শেরপুরের শ্রীবরদীতে সুদের টাকার জন্য নুর আমিন (৩৮) নামের ব্যবসায়ীকে গাছের সাথে বেঁধে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। রবিবার (১৫ জুন) দুপুরে খড়িয়া কাজিরচর ইউনিয়নের ভাটিলংগরপাড়ায় এই ঘটনাটি ঘটেছে বলে জানা গেছে। নুর আমিন ভাটিলংগরপাড়ার নুর ইসলামের ছেলে। নির্যাতনের খবর পেয়ে শ্রীবরদী থানা পুলিশের ঘটনাস্থলে যাবার আগেই স্থানীয় নেতৃবৃন্দের মধ্যস্থতায় বিষয়টি সমাধান করা হয়।
জানা গেছে যে, ওই গ্রামের জলিলের কাছ থেকে মাসিক ১০ শতাংশ হারে সুদে ১ লাখ টাকা নেন নুর আমিন। সুদের টাকা কয়েকমাস নিয়মিত দিয়ে, পরে সুদের টাকা অনিয়মিত হওয়ায় তাদের কথা-কাটাকাটি ও কয়েক দফা সালিশ বৈঠক হয়। সুদের টাকা না পেয়ে রাস্তা থেকে নুর আমিনের মোটরসাইকেল আটকে রাখে জলিল।
গত ১ বছর ধরে মোটরসাইকেলটি জলিলের বাড়িতেই রয়েছে বলে জানা যায়। সম্প্রতি সুদের টাকার জন্য নুর আমিনকে আবারও চাপ দেয়ার জেরে রবিবার তাকে বাজার থেকে তুলে নিয়ে গাছের সাথে বেঁধে নির্যাতন চালায় বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ব্যাপারে নুর আলম বলেন, ‘‘সুদের টাকার জন্য আমার ব্যবহৃত মোটরসাইকেলটি জলিল নিয়ে গেছে। সে সময় বলেছিল, তার আর কোনো দাবি নাই। এখন আবারও টাকা দাবি করছে। আব্দুল জলিল মিয়া বলেন, নুর আমিন কাছে অনেকদিন ধরে টাকা পাই। তাই তাকে বাজার থেকে ধরে এনেছি। তবে, কোনো মারধর করিনি। স্বাভাবিক অবস্থায় বাড়িতে রেখে দিয়েছিলাম। যখন আটকাতে পারছিলাম না। তখন বেঁধে রেখেছিলাম। পরে স্থানীয় নেতৃবৃন্দের আশ্বাসে তাকে ছেড়ে দিয়েছি।
খড়িয়া কাজেরচর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আশরাফুল কবীর রূপা বলেন, খবর পেয়ে আব্দুল জলিলের বাড়িতে গিয়ে দেখি, নুর আমিনকে গাছের সঙ্গে বেঁধে রাখা হয়েছে। পরে উভয় পক্ষের সাথে কথা বলে আগামী অক্টোবরের মধ্যে টাকা দেয়ার শর্তে দুপক্ষকে সম্মত করি। আর বেঁধে রাখার ঘটনায় জলিলকে সামাজিকভাবে তিরস্কার করা হয়েছে। শ্রীবরদী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আনোয়ার জাহিদ বলেন, গাছে বেঁধে রাখার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে।
কিন্তু, ঘটনাস্থলে গিয়ে কাউকে বাঁধা অবস্থায় পাওয়া যায়নি। আগেই স্থানীয় নেতৃবৃন্দের মাধ্যমে বিষয়টি সমঝোতা হয়েছে বলে জেনেছি। এ ঘটনায় কোনো অভিযোগ থাকলে লিখিত দেয়ার জন্য বলা হয়েছে। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।