মঙ্গলবার, ১৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৭:৪৯ অপরাহ্ন
আজকের শিরোনাম
শেরপুরে মহান বিজয় দিবস উদযাপনও জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের বিনম্র শ্রদ্ধা জাল কাগজ ও মিথ্যা মামলায় হয়রানির অভিযোগে লোহাগাড়ায় সংবাদ সম্মেলন জিয়া সাংস্কৃতিক সংগঠন বগুড়া জেলা কমিটির উদ্যোগে বিজয় দিবসে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি জাতীয় মানবাধিকার অ্যাসোসিয়েশন বগুড়া জেলা কমিটির উদ্যোগে বিজয় দিবসে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি ভুরুঙ্গামারী সরকারি কলেজে বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণী সিরাজগঞ্জ ৩ আসনে বিএনপি’র মনোনয়ন পুনঃ বিবেচনার দাবিতে গণমিছিল  আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন: আমাদের দায়িত্ব ও জনগণের প্রত্যাশা – আরমান হোসেন ডলার লন্ডনে গ্রেটার চট্টগ্রাম এসোসিয়েশন, ইউকে’র উদ্যোগে মহান বিজয় দিবস উদযাপিত লালমনিরহাট টিটিসি’র প্রশিক্ষণের পরিবেশ বিনষ্ট করতে উঠেপড়ে লেগেছে গিয়াস উদ্দিন  ভুরুঙ্গামারীতে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা

“চাটুকার নয়, সাহসী রিমনের মতো সাংবাদিকই সময়ের দাবি”— চট্টগ্রামে স্মরণসভা তপ্ত

বিশেষ প্রতিনিধিঃ / ১৪৯ বার দেখা হয়েছে
আপডেট: শুক্রবার, ৮ আগস্ট, ২০২৫

বিশেষ প্রতিনিধিঃ

অনুসন্ধানী সাংবাদিক সাঈদুর রহমান রিমনের মৃত্যুতে আয়োজিত স্মরণসভা পরিণত হয় সাংবাদিকতা পেশায় অনুপ্রবেশকারী দালাল ও সুবিধাবাদীদের বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদের প্ল্যাটফর্মে। বক্তারা বলেন— “মব জাস্টিস সাংবাদিকদের জন্য নয়, এটি বর্বর সামরিক জান্তা ও যুদ্ধাপরাধীদের জন্য প্রযোজ্য। মতভিন্নতার কারণে সাংবাদিকদের চাকরিচ্যুতি বা হয়রানি সম্পূর্ণ বেআইনি।”

চট্টগ্রাম সাংবাদিক উন্নয়ন পরিষদের উদ্যোগে দোয়া মাহফিলের আয়োজন চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের এস রহমান হলে অনুষ্ঠিত হয়। দোয়া মাহফিল ও স্মরণসভা। সভাপতিত্ব করেন পরিষদের সভাপতি সৈয়দ মিজান সমরকান্দী।

প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রবীণ সাংবাদিক নেতা, বীর মুক্তিযোদ্ধা, ওয়ার্ল্ড প্রেস কাউন্সিল নির্বাহী পরিষদ ও বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিলের সাবেক সদস্য মইনুদ্দীন কাদেরী শওকত।
তিনি বলেন, “সাংবাদিককে মতবিরোধের কারণে কর্মস্থল থেকে বের করে দেওয়া কিংবা চাকরিচ্যুত করা শুধু আইনের লঙ্ঘন নয়—এটি নৈতিক হত্যাকাণ্ড।”

কাদেরী শওকতের তীব্র বার্তা:“সাংবাদিক সমাজে কিছু সুবিধাবাদী এজেন্ট অনুপ্রবেশ করেছে, যারা নিজেরা কোনোদিন গণতন্ত্রের জন্য রাস্তায় নামেনি, অথচ এখন নিজেরাই পরামর্শদাতা! এদের কারণে প্রকৃত সাংবাদিকদের ইমেজ আজ প্রশ্নবিদ্ধ।”

তিনি আরো বলেন, “সাংবাদিক রিমনের মতো অনুসন্ধানী, সাহসী ও জনবান্ধব সাংবাদিকই এই সমাজে প্রয়োজন। চাটুকার, তোষামোদকারীরা সাংবাদিকতা পেশায় থাকা মানে, জাতির জন্য কলঙ্ক।” সাবেক মন্ত্রী আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরীর একটি মন্তব্য তুলে ধরে তিনি বলেন:“আপনারা বিএনপির সাংবাদিক হবেন না, দেশের সাংবাদিক হোন। দেশের মানুষের সাংবাদিক হোন।”— এই বার্তাই আজ সময়ের দাবিতে সবচেয়ে প্রাসঙ্গিক।

স্মরণসভায় উপস্থিত ছিলেন—বাংলাদেশ মানবাধিকার সাংবাদিক সংস্থার সভাপতি এস এম জামাল উদ্দিন,,বিএসএ যুগ্ম আহ্বায়ক সোহাগ আরেফিন,,প্রবীণ সাংবাদিক কামাল উদ্দিন,,লেখক ও সাংবাদিক কামাল পারভেজ,,জাতীয় ক্রাইম রিপোর্টার্স সোসাইটির চট্টগ্রাম জেলা সভাপতি মোঃ আজম খাঁন,,সাধারণ সম্পাদক হাসানুল আলম,,মাইটিভি চট্টগ্রাম ব্যুরো প্রধান নুরুল কবির,, সাংবাদিক সাইফুর রহমান সাইফুল। জাতীয় সাংবাদিক সংস্থা চট্টগ্রাম মহানগর সভাপতি কে এম রুবেল,,

চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতাল ভাইস প্রেসিডেন্ট ইঞ্জিনিয়ার জাবেদ আবছার চৌধুরী,,সাংবাদিক গিয়াস উদ্দিন লিটন, মোঃ জমির উদ্দীন, নাসিমা আক্তার, তসলিমা খানমসহ প্রায় ১৫টি সাংবাদিক সংগঠনের প্রতিনিধি। সঞ্চালনায় ছিলেন সাংবাদিক রেবেকা সুলতানা রেখা চৌধুরী ও জহিরুল ইসলাম বাবলু। সভা শেষে মরহুম রিমনের আত্মার মাগফিরাত কামনায় মোনাজাত পরিচালনা করেন হযরত মাওলানা ইমাম মারুফ রেজা।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর