বুধবার, ১৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ০১:৩৭ অপরাহ্ন
আজকের শিরোনাম
নাটোরের হয়বতপুরে এক গার্মেন্টস শ্রমিকের স্বপ্নভঙ্গ—প্রভাবশালী প্রতারকের ফাঁদে নিঃস্ব মাসুদ রানা পরিবার মধ্য পালশা একতা যুব সংঘ ক্লাবের উদ্যোগে বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠিত শেরপুরে মহান বিজয় দিবস উদযাপনও জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের বিনম্র শ্রদ্ধা জাল কাগজ ও মিথ্যা মামলায় হয়রানির অভিযোগে লোহাগাড়ায় সংবাদ সম্মেলন জিয়া সাংস্কৃতিক সংগঠন বগুড়া জেলা কমিটির উদ্যোগে বিজয় দিবসে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি জাতীয় মানবাধিকার অ্যাসোসিয়েশন বগুড়া জেলা কমিটির উদ্যোগে বিজয় দিবসে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি ভুরুঙ্গামারী সরকারি কলেজে বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণী সিরাজগঞ্জ ৩ আসনে বিএনপি’র মনোনয়ন পুনঃ বিবেচনার দাবিতে গণমিছিল  আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন: আমাদের দায়িত্ব ও জনগণের প্রত্যাশা – আরমান হোসেন ডলার লন্ডনে গ্রেটার চট্টগ্রাম এসোসিয়েশন, ইউকে’র উদ্যোগে মহান বিজয় দিবস উদযাপিত

চিনি-লবণ মিশিয়ে নকল স্যালাইন বানাতো তারা

নিজস্ব প্রতিবেদক,ঢাকা / ১৩৭ বার দেখা হয়েছে
আপডেট: শনিবার, ৪ মে, ২০২৪



দাবদাহ, ডেঙ্গুসহ বিভিন্ন পানিবাহী রোগে আক্রান্ত হলে চাহিদা বাড়ে টেস্টি ও ওরস্যালাইনের। মানুষের এই চাহিদার কথা বিবেচনা করে ১২ বছর ধরে রাজধানীতে নকল স্যালাইন বিক্রি করে আসছিল একটি চক্র। যে স্যালাইন বানাতে তারা চিনি ও লবণ ব্যবহার করতেন। শুক্রবার সেই চক্রের তিন সদস্যকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি)। গ্রেফতারকৃদের থেকে দুই হাজার ৮০০ প্যাকেট নকল স্যালাইন উদ্ধার করা হয়েছে।

শনিবার (৪ মে) দুপুরে নিজ কার্যালয়ে ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার ও ডিএমপির ডিবিপ্রধান মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ এ ব্যাপারে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন। এর আগে শুক্রবার মতিঝিল থেকে গ্রেফতার করা হয় চক্রের সদস্যদের।

হারুন অর রশীদ বলেন, ‘দাবদাহ ও ডেঙ্গু রোগকে পুঁজি করে এই চক্র রাজধানীতে তৈরি করছিল নকল স্যালাইন। তারা এমএমসি স্যালাইন ব্র্যান্ডকে নকল করে এনএমসি লিখে মোড়ক বানাতো। তবে প্যাকেটের কালার, সাইজ ও বক্স দেখে পরখ করার কোনো উপায় নেই এটি আসল না নকল। চক্রটির তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আরও একজনকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।’

তিনি জানান, তাদের কাছ থেকে দুই হাজার ৮০০ প্যাকেট নকল স্যালাইন উদ্ধার করা হয়েছে। সাত কার্টন টেস্টি স্যালাইন উদ্ধার করা ছাড়াও বাকিগুলো তারা কোথায় কোথায় দিয়েছে, কোন ফার্মেসিতে বিক্রি করেছে তা জানার চেষ্টা চলছে।

ডিবিপ্রধান বলেন, তারা মানবতার ফেরিওয়ালা সেজে এসব নকল স্যালাইন বিতরণ করছিল। আবার যারা আসল মানবতার সেবক তারাও তাদের কাছ থেকে কিনছে। তারা ঢাকা ও ঢাকার বাইরে খেটে খাওয়া মানুষজনের মাঝে এগুলো বিতরণ করে। মানুষও এগুলো খাচ্ছে। মানুষ সাধারণত ডায়রিয়ায় পানিশূন্যতায় ভোগে। শরীরে ইলেকট্রলাইট বের হয়ে যায়। তখন স্যালাইন খায়। এই নকল স্যালাইন খাওয়ার পর ভালোর চেয়ে খারাপই বেশি হয়। কিডনি হার্ট লিভারের সমস্যা বেড়ে যায়। এমনকি ব্রেন ড্যামেজও হয়।

ডিবিপ্রধান আরও বলেন, চক্রটি চিনি-লবণ মিশিয়ে তৈরিকৃত প্যাকেটজাত স্যালাইন মানুষের কাছে বিলি ও বিক্রি করছিল। যেহেতু মানুষের স্যালাইন দরকার তারা তা কিনে গ্রামে পাঠাচ্ছে। আমরা চক্রটির চারজনের মধ্যে তিনজনকে গ্রেফতার করেছি। বাকিদেরও গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। তারা এসব স্যালাইন নকল হওয়ার বিষয়টি আমাদের কাছে স্বীকার করেছে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর