মঙ্গলবার, ১৭ জুন ২০২৫, ০২:১৫ অপরাহ্ন
আজকের শিরোনাম
নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের সন্ত্রাসী হামলার শিকার ছাত্রদল নেতার পাশে বগুড়া জেলা জিসাস নেতৃবৃন্দ শেরপুরের ঝিনাইগাতীতে নেশার টাকা না পেয়ে বাবা- মাকে পেটানোর অভিযোগ ছেলের বিরুদ্ধে! সৈয়দ আফছার আলী ডিগ্রি কলেজে বিপুল উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে কলেজ ছাত্রদলের নবগঠিত কমিটি বরণ। শেরপুরের ঝিনাইগাতীতে ১ যুগ পর কুরবানীর মাংস পেলো গুচ্ছগ্রামের মানুষ। ঈদুল আজহার শুভেচ্ছা ও ঈদ মুবারক বাংলাদেশ জাতীয় ইমাম সমিতি লাকসাম উপজেলা কমিটি গঠন মহান স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ জিয়াউর রহমানের ৪৪তম শাহাদাৎ বার্ষিকী উপলক্ষে পবায় আলোচনা সভা, দোয়া মাহফিল ও খাবার বিতরণ অনুষ্ঠিত সরকারি যাত্রী ছাউনিতে অবৈধ বাস কাউন্টার, নির্বিকার প্রশাসন, বিপন্ন জনস্বার্থ। পবিত্র ঈদুল আযহার শুভেচ্ছা জানিয়েছেন ঝিনাইগাতীর বিশিষ্ট ব্যাবসায়ী মো: শাহজালাল  ঈদুল আযহার শুভেচ্ছা জানিয়েছেন বিএনজেএফ ঠাকুর গাঁও জেলা কমিটি সভাপতি সাংবাদিক মোঃ মাহফুজুর রহমান

পিরোজপুরের সাবেক এসপি–ওসিসহ ৪ পুলিশের নামে ছাত্রদল নেতার মামলা

পিরোজপুর প্রতিনিধি: / ১১১ বার দেখা হয়েছে
আপডেট: বুধবার, ১১ সেপ্টেম্বর, ২০২৪


বেআইনিভাবে থানায় ৩৮ ঘণ্টা আটকে রেখে নির্যাতনের পর অস্ত্র দিয়ে এক ছাত্রদল নেতার নামে মামলা দেওয়ার অভিযোগে পিরোজপুরের সাবেক পুলিশ সুপার মো. শফিউর রহমান, সদর থানার সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবির মোহাম্মদ হোসেনসহ ৪ পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা দায়ের হয়েছে।

বুধবার দুপুরে শুনানি শেষে বিচারক মামলাটি তদন্তের জন্য পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) নির্দেশ দিয়েছেন।

গত ২৮ আগস্ট জেলা ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক সালাউদ্দিন তালুকদার কুমার পিরোজপুর সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলাটি দায়েরের পর শুনানি শেষে আজ দুপুরে অতিরিক্ত চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোহা. হেলাল উদ্দিন এ আদেশ দেন।

মামলায় অন্যান্য অভিযুক্তরা হলেন– সদর থানার সাবেক সেকেন্ড অফিসার উপ–পরিদর্শক মো. মনিরুল ইসলাম ও ইন্সপেক্টর মো. জুলফিকার আলী। এছাড়া আরও ৪-৫ জনকে এ মামলায় অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে।

মামলার এজাহারে কুমার উল্লেখ করেন, গত বছর ৪ নভেম্বর রাত সাড়ে ১১টার দিকে পিরোজপুর পৌরসভাধীন উত্তর কৃষ্ণনগর বাড়ির সামনের রাস্তার ওপর থেকে সাদা পোশাকে অজ্ঞাত ব্যক্তিরা তাঁকে আটক করে। এরপর রাত ১২টার দিকে তাঁকে টহল পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়। পরের দিন ভোরবেলা পুলিশ সদস্যরা হাতকড়া পড়ানোর পর কালো কাপড় দিয়ে তাঁর দুই চোখ বেঁধে ফেলে। এরপর মামলার প্রধান আসামি সদর থানার তৎকালীন ওসি আবির মোহাম্মদ হোসেন থানার গারদের সামনে তাঁকে বেত দিয়ে মারাত্মকভাবে পেটাতে থাকে। ২-৩ মিনিট পেটানোর পর কুমার নিস্তেজ হয়ে পড়লে আবির তাঁকে পা দিয়ে পাড়াতে থাকে। ওই দিন থানায় আটক থাকা সকলকে আদালতে পাঠানো হলেও, কুমারকে থানায় রাখা হয়। এরপর তাঁর কাছে আগ্নেয়াস্ত্র আছে এই ধরনের স্বীকারোক্তি দেওয়ার জন্য আবির তাঁকে চাপ দিতে থাকে। তাতে রাজি না হওয়ায় প্রচন্ড শীতের মধ্য খালি গায়ে থানার গারদের মধ্যে কুমারকে শুইয়ে রাখা হয়। এরপর ওই দিন রাতে পুনরায় হাতকড়া পড়িয়ে চোখ বেঁধে গাড়িতে তুলে তাঁর বাড়ির কাছে একটি কবরস্থানে নিয়ে যায় পুলিশ। এরপর সেখান থেকে একটি অস্ত্র বের করে সেটি কুমারের হাতে ধরিয়ে দিয়ে ছবি তোলে পুলিশ। পরবর্তীতে অস্ত্র আইনে একটি মামলা দিয়ে কুমারকে পরের দিন আদালতে পাঠানো হয়।


কুমার জানান, তাঁকে থানার মধ্যে নির্মমভাবে নির্যাতন করে মিথ্যা মামলায় আসামি করে কারাগারে পাঠানো হয়েছিল। দীর্ঘ ৪ মাস কারাভোগের পর তিনি জেল থেকে মুক্তি পেয়েছে। পুলিশের মতো একটি দায়িত্বশীল বাহিনীতে আবিরের মতো অসৎ কর্মকর্তাদের দিয়ে নির্মম নির্যাতনের বিচার পাওয়া জন্য তিনি আদালতে মামলা দায়ের করেছেন।

এ বিষয়ে কুমারের আইনজীবী আকরাম আলী মোল্লা বলেন, ‘গত ২৭ আগস্ট মামলাটি দায়ের করা হয়েছিল। বুধবার শুনানি শেষে বিচারক মামলাটি তদন্তের জন্য পিবিআইকে নির্দেশ দিয়েছে। এ মামলা সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে বাদী ন্যায় বিচার পাবে।’


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর