ফুলজোড় নদীতে বালু উত্তোলন করে বিক্রি
ঠিকাদারসহ ৬ জনের নামে মামলা
সিরাজগঞ্জের কামারখন্দের ফুলজোড় নদী খনন প্রকল্পে অবৈধভাবে বাংলা ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলন করে বিক্রির অভিযোগে প্রকল্পের ঠিকাদারসহ ৬জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। সোমবার রাতে ভদ্রঘাট ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা তারেক মুর্শেদ বাদী হয়ে কামারখন্দ থানায় মামলা দায়ের করেন। এমামলায় পরিমল নামে ড্রেজার মালিককে গ্রেফতার করা হয়েছে। মামলার অন্য আসামিরা হলো- ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান আয়ান কনস্ট্রকশনের ম্যানেজার ইউসুফ, ড্রেজার মালিক বাবু, কামারখন্দ উপজেলার মুগবেলাই গ্রামের বালু বিক্রেতা ঝন্টু সরকার, আসাদুল সরকার এবং রকিব খান।
মামলা সূত্রে জানা যায়, ভদ্রঘাট ইউনিয়নের ঝাটিবেলাই মৌজার ফুলজোড় নদী থেকে অবৈধ বাংলা ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলন করে পাইপের মাধ্যমে মুগবেলাই গ্রামের আসলাম সরকারের জমি ভরাট করা হচ্ছে। এর আগে একই গ্রামের গিয়াস উদ্দিন সরকারের জমিও একইভাবে বালু দিয়ে ভরাট করা হয়। আসলাম সরকার ও গিয়াস উদ্দিন সরকারের জমি ভরাটে যে পরিমাণ উত্তোলিত বালু ব্যবহার করা হয়েছে তাতে সরকারের ৭ থেকে ৮ লাখ টাকার রাজস্ব ক্ষতি হয়েছে। তবে মামলায় ঠিকাদার বালু খেকো গাজী হাসান খসরুর নাম উল্লেখ না করায় স্থানীয়দের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে। এলাকাবাসী মুল বালু খেকো গাজী হাসান খসরুকে গ্রেফতারের দাবী জানিয়েছেন।
কামারখন্দ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রেজাউল ইসলাম জানান, মামলার দুই নম্বর আসামি ড্রেজার মালিক পরিমলকে রাতেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্য আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা করছে।