বৃহস্পতিবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ১২:৩৬ পূর্বাহ্ন
আজকের শিরোনাম
সুনামগঞ্জের জয়নগর এলাকায় সুরমা নদীতে পুলিশের অভিযানে ভারতীয় অবৈধ ৩১টি গরু এবং নৌকসহ ২জন আটক স্কটল্যান্ডে বাংলাদেশের কনসাল জেনারেল ড. ওয়ালী তসর উদ্দিন এমবিই হাউস অব লর্ডসে বিশেষ সম্মাননায় ভূষিত কর্ণফুলীতে সন্ত্রাস বিরোধী আইনে যুবলীগ নেতা মোহাম্মদ সালাউদ্দিন গ্রেফতার শেরপুরে অবৈধ ইটভাটায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান: ১৪ লাখ টাকা জরিমানা সুনামগঞ্জ সদর উপজেলায় টি আর ও কাবিখা প্রকল্পে ১৩৫টি উন্নয়ন কাজ বাস্তবায়ন শেরপুরে ব্র্যাকের একসেলারেটেড এডুকেশন মডেল বাস্তবায়নে অভিজ্ঞতা বিনিময় সভা অনুষ্ঠিত নাটোরের হয়বতপুরে এক গার্মেন্টস শ্রমিকের স্বপ্নভঙ্গ—প্রভাবশালী প্রতারকের ফাঁদে নিঃস্ব মাসুদ রানা পরিবার মধ্য পালশা একতা যুব সংঘ ক্লাবের উদ্যোগে বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠিত শেরপুরে মহান বিজয় দিবস উদযাপনও জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের বিনম্র শ্রদ্ধা জাল কাগজ ও মিথ্যা মামলায় হয়রানির অভিযোগে লোহাগাড়ায় সংবাদ সম্মেলন

তাড়াশে চালের কার্ড করে দেওয়ার নামে টাকা নিয়েছেন চেয়ারম্যানের শ্বশুড়

তাড়াশ (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধিঃ / ১৩২ বার দেখা হয়েছে
আপডেট: বুধবার, ৫ জুন, ২০২৪


সিরাজগঞ্জের তাড়াশে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির আওতায় হতদরিদ্র, গরীব অসহায় পরিবারকে ৩০ কেজি করে সাশ্রয়ী মূল্যে চালের কার্ড করে দেওয়ার নামে টাকা তুলে আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে সগুনা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জুলফিকার আলী ভুট্টুর শ্বশুর মো. শহিদুল ইসলামের বিরুদ্ধে।

এর প্রতিকার চেয়ে মঙ্গলবার (৪ জুন) বিকালে তাড়াশ উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ওই ইউনিয়নের ধাপতেতুলিয়া গ্রামের ভুক্তোভোগী ১৫ টি পরিবার।

বুধবার (৫ জুন) দুপুরে লিখিত অভিযোগ পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন, তাড়াশ উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) সুইচিং মং মারমা।

লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, প্রায় দেড় বছর আগে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির আওতায় হতদরিদ্র, গরীব অসহায় পরিবারকে ৩০ কেজি করে সাশ্রয়ী মূল্যে চালের কার্ড করে দেওয়ার নামে ধাপতেতুলিয়া গ্রামের ১৫টি পরিবারের কাছে থেকে ৬০ হাজার টাকা নিয়েছেন সগুনা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জুলফিকার আলী ভুট্টুর শ্বশুর মো. শহিদুল ইসলাম। পরে ইউনিয়ন পরিষদে চাল বিতরণের সময় গেলে তিনি জানান এবার তোমাদের নাম আসেনি। এরপর তোমাদের নাম আসলে তোমরা চাল কিনতে পারবে। এভাবে মিথ্যা আশ্বাস দিতে থাকেন শহিদুল ইসলাম। দীর্ঘদিন ধরে কার্ড না পাওয়া তার কাছে গেলে তিনি অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন। এছাড়া তিনি বিভিন্ন ভাবে ওই ১৫টি পরিবারকে হুমকি-ধামকি দিয়ে আসছেন।

ভুক্তভোগী জাহিদুল, মোখলেছ, জাহাঙ্গীর বলেন, দেড় বছর ধরে কার্ড না হওয়ায় টাকা ফিরত চাওয়ায় আমাদের নামে দেওয়া হয়েছে চাঁদাবাজী মামলা।

অপর দিকে সগুনা ইউনিয়ন পরিষদের ইউপি সদস্য মো. চাঁদ আলী বলেন, এ ওয়ার্ডে সরকারী সকল বরাদ্দ চেয়ারম্যান তার শ্বশুর শহিদুলের মাধ্যমে বিতরণ করে থাকেন।

এ বিষয়ে সগুনা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জুলফিকার আলী ভুট্টুর শ্বশুর মো. শহিদুল ইসলাম বলেন, আমি কিছু লোকজনের টাকা নিয়েছিলাম। কার্ড না হওয়ায় আমি সে টাকা ফিরত দিয়েছি।

তবে বিষয়টি জানার পরে শ্বশুরকে টাকা ফিরত দিতে বলেছেন বলে জানান, সগুনা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জুলফিকার আলী ভুট্ট। তিনি আরো বলেন, যাদের নামে কার্ড হয়নি তাদের আগামীতে কার্ড করে দিবো।

এ প্রসঙ্গে তাড়াশ উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) সুইচিং মং মারমা বলেন, একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে অবশ্যই আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর