মঙ্গলবার, ১৭ জুন ২০২৫, ১২:৩৫ অপরাহ্ন
আজকের শিরোনাম
নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের সন্ত্রাসী হামলার শিকার ছাত্রদল নেতার পাশে বগুড়া জেলা জিসাস নেতৃবৃন্দ শেরপুরের ঝিনাইগাতীতে নেশার টাকা না পেয়ে বাবা- মাকে পেটানোর অভিযোগ ছেলের বিরুদ্ধে! সৈয়দ আফছার আলী ডিগ্রি কলেজে বিপুল উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে কলেজ ছাত্রদলের নবগঠিত কমিটি বরণ। শেরপুরের ঝিনাইগাতীতে ১ যুগ পর কুরবানীর মাংস পেলো গুচ্ছগ্রামের মানুষ। ঈদুল আজহার শুভেচ্ছা ও ঈদ মুবারক বাংলাদেশ জাতীয় ইমাম সমিতি লাকসাম উপজেলা কমিটি গঠন মহান স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ জিয়াউর রহমানের ৪৪তম শাহাদাৎ বার্ষিকী উপলক্ষে পবায় আলোচনা সভা, দোয়া মাহফিল ও খাবার বিতরণ অনুষ্ঠিত সরকারি যাত্রী ছাউনিতে অবৈধ বাস কাউন্টার, নির্বিকার প্রশাসন, বিপন্ন জনস্বার্থ। পবিত্র ঈদুল আযহার শুভেচ্ছা জানিয়েছেন ঝিনাইগাতীর বিশিষ্ট ব্যাবসায়ী মো: শাহজালাল  ঈদুল আযহার শুভেচ্ছা জানিয়েছেন বিএনজেএফ ঠাকুর গাঁও জেলা কমিটি সভাপতি সাংবাদিক মোঃ মাহফুজুর রহমান

কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে দানের প্রকল্প থেকে তরুণের কোটি টাকা লোপাট

নিজস্ব প্রতিবেদক / ৩৭৬ বার দেখা হয়েছে
আপডেট: মঙ্গলবার, ২০ আগস্ট, ২০২৪



মধ্যপ্রাচ্যের আরব দেশ এশিয়ার সবচে’ বৃহৎ মুসলিম জনগোষ্ঠীর এলাকা সৌদী আরবের দাতা সংস্থা জমজমের দানের বিনিময়ে অর্থ লোপাট করেছে প্রতিষ্ঠানটির বাংলাদেশী ব্যবস্থাপক এক তরুণ। বিদেশী দাতা সংস্থার দেয়া বিনামূল্যের সাবমারসিবল পাম্প ও গভীর নলকূপ নিম্নবিত্তদের দান করার কথা থাকলেও এসবের বিনিময়ে সুবিধাভোগীদের কাছে থেকে নেয়া হয়েছে নগদ টাকা। সুবিধা দেয়া হয়েছে অনেক স্বচ্ছল-স্বাবলম্বী পরিবারকেও।

দানের মালামালে কারচুপি আর দরিদ্রদের কাছে থেকে অনিয়মে টাকা আদায় করে ইতোমধ্যেই কয়েক কোটি টাকা বাগিয়েছেন কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার রিফায়েতপুর ইউনিয়নের শিতলাইপাড়া গ্রামের তরুণ শুভ। তার মূল ঠিকানা নাটরের লালপুরে। নিরাপত্তার স্বার্থে পরিচয় প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন সুবিধাভোগীর সাথে কথা বলে জানা গেছে, নলকূপের ক্ষেত্রে দুই থেকে চার হাজার ও বৈদ্যুতিক পাম্পের ক্ষেত্রে দশ থেকে পনের হাজার করে বাড়ি প্রতি নগদ টাকা নিয়েছে জমজম সংস্থার শুভ। শুভ’র এই প্রকল্পে কাজ করা এক দিনমজুর জানান, প্রতিটা প্রজেক্টেই নগদ টাকা নেয়া হয় এবং মালামাল কম ব্যবহার করে চুরি করা হয়। পাশাপাশি ব্যবহারের চেয়ে কয়েকগুণ বেশি খরচ দেখানো হয় দাতা সংস্থাটির বিদেশী কর্তাদের। অভিযোগ রয়েছে মাটির নীচে নিম্নমানের মালামাল দিয়ে কাজ করারও। ঠিকঠাক মজুরিও দেয়া হয় না স্থানীয় শ্রমিকদের।

ওই সৌদী দাতা সংস্থার পক্ষে তরুণ শুভ গত বছরখানেক ধরে প্রায় দেড় হাজার প্রকল্প ব্যবস্থাপনার কাজ করেছেন দৌলতপুর উপজেলার বিভিন্ন এলাকায়। ছড়িয়ে দেয়া সহযোগীদের মাধ্যমে বিক্রি করেছেন দানের সুপেয় পানি সরবরাহ প্রকল্প।

পর্যাপ্ত তথ্য-প্রমাণ থাকায় এসব অভিযোগ অস্বীকার করতে না পেরে প্রধান অভিযুক্ত ওই ব্যবস্থাপক বলেন, মানুষের থেকে এসব দেয়ার জন্য টাকা নেয়ার কোনো নির্দেশনা নেই, বরং কোম্পানির পক্ষ থেকে নিষেধ আছে। আমরা বিভিন্ন মানুষের মজুরি হিসাবে এই টাকা তুলি এবং নানা খাতে খরচ করি। ভবিষ্যতে আর এভাবে টাকা নেয়া হবে না বলেও জানান তিনি। তবে, প্রকল্পে কাজ করা সকল শ্রমজীবীর পারিশ্রমিক ব্যয় ও পরিবহন সহ সকল খরচ দাতা প্রতিষ্ঠানই বহন করে বলেও জানা গেছে প্রকল্প সংশ্লিষ্টদের কাছে থেকে।

প্রকল্পটিতে এধরণের জালিয়াতি চলতে থাকলে বিনিয়োগে আগ্রহ হারাবে বাংলাদেশে বিদেশী দাতারা, প্রতারিত হতে থাকবেন দান প্রাপ্য সাধারণ মানুষ, এমনটাই মনে করছেন সচেতনরা।

উল্লেখ্য, সারাদেশে ৭জন ব্যবস্থাপকের মাধ্যমে দানের কাজ পরিচালনা করে আসছে সৌদি দাতা সংস্থা ‘জমজম’। অভিযুক্ত শুভ জানিয়েছেন প্রতিষ্ঠানটি সৌদি আরব ভিত্তিক পরিচালিত জমজম এয়ার লাইনসের।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর