উপজেলা পরিষদ নির্বাচন
নিজস্ব্ প্রতিবেদক:
উপজেলা পরিষদের নির্বাচনের দিনক্ষন যতই ঘনিয়ে আসছে ততই বেলকুচিতে নির্বাচনী উত্তেজনা, প্রার্থীদের পাল্টাপাল্টি অভিযোগ, হামলা-মারপিট ও মামলার ঘটনা ঘটছে। এতে সাধারন ভোটারদের মধ্যে ভীতিকর অবস্থা তৈরী হচ্ছে। তবে পুলিশ বলছে, আইনশৃংখলা ও ভোটের পরিবেশ শান্ত রাখতে সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহন করা হচ্ছে। বুধবার রাতে বেলকুচি উপজেলার সাতরাস্তা মোড়ে চেয়ারম্যান প্রার্থী বদিউজ্জামান ওরফে বদি ফকির ও ইঞ্জিনিয়ার আমিনুল ইসলামের কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে মারপিটের ঘটনা নিয়ে থানা ক্যাম্পাসে দুইপক্ষের মধ্যে উত্তেজনা ও আইনশৃংখলা পরিস্থিত অবনতি করায় ২২ জনের নামে পুলিশ বাদী হয়ে মামলা দায়ের করা হয়েছে এবং ১০জনকে গ্রেফতার করেছে।
চেয়ারম্যান প্রার্থী ইঞ্জিনিয়ার আমিনুল ইসলাম জানান, রাত সাড়ে ১০টার দিকে নির্বাচনী প্রচারনা শেষে ফেরার পথে চালা সাতরাস্তা মোড়ে পৌছলে চেয়ারম্যান প্রার্থী বদিউজ্জামান ফকিরের সমর্থকরা আমার গাড়ী বহরে হামলা চালিয়ে অন্তত ৪জনকে মারপিট করে আহত করেছে। ঘটনায় থানায় অভিযোগ করতে গেলে সেখানেও দুপক্ষের উত্তপ্ত পরিবেশ সৃষ্টি হয়। এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে মামলা করেছে। তবে পুলিশ শুধু আমার সমর্থকদের গ্রেফতার করেছে। তিনি আরো জানান, বদি বাহিনী প্রতিনিয়ত ভোটারদের হুমকি-ধামকি দিয়ে চলছে। বংশপরস্পরায় সন্ত্রাসী আন্ডার ফাইভ পাস বদি ফকির বাহিনী ভোটের আগে এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করছে। সন্ত্রাসী বদি বাহিনীকে বেলকুচিবাসী প্রত্যাখান করেছে। এতে তার মাথা খারাপ হয়েছে। স্থানীয় সংসদ সদস্য ও তার ভাইদেরকেও জড়িয়ে মিথ্যা অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছে।
অন্যদিকে সকালে সংবাদ সম্মেলন করে চেয়ারম্যান প্রার্থী বদিউজ্জামান বদি ফকির বলেন, সাতরাস্তা মোড়ে তার নির্বাচনী ক্যাম্প থেকে ফেরার পথে ইঞ্জিনিয়ার আমিনুল ইসলামের সমর্থকরা তার গাড়ী বহরে হামলা চালিয়ে ৩/৪জনকে মারপিট করেছে। পরে থানায় আশ্রয় নিতে গেলে সেখানে গিয়ে গালিগালাজ ও উত্তপ্ত পরিস্থিতি সৃষ্টি করে। সংবাদ সম্মেলনে তিনি সুষ্ঠ ভোটের পরিবেশ নিশ্চিত করতে প্রশাসনসহ সকলের সহযোগিতা কামনা করেছেন।
বেলকুচি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আনিসুর রহমান জানান, বেলকুচি ভোটের মাঠ ততটা খারাপ না। প্রার্থীরা প্রচার-প্রচারনা চালাতে গিয়ে বাকবিতন্ডা-হাতাহাতির মধ্যে মধ্যে জড়িয়ে পড়ছে। থানায় অভিযোগ হচ্ছে, অভিযোগগুলো তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। এছাড়াও গত রাতে সাতরাস্তা মোড়ে দুপক্ষের মধ্যে হাতাতির ঘটনায় প্রথমে চেয়ারম্যান প্রার্থী বদি ফকির থানায় অভিযোগ দিতে আসেন। এর ৫মিনিট পর ইঞ্জিনিয়ার আমিনুল ইসলাম অভিযোগ দিতে আসলে দুপক্ষের উত্তেজনা হলে আইনশৃংখলা পরিস্থিতির অবনতি হয়। এঘটনায় মামলা ও ১০জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে এবং সিসিটিভি ফুটেজ দেখে গ্রেফতারের চেষ্টা হচ্ছে। নির্বাচনী পরিবেশ শান্ত রাখতে সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহন করা হচ্ছে।