উপজেলা পরিষদ নির্বাচন
নিজস্ব প্রতিবেদক:
আর মাত্র তিনদিন বাকী ষষ্ঠ ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচন। নির্বাচনে বেলকুচি উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সদস্য ও আওয়ামীলীগ পরিবারের সন্তান ত্যাগী নেতা ইঞ্জিনিয়ার আমিনুল ইসলাম নির্বাচনী মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন। সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত মানুষের ধারে ধারে গিয়ে ভোট প্রার্থনা করছেন এবং রাস্তাঘাটসহ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান অবকাঠামো নির্মান, বালু দস্যুনিয়ন্ত্রনসহ সন্ত্রাস নিমুর্লের নানা প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন। শিক্ষিত ও মার্জিত হওয়ায় ভোটাররাও তার প্রতি আকৃষ্ট হয়ে পড়ছেন। শিক্ষিত-ভদ্র মার্জিত ইঞ্জিনিয়ার আমিনুলকে তাদের প্রতিনিধি নির্বাচিত করতে বেলকুচিবাসী ঐক্যবদ্ধ হয়েছে। অন্যদিকে, তার প্রতিদ্বন্ধি প্রার্থীরা ইঞ্জিনিয়ার আমিনুল ইসলামের জনপ্রিয়তা দেখে ঈর্ষান্বিত হয়ে নানা অপপ্রচার লিপ্ত রয়েছে। সামান্য ঘটনাকে চুন-কালি লাগিয়ে অপপ্রচার ও অভিযোগ দিয়ে নানাভাবে হয়রানি করছে। এমনকি স্থানীয় সংসদ সদস্য তার পরিবারের স্বজনকে জড়িয়ে মিথ্যা অপ্রচার চালাচ্ছে। তবে বেলকুচিবাসী ইঞ্জিনিয়ার আমিনুলের পক্ষে ঐক্যবদ্ধ হয়ে ইঞ্জিনিয়ার আমিনুল ইসলামকে জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত করতে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন।
জানা যায়, আগামী ৮ মে ষষ্ঠধাপের প্রথম উপজেলা পরিষদ নির্বাচন ইভিএমে অনুষ্ঠিত হবে। বেলকুচিতে ইঞ্জিনিয়ার আমিনুল ছাড়াও এনায়েতপুর থানা আওয়ামীলীগের অর্থ বিষয়ক সম্পাদক বদিউজ্জামান বদি ও সাবেক যুগ্ম সম্পাদক সেরাজুল ইসলাম নির্বাচনে প্রতিদ্বন্ধিতা করছেন। তিনজনের মধ্যে জনপ্রিয়তার শীর্ষে রয়েছেন ইঞ্জিনিয়ার আমিনুল ইসলাম। ১৯৭৭ সালের ১৪ মে বেলকুচির সুবর্নাসাড়া গ্রামে জন্মগ্রহন করেন ইঞ্জিনিয়ার আমিনুল ইসলাম। ব্যক্তিজীবনে এ্যালায়েন্স টেক্সওয়ার লি. পরিচালক, এছাড়াও ট্রপিক্যাল নিটেক্স, কটনক্লাব বিডি লি. কটন ক্লথিং বিডি লি. ও কটন ক্লাউট বিডি, মন্ডল গ্রুপের জিএম অপারেশন হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। বিএসসি ইন টেক্সাটাইল পাস ইঞ্জিনিয়ার আমিনুল ইসলাম চাকুরী ও ব্যবসার পাশাপাশি সরাসরি আওয়ামীলীগ রাজনীতির সাথে জড়িত। পরিবারের সকল সদস্যে আওয়ামীলীগ রাজনীতির সাথে জড়িত। ছাত্রজীবনে তিনি বাংলাদেশ টেক্সটাইলস বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি, পেশাজীবী সংগঠন বঙ্গবন্ধু টেক্সাটাইল এ্যাসোসিয়েশনে জয়েন্ট সেক্রেটারী ও বেলকুচি থানা আওয়ামীলীগের কার্যকরী সদস্যের দায়িত্ব পালন করেছেন। এছাড়াও তিনি ব্যক্তি জীবনে আওয়ামীলীগের সকল কর্মসুচী পালন করেছেন। এলাকার অসহায় দরিদ্রদের কর্মসংস্থান ও বিভিন্ন সহযোগিতা করেছেন। শুধু দল নয় দলের বাইরে সাধারন মানুষের জন্য কাজ করেছেন। বেলকুচির সাধারন মানুষের ভালবাসা নিয়ে তিনি এবার উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করেছেন। নির্বাচনে আওয়ামীলীগের অধিকাংশ নেতাকর্মী ও সাধারন জনগন তার পক্ষে মাঠে নেমেছেন। ইঞ্জিনিয়ার আমিনুলের পক্ষে গনজোয়ার সৃষ্টি হয়েছে। তার জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্বিত হয়ে প্রতিদ্বন্ধি প্রার্থী তাকে নির্বাচনী মাঠে ঘায়েল করতে না পেরে বিভিন্ন দপ্তরে নানা অভিযোগ দিয়ে হয়রানি করছেন। সম্প্রতি চালা সাতরাস্তা মোড়ে দুপক্ষের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা নিয়ে ঘটনা নিয়ে বেলকুচি থানায় তার প্রতিবন্ধী প্রার্থী বদিউজ্জামান বদি ফকিরের সাথে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় হয়েছে। পরে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রন করেন। কিন্তু সামান্য ঘটনাটিকে পুঁজি করে রংচং লাগিয়ে, এমনকি থানায় ঢুকে মারপিট করা হয়েছে এমন নানা রংচং মিশিয়ে বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ দেয়া হয়েছে। তবে বেলকুচি বাসী বলছে, এবার বেলকুচিবাসী ঐক্যবদ্ধ হয়েছে। বেলকুচি মানুষ একজন শিক্ষিত ও ভদ্র মানুষ হিসেবে ইঞ্জিনিয়ার আমিনুল ইসলামকেই বেচে নিবেন বলে প্রত্যাশা করছেন।
বেলকুচির সাধারন ভোটাররা বলছেন, নির্বাচন আসলে যেমন উৎসবমুখর পরিবেশ হয় তেমনি দুপক্ষের মধ্যে কথাকাটিও হয়-এটা অত্যন্ত স্বাভাবিক ঘটনা। এটাকে রংচং মাখিয়ে নির্বাচনী মাঠ উত্তপ্ত ও ঘোলাটে করা কাম্য নয়। তারা বলেন, এবার বেলকুচির তাঁতশ্রমিক, মালিক, কৃষক, শ্রমিক, রিক্সওয়ালা, চাকুরীজীবী, মৎস্যজীবী, ছাত্রলীগ, যুবলীগ ঐক্যবদ্ধ হয়েছে ইঞ্জিনিয়ার আমিনুলের পক্ষে। কোন ষড়যন্ত্র তার বিজয় ঠেকাতে পারবে না।
ইঞ্জিনিয়ার আমিনুল ইসলাম বলেন, আমি মানুষের জন্য রাজনীতি করি। বেলকুচি মানুষের সেবা করার জন্য নির্বাচনী মাঠে লড়ছি। জনগনের মধ্যেও ব্যাপক সাড়া রয়েছে। সবাই আমার প্রতীক দোয়াত-কলম মার্কায় ভোট দিতে ঐক্যবদ্ধ হয়েছে। কিন্তু প্রতিদ্বন্ধি প্রার্থীরা হেরে যাবে-তাই নির্বাচনী পরিবেশ নষ্ট করতে অযাচিতভাবে গায়ে পড়ে বিবাদ লাগাচ্ছে ও নির্বাচনী পরিবেশ নষ্ট করার পায়তারায় লিপ্ত রয়েছে। বিভিন্ন জায়গায় মিথ্যা বানোয়াট অভিযোগ দিয়ে হয়রানি করছে। কিন্তু বেলকুচির মানুষ ষড়যন্ত্র উপেক্ষা করে ৮ মে দোয়াত কলম প্রতীকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করে সকল ষড়যন্ত্রের জবাব দিবে-ইনশাআল্লাহ।