দিনাজপুরের চিরিরবন্দর উপজেলায় মোবাইল ফোনের মাধ্যমে পরীক্ষায় নকল সরবরাহের ঘটনায় এক শিক্ষককে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে এবং দুই পরীক্ষার্থীকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
রোববার (৪ মে) সকালে সরকারি মডেল পাইলট উচ্চবিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত এসএসসি ও সমমানের উচ্চতর গণিত পরীক্ষায় এ অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটে।
পরীক্ষাকেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত কেন্দ্র সচিব সুভাষ চন্দ্র রায় জানান, পরীক্ষা শুরুর পাঁচ মিনিট পর পরিদর্শক দল একটি কক্ষে প্রবেশ করে। সেখানে এক পরীক্ষার্থীর কাছে মোবাইল ফোন পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে তাকে বহিষ্কার করা হয়। পরে মোবাইলটির সূত্র ধরে চক্রের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে আমেনা বাকি রেসিডেন্সিয়াল স্কুলের গণিত শিক্ষক আনোয়ার হোসেনকে আটক করে থানা পুলিশের হাতে সোপর্দ করা হয়।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফাতেহা তুজ জোহরা জানান, একটি সংঘবদ্ধ চক্র পরীক্ষার প্রথম দিন থেকেই হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপের মাধ্যমে প্রশ্নপত্র ও সমাধান সরবরাহ করে আসছিল। দীর্ঘদিন নজরদারির পর রোববার চক্রটি শনাক্ত করা সম্ভব হয়। অভিযুক্ত শিক্ষক আনোয়ার হোসেনের স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে তাকে সাত দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও দুই হাজার টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে ১৫ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করা হয়েছে।
এদিকে, বহিষ্কৃত পরীক্ষার্থীদের মধ্যে একজন এ জেড রেসিডেন্সিয়াল মডেল স্কুলের ছাত্র। একই পরীক্ষাকেন্দ্রে অন্য আরেক কক্ষ থেকেও নকলের দায়ে আরও একজন পরীক্ষার্থীকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, পরীক্ষার শুদ্ধতা বজায় রাখতে এ ধরনের অভিযান চলমান থাকবে।