শুক্রবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৪:৫২ অপরাহ্ন
আজকের শিরোনাম
শেরপুরে সুজনের কমিটি পুনর্গঠন ও পরিকল্পনা সভা। অসহায় রোগীদের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে নানিয়ারচর সেনা জোনের বিনামূল্যে ঔষধ ও চিকিৎসা সেবা প্রদান খ্রিষ্টান ধর্মাবলম্বীদের বড়দিন উপলক্ষে নানিয়ারচর সেনা জোনের নগদ অর্থ প্রদান ও মিষ্টি বিতরণ আ,লীগের দূষর রুকন উদ্দিন এর দাপট,তাহিরপুরে এসিল্যান্ডের সাথে করলো দূব্যবহার সারাদেশে বেসরকারি বৃত্তি পরিক্ষা শহিদ হালিম লিয়াকত স্মৃতি বৃত্তি পরিক্ষা-২০২৫ সম্পন্ন দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে কামরুজ্জামান কামরুলের পক্ষে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ। শেরপুরে গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে নবাগত ইউএনও’র সৌহার্দ্যপূর্ণ মতবিনিময় শেরপুরের ঝিনাইগাতীতে  আইন শৃঙ্খলা কমিটির সভা অনুষ্ঠিত  সুনামগঞ্জ-১ আসনে ভোটের অঙ্ক বদলাচ্ছে, বিএনপি–জামায়াত–চরমোনাইয়ের ত্রিমুখী লড়াইয়ের ইঙ্গিত। লাকসাম রেলওয়ে জংশন লেক পাড়ের এসএস রেলিং চুরি, বিনোদন কেন্দ্রের সৌন্দর্য হুমকির মুখে

বন্যার পানি নেমে যাওয়ায় স্পষ্ট হয়ে উঠছে ক্ষতচিহ্ন, ৯ উপজেলায় কৃষিতেই ১০৫ কোটি টাকা ক্ষতি

মোঃ বুলবুল ইসলাম, কুড়িগ্রাম প্রতিনিধিঃ / ৯৫ বার দেখা হয়েছে
আপডেট: সোমবার, ১৫ জুলাই, ২০২৪

বন্যার পানি নেমে যাওয়ার স্পষ্ট হয়ে উঠছে ক্ষতচিহ্ন। ক্ষেতের মাচান থাকলেও নেই সবুজ গাছ। পানির নিচ থেকে ভেসে উঠছে পাট, পটল, আমন বীজতলা ও বেগুনসহ বিভিন্ন সবজি ক্ষেত। দ্বিতীয় দফায় দীর্ঘ স্থানীয় বন্যায় জেলার ৯ উপজেলায় শুধুমাত্র কৃষিতেই ক্ষতি হয়েছে ১০৫ কোটি টাকা।


জেলা কৃষি বিভাগের তথ্যমতে জেলার ৯ উপজেলায় শুধুমাত্র কৃষিতে ৮ হাজার হেক্টর জমির বিভিন্ন ফসল তলিয়ে যায়। এতে ক্ষতি হয়েছে ১০৫ কোটি টাকা। আর ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকের সংখ্যা দাড়িয়েছে প্রায় ৫০ হাজার। অপরদিকে বন্যার পানির প্রবল স্রোতে গ্রামাঞ্চলের কাঁচা পাকা সড়কগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বিভিন্ন যানবাহনে যাতায়াত করছে মানুষজন। এসব গ্রামীণ কাঁচাপাকা সড়ক ও ঘর বাড়ির ক্ষতি নিরুপনে কাজ করছেন সংশ্লিষ্ট দপ্তর।

কুড়িগ্রাম সদরের পাঁচগাছী ইউনিয়নের সিতাই ঝাড় এলাকার কৃষক ছমির আলী বলেন, আমার এক বিঘা জমির পটলের আবাদ শেষ। এখনো বাড়ির চারিদিকে পানি। আমন বীজতলা করতে পারছি না। আমন আবাদও মনে হয় করা হবে না।

একই এলাকার কৃষক মোস্তাফা বলেন, বানের পানিতে এখনো সব জমি তলিয়ে। বীজতলা করার সময় শেষের দিকে। এবার আমাদের এলাকার কৃষক কেমন করে আবাদ করবে চিন্তায় বাঁচে না সবাই।

কুড়িগ্রাম কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ পরিচালক মোঃ আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, দ্বিতীয় দফা বন্যায় কুড়িগ্রামের ৯ উপজেলায় কৃষি সেক্টরে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। আমরা ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকের তালিকা করছি। এছাড়াও কৃষকরা যেন আমন আবাদ ভালোভাবে করতে পারে পরামর্শ দিচ্ছি।

কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ রাকিবুল হাসান জানান, প্রায় দুই সপ্তাহ পর ব্রহ্মপুত্রসহ জেলার উপর দিয়ে প্রবাহিত সব নদ নদীর পানি বিপদসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তবে এই মুহূর্তে বন্যার কোন পূর্বাভাস নেই।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর