নিজস্ব প্রতিবেদক:
সিরাজগঞ্জ শহীদ এম মনসুর আলী মেডিকেল কলেজে তমাল নামের এক শিক্ষার্থীকে পাযড়ে গুলি করেছে এক শিক্ষক। আহত অবস্থায় তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এতে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে ক্যাম্পাস। এসময় বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা ওই শিক্ষককে মারপিট করে।
শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, মেডিসিন বিভাগের শিক্ষক রায়হান শরিফ ভাইভা চলাকালীন কোনো কারণ ছাড়াই তমালের ডান পায়ে গুলি করেন। পরে তমালকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সোমবার বিকেল ৩টার দিকে সিরাজগঞ্জ শহীদ এম মনসুর আলী মেডিকেল শ্রেণিকক্ষে এ ঘটনা ঘটে। তমাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ফরেনসিক বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র।
তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী জাহিন শাহরিয়ার জানান ‘ভাইভা চলাকালীন ৪৫ জন শিক্ষার্থীর উপস্থিতিতে শিক্ষক রায়হান শরিফ তমালের ডান পেয়ে গুলি করেন। এতে সে আহত হয়। ওই শিক্ষকের শাস্তি দাবিতে শিক্ষার্থীরা ক্লাস বর্জন ও বিক্ষোভ করছে ছাত্রছাত্রীরা।
তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী জানান, শিক্ষক রায়হান শরীফ মাঝেমধ্যেই পিস্তল নিয়ে ক্লাসরুমে ঢোকেন। তিনি ছাত্র-ছাত্রীদের বিভিন্ন সময় ভয়ভীতি দেখাতেন। বিকেলে ক্লাস চলাকালিন শিক্ষক রায়হান শরীফ দেশীয় পিস্তল ও ধারালো চাকু নিয়ে হঠাৎ করে ক্লাসে ঢোকেন। এ সময় তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে ৩য় বর্ষের ছাত্র আরাফাত আমিন তমালকে গুলি করেন তিনি। গুলিটা তার উরুতে লেগে যায়। তার চিৎকারের সবাই এগিয়ে আসলে ডা. রায়হান শরিফকে তালাবদ্ধ করে রাখা হয়। আহত অবস্থায় তমালকে শহীদ এম মনসুর আলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে বিভাগে ভর্তি করা হয়েছে। এরপর বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাস ঘিরে রেখে বিক্ষোভ করে।
শহীদ এম মনসুর আলী মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ আমিরুল হোসেন চৌধুরী জানান ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সিরাজগঞ্জ অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আব্দুল হান্নান জানান, এ ঘটনায় কলেজে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। শিক্ষককে আটক করা হয়েছে। পিস্তলটি জব্দ করা হয়েছে।