মঙ্গলবার, ১৭ জুন ২০২৫, ১২:২৮ অপরাহ্ন
আজকের শিরোনাম
নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের সন্ত্রাসী হামলার শিকার ছাত্রদল নেতার পাশে বগুড়া জেলা জিসাস নেতৃবৃন্দ শেরপুরের ঝিনাইগাতীতে নেশার টাকা না পেয়ে বাবা- মাকে পেটানোর অভিযোগ ছেলের বিরুদ্ধে! সৈয়দ আফছার আলী ডিগ্রি কলেজে বিপুল উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে কলেজ ছাত্রদলের নবগঠিত কমিটি বরণ। শেরপুরের ঝিনাইগাতীতে ১ যুগ পর কুরবানীর মাংস পেলো গুচ্ছগ্রামের মানুষ। ঈদুল আজহার শুভেচ্ছা ও ঈদ মুবারক বাংলাদেশ জাতীয় ইমাম সমিতি লাকসাম উপজেলা কমিটি গঠন মহান স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ জিয়াউর রহমানের ৪৪তম শাহাদাৎ বার্ষিকী উপলক্ষে পবায় আলোচনা সভা, দোয়া মাহফিল ও খাবার বিতরণ অনুষ্ঠিত সরকারি যাত্রী ছাউনিতে অবৈধ বাস কাউন্টার, নির্বিকার প্রশাসন, বিপন্ন জনস্বার্থ। পবিত্র ঈদুল আযহার শুভেচ্ছা জানিয়েছেন ঝিনাইগাতীর বিশিষ্ট ব্যাবসায়ী মো: শাহজালাল  ঈদুল আযহার শুভেচ্ছা জানিয়েছেন বিএনজেএফ ঠাকুর গাঁও জেলা কমিটি সভাপতি সাংবাদিক মোঃ মাহফুজুর রহমান

শীর্ষ হামাস নেতা মারওয়ান ইসাকে হত্যার দাবি ইসরায়েলের

অনলাইন ডেস্ক: / ১৪৯ বার দেখা হয়েছে
আপডেট: বুধবার, ২৭ মার্চ, ২০২৪

ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের অন্যতম শীর্ষ নেতা মারওয়ান ইসাকে হত্যার দাবি করেছে ইসরায়েল। তিনি হামাসের সামরিক শাখার ডেপুটি কমান্ডার ছিলেন।

গাজা উপত্যকায় চলতি মাসের মাঝামাঝিতে ইসরায়েলি হামলায় তিনি নিহত হন।

গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হামাসের ডেপুটি মিলিটারি কমান্ডার মারওয়ান ইসা চলতি মাসের শুরুর দিকে ইসরায়েলি হামলায় নিহত হয়েছেন বলে ইসরায়েলের সামরিক মুখপাত্র জানিয়েছেন। অবশ্য গাজা উপত্যকা শাসনকারী ফিলিস্তিনি গোষ্ঠী হামাসের পক্ষ থেকে তাৎক্ষণিকভাবে এ বিষয়ে কোনও মন্তব্য করা হয়নি।

 

মঙ্গলবার এক টেলিভিশন বিবৃতিতে ইসরায়েলের রিয়ার অ্যাডমিরাল ড্যানিয়েল হাগারি বলেন, “আমরা সমস্ত গোয়েন্দা তথ্য যাচাই করেছি। প্রায় দুই সপ্তাহ আগে আমরা যে হামলা চালিয়েছিলাম তাতে মারওয়ান ইসাকে হত্যা করা হয়েছে।”

যুক্তরাষ্ট্র অবশ্য গত সপ্তাহে ঘোষণা করে, ইসরায়েলি হামলায় ইসা নিহত হয়েছে, কিন্তু ইসরায়েল মঙ্গলবারের আগ পর্যন্ত তার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেনি।

ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী এর আগে বলেছিল, তারা ৯-১০ মার্চ মধ্য গাজার একটি ভূগর্ভস্থ কম্পাউন্ডে বিমান হামলার সময় ইসাকে লক্ষ্যবস্তু করেছিল। ইসা হামাসের সামরিক শাখা কাসাম ব্রিগেডের দীর্ঘদিনের নেতা মোহাম্মদ দেইফের ডেপুটি ছিলেন।

গাজায় হামাসের শীর্ষ নেতা এবং গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামলার কথিত মাস্টারমাইন্ড হলেন ইয়াহিয়া সিনওয়ার। সিনওয়ার এবং দেইফ উভয়েই জীবিত এবং তারা গাজায় অবস্থান করছেন বলে মনে করা হয়। ইসরায়েল তাদের হত্যার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেছে।

ইসরায়েল বলেছে, তারা যুদ্ধ শুরুর পর থেকে ১৩ হাজারেরও বেশি হামাস যোদ্ধাকে হত্যা করেছে, কিন্তু তাদের দাবির সমর্থনে কোনও প্রমাণ দেয়নি।

মারওয়ান ইসাকে হত্যার বিষয়ে ইসরায়েলের দাবি সঠিক হলে গত বছরের অক্টোবরে ইসরায়েলি হামলা শুরু হওয়ার পর থেকে গাজায় নিহত হওয়া হামাসের সর্বোচ্চ নেতা হবেন ইসা। ইসরায়েল অবশ্য বছরের পর বছর ধরে হামাসের বেশ কয়েকজন সিনিয়র নেতাকে হত্যা করেছে।

কাতার ভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার সিনিয়র রাজনৈতিক বিশ্লেষক মারওয়ান বিশারা বলেছেন, “যতবারই ইসরায়েল কোনও হামাস নেতাকে হত্যা করে বিজয় ঘোষণা করেছে, ততবারই তার জায়গা নিতে আরও কয়েক ডজন এগিয়ে এসেছে।”

বিশারা বলেন, “এক বা দুজন বা একাধিক হামাস নেতা নিহত হওয়ার কারণে বিজয় ঘোষণা করার ধারণাটি কার্যত একটি মুখোশ হিসেবে প্রমাণিত হয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, “এই নেতাদের হত্যা একটি কৌশলগত বিজয় বলে দাবি করা যেতে পারে। তবে দিনের শেষে, হামাস আরও বেশি বেশি নেতা তৈরি করতে সক্ষম এবং তারা তাদের সক্ষমতা অতীতেও প্রমাণ করেছে।” সূত্র: আল জাজিরা


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর