) ও পশ্চিমটিলার লিটন মিয়া (৩০) সহ ১৫-১৬ জনের একটি প্রভাবশালী চোরাকারবারি সিন্ডিকেট চক্র।
গডফাদাররা ধরাছোঁয়ার বাইরে থেকে দিন মজুর শ্রেনীর লোকজন দিয়ে অবৈধ কাজ কারবার চালাচ্ছে।
জানা গেছে,প্রতিদিন দিনে ও রাতে সুযোগ বুঝে চোরাচালানের সঙ্গে যুক্ত ঐসব লোকজন বিভিন্ন পণ্য সীমান্তে এপার-ওপার করছে। সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর অভিযানে প্রতিদিনই বিভিন্ন সীমান্তে চোরাচালানের পণ্য আটক হলেও থেমে নেই চোরাকারবারীদের অপতৎপরতা।
একটি সংঘবদ্ধ চোরাচালান চক্র একাধিক মামলার আসামী সিন্ডিকেট করে কিছু অসাধু বিজিবির সদস্য, পুলিশ ও সংবাদ কর্মীদের ম্যানেজ করেই তাদের অপকর্ম করে যাচ্ছে । বিগত সরকারের সময়ে সীমান্তের চোরাচালান অনেকটাই ওপেন সিক্রেট হলেও পট পরিবর্তন এবং বর্তমান বিজিবির অধিনায়কের শক্ত ভূমিকার কারণে এখন সীমান্তের চোরাচালান তুলনামূলক কম। সীমান্ত রক্ষীবাহিনী বিজিবিসহ বিভিন্ন আইনকৃঙ্খলা বাহিনী প্রতিদিনই ভারত থেকে চোরাই পথে নিয়ে আসা বিভিন্ন ভারতীয় পণ্য আটক করলেও চোরাচালানের সঙ্গে জড়িত মূল গডফাদাররা বরাবরই থেকে যায় অধরা।
বারেকটিলার বাসিন্দাগন নাম প্রকাশে না করার সর্তে জানান, চাঁনপুর সীমান্তের বারেকটিলা, আনন্দনগর ও রাজাই এলাকা দিয়ে প্রতিদিন প্রায় লক্ষ লক্ষ টাকার চিনি, ফুচকা, নাসির উদ্দিন বিড়ি, গাঁজা, ইয়াবা ও মদ পাচার করে আসছে ১৫-১৬ জনের একটি চোরাকারবারী গ্রুপ। আবার বাংলাদেশ থেকে রসুন, মাছ প্লাস্টিক সামগ্রী ভারতে পাচার করছে। আরও জানায়, চাঁনপুর সীমান্তের বারেকেরটিলার মেইন পিলার ১২০৩ এর ৩ এস, ২ এস, ভারতের ৮ নং গেইট বাংলা পিলার নং ১১ এক্স, ভারতের ৭ নং গেইট, বাংলা ৮ এক্স ও মাঝেরটিলার ৬, ৫ ও ৪ এক্স গেইট এলাকা দিয়ে ভারতীয় চিনি ও ফুচকা, নাছির উদ্দীন বিড়ি কসমেটিকস, গরু ও মাদকদ্রব্যসহ ভারতীয় বিভিন্ন পণ্য ওপেন চোরাচালান হয়। সে আরও জানায়, পিলার ১২০৩ এর ৩ এস, ২ এস, ভারতের ৮ নং গেইট বাংলা পিলার নং ১১ এক্স, ভারতের ৭ নং গেইট, বাংলা ৮ এক্স ও মাঝেরটিলার ৬, ৫ ও ৪ এক্স গেইট এলাকায় চোরাচালানের জন্য নিরাপদ। কিছু অসাধু বিজিবির সদস্য ও সোর্স চোরাকারবারীদের সহযোগিতা করে। আবার অনেক সময় টহলরত বিজিবির সদস্যদের চোখ ফাঁকি দিয়ে এসব করে। টহল টীম একদিকে গেলে তারা অন্য দিকে কাজ করে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর