মঙ্গলবার, ১৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৫:৪২ অপরাহ্ন
আজকের শিরোনাম
শেরপুরে মহান বিজয় দিবস উদযাপনও জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের বিনম্র শ্রদ্ধা জাল কাগজ ও মিথ্যা মামলায় হয়রানির অভিযোগে লোহাগাড়ায় সংবাদ সম্মেলন জিয়া সাংস্কৃতিক সংগঠন বগুড়া জেলা কমিটির উদ্যোগে বিজয় দিবসে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি জাতীয় মানবাধিকার অ্যাসোসিয়েশন বগুড়া জেলা কমিটির উদ্যোগে বিজয় দিবসে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি ভুরুঙ্গামারী সরকারি কলেজে বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণী সিরাজগঞ্জ ৩ আসনে বিএনপি’র মনোনয়ন পুনঃ বিবেচনার দাবিতে গণমিছিল  আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন: আমাদের দায়িত্ব ও জনগণের প্রত্যাশা – আরমান হোসেন ডলার লন্ডনে গ্রেটার চট্টগ্রাম এসোসিয়েশন, ইউকে’র উদ্যোগে মহান বিজয় দিবস উদযাপিত লালমনিরহাট টিটিসি’র প্রশিক্ষণের পরিবেশ বিনষ্ট করতে উঠেপড়ে লেগেছে গিয়াস উদ্দিন  ভুরুঙ্গামারীতে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা

সারা দেশে চিকিৎসকদের ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ ঘোষণা

রিপোর্টারের নাম / ১২৬ বার দেখা হয়েছে
আপডেট: রবিবার, ১ সেপ্টেম্বর, ২০২৪

ঢাকা মেডিকেল কলেজে হাসপাতালের অপারেশন থিয়েটারে ঢুকে চিকিৎসকদের ওপর হামলার ঘটনায় নিরাপদ কর্মস্থলসহ চার দফা দাবিতে আজ রবিবার দুপুর ২টা থেকে সারা দেশের সব সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন চিকিৎসকরা।

দুপুর পৌনে ১টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজের প্রশাসনিক গেটে নিউরোসার্জারি ওয়ার্ডের চিকিৎসক ডা. আবদুল আহাদ এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
তিনি বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় যে দুইবার ইনসিডেন্ট ঘটেছে, সেখানে আমাদের চিকিৎসকরা নিজের জীবন বাজি রেখে ২৪ ঘণ্টা সেবা দিয়েছেন। এমনকি নিজের পকেট থেকে টাকা দিয়েছেন, খাবার দিয়েছেন। আমরা বাংলাদেশের ডাক্তাররা বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের একটা অংশ। গতকাল যে ঘটনা ঘটেছে, নিউরোসার্জারির অপারেশন থিয়েটার থেকে রোগীর লোক এক ডাক্তারকে বের করে এনে মারধর করে। শুধু তাই নয়, মারতে মারতে ২০০/৩০০ মিটার দূরে পরিচালকের রুমে নিয়ে যায়।

ডা. আহাদ বলেন, এ বিষয় নিয়ে আমরা দফায় দফায় বৈঠক করি। বৈঠকে দুটি বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছে। একটি হলো, অভিযুক্তদের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেফতার করতে হবে। দ্বিতীয়টি হলো, আমাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। আমরা যারা জরুরি বিভাগে থাকি তাদের নিরাপত্তার জন্য আর্মি-পুলিশসহ অন্যান্য ফোর্স এখানে থাকবে। কিন্তু আমাদের প্রশাসন সেটা দিতে ব্যর্থ হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, গত রাতে আরও দুটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটে। বাইরে এক গ্রুপ এক ব্যক্তিকে আক্রমণ করে। সেই গ্রুপ চিকিৎসা নিতে ঢাকা মেডিকেলে আসে। তখন বিপক্ষ গ্রুপ ঢাকা মেডিকেলের জরুরি বিভাগে এসে চিকিৎসা নিতে আসা গ্রুপকে আবার মারধর করে। তাহলে যেখানে রোগীও নিরাপদ না, সেখানে চিকিৎসকরা কেমন করে নিরাপদ থাকবেন? কিছুক্ষণ পর জরুরি বিভাগের ইমার্জেন্সি মেডিকেল সার্ভিস সেন্টারে (ওসেক) এক যুবকের মারা যাওয়াকে কেন্দ্র করে সেখানে দায়িত্বরত ডাক্তার ও নার্সদের ওপর হামলা হয়, ইমার্জেন্সিতে ভাঙচুর করে। আমরা দেখতে পাই ডাক্তার ও রোগী কেউ নিরাপদ নয়।

ডা. আহাদ বলেন, হাসপাতালের পরিচালকের অনুরোধে রাত ১১টার পরে আমরা কর্মক্ষেত্রে ফিরে যাই। রাত থেকে সকাল ৮টা পর্যন্ত ডিউটি করি। কিন্তু কোনো সিকিউরিটি আমরা দেখতে পাইনি। তাই আমরা বাধ্য হয়ে নিজের নিরাপত্তার জন্য কর্মবিরতি করছি। সারা বাংলাদেশের সরকারি-বেসরকারি সব হাসপাতাল বন্ধ থাকবে।

তবে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক বিগ্রেডিয়ার জেনারেল আসাদুজ্জামান জানিয়েছেন, ভর্তি রোগীদের চিকিৎসা চলবে, পাশাপাশি নিরাপত্তার ব্যবস্থা করে অতি দ্রুত সময়ের মধ্যে জরুরি বিভাগ চালু করা হবে।

চার দফা দাবি হলো :

১. হাসপাতালের মতো জনসেবামূলক প্রতিষ্ঠানে যেসব ব্যক্তি বা কুচক্রী মহল এই ন্যক্কারজনক ঘটনার সঙ্গে জড়িত, তাদের চিহ্নিত করা। আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তাদের গ্রেফতার করা। দ্রুত বিচার আইনের মাধ্যমে তাদের শাস্তির আওতায় আনা।

২. নিরাপদ কর্মস্থল নিশ্চিত করা। এ লক্ষ্যে অবিলম্বে দেশের সব স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানে স্বাস্থ্য পুলিশের (আমর্ড ফোর্স) মাধ্যমে নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।

৩. নিরাপদ স্বাস্থ্যসেবা প্রদানের লক্ষ্যে হাসপাতালে রোগীর ভিজিটর (ভিজিটর কার্ডধারী) ছাড়া বহিরাগত কাউকে কোনোভাবেই ভেতরে প্রবেশ করতে না দেওয়া। বিষয়টি স্বাস্থ্য পুলিশের মাধ্যমে নিশ্চিত করা।

৪. হাসপাতালে রোগীর সেবা প্রদানের ক্ষেত্রে কোনো অবহেলা-অসংগতি পরিলক্ষিত হলে, তা যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ আকারে জানানো। এভাবে শাস্তি নিশ্চিত করা যেতে পারে, কিন্তু কোনোভাবেই আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়া যাবে না।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর