বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নস্যাতের জন্য পরিকল্পনাকারী সিরাজগঞ্জ জেলা শিক্ষা অফিসার (চলতি দায়িত্ব) আফছার আলী এখনো বহাল তবিয়তে রয়েছে। এতে জেলায় কর্মরত শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মধ্যে চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে। দ্রুত চক্রান্তকারী শিক্ষা অফিসারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহনের দাবী জানিয়েছেন।
জানা যায়, ছাত্র আন্দোলন নস্যাত করার জন্য স্থানীয় সাবেক সংসদ সদস্য ড. জান্নাত আরা হেনরীর সাথে টেলিফোনে ছাত্র আন্দোলন নস্যাত করতে কু-পরামর্শ করেন। সেই মোতাবেক গত ৩ আগষ্ট জেলা সদরের কর্মরত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধানদের স্থানীয় এমপি হেনরী বাসায় মতবিনিময় সভার জন্য প্রত্যেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধানকে চিঠি ইস্যু করেন। চিঠিতে ৪ আগষ্ট বিকেলে সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধানদের আসার জন্য নির্দেশ প্রদান করা হয়েছিল। সরকারের নিয়ম বহির্ভুতভাবে এ চিঠি ইস্যু করা হয়েছিল বলে শিক্ষকরা জানিয়েছে।
বেশ কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধান জানান, মুলত কোন প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা যাতে আন্দোলনে অংশগ্রহন করতে না পারে সে জন্য মিটিংটি ডাকা হয়েছিল। যেভাবে হোক আন্দোলন বন্ধ করতে হবে তার জন্য ডাকা মিটিংটি ছাত্র আন্দোলন চুড়ান্ত রূপ ধারন করায় অটোমেটিক বাতিল হয়। তারা জানান, যদি আন্দোলন চুড়ান্ত রূপ ধারন না করত তবে প্রতিষ্ঠান প্রধানদের দিয়ে জেলা শিক্ষা অফিসার আফছার আলী ও ড. জান্নাত আরা হেনরী বিভিন্ন চাপ প্রয়োগ করত। তারা বলেন, ছাত্র আন্দোলনের ফলে সরকার পতন হলেও এখনো ষড়যন্ত্রকারী আফসার আলী বহাল তবিয়তে রয়েছে। রূপ পাল্টিয়ে এখন বলছে তিনি ছাত্র আন্দোলনের পক্ষে ছিল। এরূপ একজন জঘন্য প্রকৃতির শিক্ষা অফিসারকে দৃষ্টান্তমুলক শাস্তির দাবী জানিয়েছেন শিক্ষক সমাজ।
এ বিষয়ে চিঠিটি ইস্যু করার অবৈধ ছিল স্বীকার করছি। কিন্তু এমপির নির্দেশে চিঠি ইস্যু করা হয়েছিল।