বেলকুচি উপজেলা পরিষদ নির্বাচন আগামী ৮মে প্রথম ধাপে অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনে আওয়ামীলীগ দলীয় প্রার্থীরা ইতোমধ্যে প্রচার-প্রচারনা শুরু করেছে।
নির্বাচনে আওয়ামীলীগ নেতা ইঞ্জিনিয়ার আমিনুল ইসলাম, সিরাজুল ইসলাম ও নুরুল ইসলাম সাজেদুল ৩ জন ক্লিন ইমেজের প্রার্থী অংশ নিলেও বদিউজ্জামান বদি ফকির নামে একজন মাটি খেকো প্রার্থী হওয়ায় পুরো বেলকুচি উপজেলা নানা বিদ্রুপ-উপহাসসহ আলোচনা-সমালোচনার ঝড় শুরু হয়েছে। অভিযোগ রয়েছে, উপরে উপরে ভাল মানুষের লেবাসধারী হলেও বদিউজ্জামান বদি ফকির ও তার ভাই মান্নান ফকির এলার কুখ্যাত মাটি খেকো। তাদের দুই ভাইয়ের নানা অবৈধ কর্মকান্ডে এলাকার মানুষ অতিষ্ঠ হয়ে ওঠলেও ভয়ে কেউ মুখ খোলে না। আর অবৈধ টাকার দাপটে বদিউজ্জামান বদি উপজেলা চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করছেন বলেও অভিযোগ রয়েছে। ইতোমধ্যে মিটিং করে মানুষের মধ্যে কালো টাকা ছড়াচ্ছেন বলেও অভিযোগ ওঠেছে। এলাকাবাসী বলছে, জনগনের ভোটে নির্বাচিত হতে পারবে না তবে অবৈধ কালো টাকার জোরে কোনমতে উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হলে দুই ভাই পুরো উপজেলা গিলে খাবে।
জানা যায়, বেলকুচি উপজেলার এনায়েতপুর থানা আওয়ামীলীগের অর্থ বিষয়ক সম্পাদক বদিউজ্জামান বদি ফকির। তার ভাই মান্নান ফকির। দুই ভাই মিলে দীর্ঘদিন যাবত যমুনা শাখার নদী আজগুড়া বেরিবাঁধের দক্ষিন পাশ থেকে ক্ষমতার প্রভাব খাটি অবৈধভাবে মাটি কেটে বিক্রি করছে। দীর্ঘদিন প্রকাশ্যে মাটি কেটে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। পরে প্রশাসনের হস্তক্ষেপে দিনে কাটা বন্ধ হয়। পরে আবার রাতের আধারে দুই ভাই প্রশাসকের চোঁখ ফাকি দিয়ে চুরি করে মাটি বিক্রি করে থাকে। মাটি চুরি করে বিক্রি করে দুইভাই কোটিপতি হয়ে গেছে। গড়ে তুলেছে আলীশান বাড়ী-গাড়িসহ বেশ কিছু কারখানা। এবার মাটি চোর বদিউজ্জামান বদি ফকির কালো টাকার প্রভাব খাটিয়ে উপজেলা নির্বাচনে অংশগ্রহন করার খায়েস প্রকাশ করেছে। ইতোমধ্যে মাটি চোর বদিউজ্জামান বদি ফকির মুখে দাড়ি ও পাঞ্জাবী গায়ে দিয়ে বিভিন্ন জায়গায় মিটিং সমাবেশ করে নিজেকে ভাল মানুষ দাবী করে নানা ধরনের প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন। আর জনগনের মাঝে কালো টাকা ছড়িয়ে নির্বাচনের আগেই ভোট কেনার পায়তারা করছে। কালো টাকার প্রভাবে এলাকার কেউ ভয়ে মুখ খুলতে পারছে না। এ অবস্থায় স্থানীয়রা দ্রুত মাটিখেকো দুই ভাইয়ের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের দাবী জানিয়েছেন।
এ বিষয়ে বদিউজ্জামান বদি ফকির ফোন না ধরলেও মান্নান ফকির প্রথমে বলেন, আমরা মাটি কাটার বা বিক্রির সাথে জড়িত নয়। এক পর্যায়ে বলেন, জেলার সব মাটিই আমরা দুই ভাই কাটছি। মাটি কাটার টাকা দিয়েই ভাইকে নির্বাচনে দাঁড় করিয়েছে। তাতে আপনাদের কি?.