সোমবার, ১৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৬:৩০ অপরাহ্ন
আজকের শিরোনাম
ভুরুঙ্গামারী সরকারি কলেজে বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণী সিরাজগঞ্জ ৩ আসনে বিএনপি’র মনোনয়ন পুনঃ বিবেচনার দাবিতে গণমিছিল  আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন: আমাদের দায়িত্ব ও জনগণের প্রত্যাশা – আরমান হোসেন ডলার লন্ডনে গ্রেটার চট্টগ্রাম এসোসিয়েশন, ইউকে’র উদ্যোগে মহান বিজয় দিবস উদযাপিত লালমনিরহাট টিটিসি’র প্রশিক্ষণের পরিবেশ বিনষ্ট করতে উঠেপড়ে লেগেছে গিয়াস উদ্দিন  ভুরুঙ্গামারীতে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা জাতীয় মানবাধিকার অ্যাসোসিয়েশন বগুড়া জেলা কমিটির উদ্যোগ শ্রমিক ইউনিয়নে ক্রাম বোর্ড প্রদান শেরপুরের ঝিনাইগাতীতে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালিত ! কামরুজ্জামানের উদ্যোগে ধর্মপাশায় বেগম খালেদা জিয়ার আরোগ্য কামনায় দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত ডোমার শিক্ষক-কর্মচারী কো-অপারেটিভ ক্রেডিট ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নির্বাচিত মোঃ আলমগীর আলম

সয়দবাদ ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি সেরাজুলকে গ্রেফতার দাবী

রিপোর্টারের নাম / ১৯৯ বার দেখা হয়েছে
আপডেট: বুধবার, ১১ সেপ্টেম্বর, ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক:
স্বৈরাচারিনী শেখ হাসিনা সরকারের আমলে সয়দবাদ ইউনিয়নের পোড়াবাসী গ্রামের মানুষসহ ্ইউনিয়নের নিরীহ মানুষকে জেল-জুলুমসহ নানা ভয়ভীতি ও পোড়াবাড়ী উচ্চ বিদ্যালয়ে নিয়োগ বানিজ্যের মাধ্যমে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেয়ার মুলহোতা যমুনা ডিগ্রী কলেজের মার্কেটিং বিভাগের সহকারী অধ্যাপক সেরাজুল ইসলামকে গ্রেফতারের দাবী জানিয়েছেন এলাকাবাসী। সন্ত্রাসী বাহিনীর লিডার সেরাজুলকে দ্রুত গ্রেফতার করা না হলে আন্দোলন গড়ে তোলা হবে জানিয়েছেন এলাকার ভুক্তভোগীরা।
জানা যায়, পোড়াগ্রামের বাসিন্দা সেরাজুল ইসলাম ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি হবার সুবাদে স্বৈরাচারিনী শেখ হাসিনা সরকারের আমলে কলেজে ও এলাকায় ব্যাপক দাপট দেখিয়ে চলতেন। দাপটের কারনে নিয়মনীতি উপেক্ষা করে পোড়াবাড়ী উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতির পদ বাগিয়ে নেন। এরপর উচ্চ বিদ্যালয়ে ব্যাপক নিয়োগ বাণিজ্য করেন। সম্প্রতি স্কুলে অফিস সহায়ক, নিরাপত্তাকর্মী ও কম্পিউটার ল্যাব অপারেটর নিয়োগ নিয়ে অন্তত ৩০ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। এছাড়াও স্বৈরাচারিনী সরকারের সময় পোড়াবাড়ী গ্রামসহ ইউনিয়নের বিএনপি-জামায়াতের নেতাকর্মীসহ এলাকার নিরীহ মানুষকে ক্ষমতার দাপটে নানাভাবে নির্যাতন ও অতিষ্ঠ করে রেখেছেন।

এছাড়াও যমুনা ডিগ্রি কলেজের অধ্যাপক হলেও নিয়মতি কলেজে উপস্থিত না থেকে কয়েক দিন পর কলেজে গিয়ে স্বাক্ষর করে চলে আসতেন। গণ অভুত্থ্যানে স্বেচারিনী শেখ পতনের পর তিনি গা-ঢাকা দেন। একমাস পর স্থানীয় কিছু লোকের সহায়তা এলাকায় ফিরে আসলে কলেজে যাননি। কিছু অসাধু লোকের যোগসাজসে কলেজে গিয়ে হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর করেছেন। এছাড়াও অভিযোগ রয়েছে সাবেক এমপি ডা. হাবিবে মিল্লাত মুন্না ও যমুনা ডিগ্রী কলেজের সদ্য বহিস্কৃত সভাপতি আনোয়ার হোসেন ফারুকের কাছের ছোট ভাই পরিচয় দিয়ে দেয়া সেরাজুল ইসলাম কলেজের সকল কমিটিতে আহবায়ক/ সদস্য রাখতে বাধ্যতামুলক করেছিলেন। ক্ষমতার দাপটে নির্বাচন ছাড়া কলেজে একটানা ১৬ বছর যাবত স্টাফ কাউন্সিলের সেক্রেটারী পদে রয়েছে। এছাড়াও বিগত উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী রিয়াজ উদ্দিনের পক্ষে গোপন মিটিং করার দায়ে গ্রেফতার হয়ে জেল খেটেছেন। নানা অভিযোগে অভিযুক্ত সেরাজুল এখনো কিছু অসাধু লোকজনের ছত্রচ্ছায়ায় দাপট দেখিয়ে চলছেন। এ অবস্থায় সেরাজুলকে গ্রেফতারপুর্বক শাস্তিমুলক ব্যবস্থা গ্রহনের দাবী জানিয়েছেন ভুক্তভোগীরা।
তবে সকল অভিযোগ অস্বীকার করে সেরাজুল ইসলাম জানান, আমি কোন অনিয়ম-দুর্নীতি বা কারো উপর জুলুম নির্যাতন করিন।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর