মিজানুর রহমান, শেরপুর জেলা প্রতিনিধি:
শেরপুর সীমান্ত জেলায় শীতের তীব্রতা বৃদ্ধি পেয়েছে। জেলা উপজেলা গুলোয় শীতের তীব্রতা দিনকে দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। সীমান্তবর্তী গারো পাহাড়ি উপজেলা গুলোয় শীতের তীব্রতা আরো বেশি। গত ক’দিন যাবত দুপুরের আগে সুর্যের দেখা মিলছে না! ঘন কুয়াশা ও হিমেল বাতাসে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহতসহ নিম্ন আয়ের মানুষ শীত বস্ত্র ও খাদ্য সঙ্কট মোকাবেলায় হিমসিম খাচ্ছেন। ভোর থেকে দুপুর পর্যন্ত দেখা মিলছে না সূর্যের। ফলে শীতের দাপট বেড়েই চলেছে। বিশেষ করে রাতে এবং ভোর থেকে দুপুর পর্যন্ত তাপমাত্রা উল্লেখযোগ্যভাবে ভাবে কমে যাওয়ায় খেটে খাওয়া মানুষ চরম দুর্ভোগে পড়েছেন।
খেটে খাওয়া মানুষ, দিনমজুর, রিকশাচালক, কৃষি শ্রমিক ও হতদরিদ্র পরিবারগুলোয় চরম আর্থিক দেখা দিয়েছে।
শীতে জবুথবু অনেকেই কাজে যেতে পারছেন না। সীমান্তবর্তী গারো পাহাড় ঘেঁষা উপজেলা ঝিনাইগাতী,শ্রীবরদী ও নালিতাবাড়ী উপজেলার পাহাড়ি গ্রামাঞ্চলে শীতের তীব্রতা তুলনামূলকভাবে অনেক বেশি।
শীতের প্রকোপ বৃদ্ধিতে বিশেষ করে শিশু এবং বয়স্কদের সর্দি, কাশি, জ্বর, নিউমোনিয়া ও শ্বাসকষ্টসহ শীতজনিত রোগ বালাই বৃদ্ধি পেয়েছে বলে স্বাস্থ্যকেন্দ্র সূত্রে জানা গেছে। চিকিৎসকগণ প্রয়োজন ছাড়া বাইরে না যাওয়া ও গরম কাপড় ব্যবহার এবং শিশু ও বয়স্কদের প্রতি বাড়তি যত্ন নেয়ার পরামর্শ দিয়েছেন।
সরকারি ভাবে শীতে জবুথবু হতদরিদ্র মানুষের মাঝে সরকারি ভাবে কম্বল ও শীতবস্ত্র বিতরণ করা একান্ত প্রয়োজন বলে ভুক্তভোগীগণ প্রতিনিধিকে জানান। অনেক অসহায় হতদরিদ্র মানুষ পুরনো কাপড় ও খর কুটোয় আগুন জ্বালিয়ে শীত নিবারণের ব্যর্থ চেষ্টা করছেন। স্থানীয়দের দাবি, দ্রুত সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগে শীতবস্ত্র বিতরণ জোরদার করা না হলে পরিস্থিতি আরও গুরুতর হয়ে উঠতে পারে।
এব্যাপারে গারো পাহাড়ের ঝিনাইগাতী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ( ইউএনও ) মোঃ আশরাফুল আলম রাসেল প্রতিনিধি কে বলেন, দ্রুতই হতদরিদ্র মানুষের মাঝে কম্বল বিতরণ করার চেষ্টা করা হবে।