বুধবার, ১৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ১২:০৬ অপরাহ্ন
আজকের শিরোনাম
নাটোরের হয়বতপুরে এক গার্মেন্টস শ্রমিকের স্বপ্নভঙ্গ—প্রভাবশালী প্রতারকের ফাঁদে নিঃস্ব মাসুদ রানা পরিবার মধ্য পালশা একতা যুব সংঘ ক্লাবের উদ্যোগে বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠিত শেরপুরে মহান বিজয় দিবস উদযাপনও জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের বিনম্র শ্রদ্ধা জাল কাগজ ও মিথ্যা মামলায় হয়রানির অভিযোগে লোহাগাড়ায় সংবাদ সম্মেলন জিয়া সাংস্কৃতিক সংগঠন বগুড়া জেলা কমিটির উদ্যোগে বিজয় দিবসে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি জাতীয় মানবাধিকার অ্যাসোসিয়েশন বগুড়া জেলা কমিটির উদ্যোগে বিজয় দিবসে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি ভুরুঙ্গামারী সরকারি কলেজে বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণী সিরাজগঞ্জ ৩ আসনে বিএনপি’র মনোনয়ন পুনঃ বিবেচনার দাবিতে গণমিছিল  আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন: আমাদের দায়িত্ব ও জনগণের প্রত্যাশা – আরমান হোসেন ডলার লন্ডনে গ্রেটার চট্টগ্রাম এসোসিয়েশন, ইউকে’র উদ্যোগে মহান বিজয় দিবস উদযাপিত

থাই–ভিসা ও অবৈধ সিম চক্রের টার্গেটে মেধাবী সাংবাদিক সুজন? স্বচ্ছ তদন্তের দাবিতে সাংবাদিক সমাজ

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ / ৩৫ বার দেখা হয়েছে
আপডেট: শুক্রবার, ২১ নভেম্বর, ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

থাই–ভিসা ও অবৈধ সিম চক্রের চাপ ও হয়রানিতে নীলফামারীতে সাংবাদিক নিরাপত্তা নিয়ে নতুন করে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। জাতীয় দৈনিক আলোর বার্তা এবং The Daily State–এর নীলফামারী জেলা প্রতিনিধি আল হেদায়েতুল্লা সিদ্দিকী (সুজন)–কে একটি অভিযোগভিত্তিক মামলায় গ্রেফতার ও পরবর্তী ১৯ দিনের কারাভোগ করানোর ঘটনায় স্থানীয় সাংবাদিক মহলে তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে।

অভিযোগ রয়েছে—থাই, ভিসা ও অবৈধ সিম কারবারে জড়িত একটি সংঘবদ্ধ চক্রের বিরুদ্ধে ধারাবাহিক অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রকাশ করায় তাদের লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হন সুজন। সাংবাদিক সুজন জানান, ২৩ অক্টোবর ২০২৫ সালে কিশোরগঞ্জ উপজেলার চৌধুরীর বাজার এলাকায় সংবাদ সংগ্রহের কথা বলে তাকে ডেকে নেওয়া হয়। সেখানে পূর্বপরিকল্পিতভাবে কয়েকজন ব্যক্তি তাকে আটকে রেখে হেনস্তা করে। পরিস্থিতি জটিল হলে তিনি কিশোরগঞ্জ থানায় ফোন করেন; পুলিশ এসে তাকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।

প্রথমে পুলিশ তাকে সাংবাদিক হিসেবে সম্মান জানিয়েছিল। পরে রহস্যজনকভাবে ‘ভুয়া ডিবি পরিচয়দান’ অভিযোগে আদালতে সোপর্দ করা হয়—যা নিয়ে স্থানীয় সাংবাদিকদের মধ্যে প্রবল প্রশ্ন উঠেছে। তাদের দাবি, ঘটনাস্থলে সুজনের গলায় বৈধ সাংবাদিক পরিচয়পত্র ছিল, যার ভিডিও প্রমাণও রয়েছে। তবুও যেভাবে তাকে আদালতে পাঠানো হয়েছে, তা সুস্পষ্টভাবে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।

মামলার এজাহারে বলা হয়, অজ্ঞাত কয়েকজন ব্যক্তি ৫০ হাজার টাকা ছিনিয়ে নিয়েছে এবং চক্রের এক সদস্যকে মারধর করেছে। কিন্তু সহকর্মী সাংবাদিকদের প্রশ্ন—নীলফামারী থেকে যাওয়া একজন একাকী রিপোর্টার কীভাবে এমন ঘটনায় জড়িত থাকতে পারেন? তাদের মতে, পুরো ঘটনাই সাজানো নাটক, যার মূল লক্ষ্য ছিল তাকে ফাঁসানো ও ভয় দেখানো।

সাংবাদিক সমাজের অভিযোগ—থাই–ভিসা ও অবৈধ সিম চক্রটি এলাকায় নিজেদের প্রভাব বিস্তারের জন্য কখনও ভুক্তভোগীর ভূমিকায়, আবার কখনও সাধারণ মানুষের ছদ্মবেশে মব তৈরি করে বিভ্রান্তি ছড়ায়। সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা করা, ভয়ভীতি দেখানো এবং অপপ্রচার চালানো তাদের পরিচিত কৌশল।

সাংবাদিক আল হেদায়েতুল্লা সুজন তার কাজের স্বীকৃতি হিসেবে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি মীর হাসমত আলী, একুশে পদকপ্রাপ্ত ড. সুকোমল বড়ুয়া এবং সাবেক তথ্যসচিব সৈয়দ মার্গুব মোর্শেদের কাছ থেকে পুরস্কৃত হয়েছেন। অনুসন্ধানী সাংবাদিকতায় তিনি বহুদিন ধরেই পরিচিত ও সম্মানিত।

ঘটনার পর সাংবাদিক সমাজ যৌথ বিবৃতি দিয়ে সুষ্ঠু তদন্ত, মামলার নিরপেক্ষ বিচার এবং চক্রের মূল হোতাদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবি জানায়। তাদের ভাষ্য—“সত্য তুলে ধরার কারণে সাংবাদিকদের যদি এমন হয়রানির শিকার হতে হয়, তবে স্বাধীন সাংবাদিকতা গুরুতর হুমকির মুখে পড়বে। থাই–ভিসা ও অবৈধ সিম চক্রের বিরুদ্ধে এখনই কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি।”


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর