বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অভ্যুত্থানে সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনার দেশত্যাগের পর বিএনপি-জামায়াত অধ্যুষিত পিরোজপুরের ইন্দুরকানী উপজেলায় গত ৫ আগস্ট থেকে ব্যাপক নৈরাজ্য ও সহিংস ঘটনা ঘটেছে। শেখ হাসিনা দেশ ছাড়ার পর ঐদিন বিকেল থেকে অসংখ্য আ.লীগ নেতাকর্মীদের উপর হামলা,বাড়িঘর, ব্যাবসা প্রতিষ্ঠান ও বিভিন্ন দলীয় কার্যালয়,দখল, ভাংচুর,অগ্নিসংযোগ এবং সংখ্যালঘুদের বাড়িঘরে লুটপাট চালানো হয়েছে। রক্ষা পায়নি এদের গৃহপালিত গবাদী পশু গুলোও। হামলার ঘটনা ঘটেছে সরকারি বিভিন্ন স্থাপনায়ও। উপজেলার বিভিন্ন স্বাস্থ্য ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলোতে সাটানো বঙ্গবন্ধু ও শেখ হাসিনার ছবি নামিয়ে ভেঙ্গে ও পুড়িয়ে ফেলা হয়েছে । ভাংচুর করা হয় বঙ্গবন্ধু ও শেখ হাসিনার মুরাল এবং বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকান্ডের নামফলক। উপজেলার পাঁচটি ইউনিয়নের মধ্যে সবচেয়ে বেশি হামলা- ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে পাড়েরহাট এবং বালিপাড়া ইউনিয়নে। দুটি হিন্দু বাড়ি সহ আওয়ামী লীগ সমর্থকদের পনেরটি বাড়ি ঘর, ব্যক্তিগত কার্যালয় ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে দেয়ার ঘটনা ঘটেছে। এছাড়া ভাঙচুর, দখল ও লুটপাট চালানো হয়েছে আওয়ামী সমর্থিত শতাধিক বাড়িঘর, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও দলীয় কার্যালয়ে। দখল করে নেয়া হয়েছে বেশ কয়েকজনের ফসলি ও বসতবাড়ির জমি। লুটের ঘটনা ঘটেছে আ.লীগ কর্মি ও হিন্দুদের কারো কারো বাড়ির গরু, ছাগল, হাস মুরগি।
এদের হাতেএখন পর্যন্ত হামলার শিকার হয়েছেন ২০জনেরও বেশি আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মী সমর্থক।
হামলা ও সম্প্রতি দায়ের কৃত বিভিন্ন মামলার কারনে পুলিশের গ্রেপ্তার আতঙ্কে ঘরবাড়ি ও এলাকা ছেড়ে গা ঢাকা দিয়েছেন আ.লীগ ও সহযোগী সংগঠনের প্রায় ৪ শতাধিক নেতাকর্মী। অনেকে আবার পরিবার পরিজন নিয়েও এলাকা ছেড়েছেন। ভয়ে আশপাশের এলাকায় গিয়ে আত্মীয়-স্বজনের বাড়িতে গিয়ে আশ্রয় নিয়েছেন কেউ কেউ। হুমকি ধামকির কারণে
ভয়ে হাটবাজারেও উঠছেন না কেউ। চলমান এ অস্থিরতায় বিভিন্ন গ্রামে এখনো চরম আতঙ্কে রয়েছেন আ.লীগ পরিবার গুলো । ৫ই আগষ্টের পরে যেসব নেতা কর্মীদের বাড়িঘরে হামলা চালানো হয়েছে তাদের নামে আবার একাধিক রাজনৈতিক হয়রানি মূলক মামলা ঠুকে দিয়ে এলাকা ছাড়া করার অভিযোগ রয়েছে।
এদিকে সহিংস কর্মকাণ্ড থেকে বিরত থেকে এলাকায় কোন রকম বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি না করে দলীয় নেতাকর্মীদের শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন সাবেক উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মাসুদ সাঈদী ও জেলা বিএনপির নেতৃবৃন্দ।
হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকে ইন্দুরকানী উপজেলায় যেসব সহিংস ঘটনা ঘটেছে তার মধ্যে মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর যুদ্ধাপরাধ মামলার বাদী সাবেক উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মাহাবুব আলম ও সাক্ষী মানিক পশারির বসতঘরে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দিয়েছে বিএনপি জামাতের কর্মীরা। হামলার ভয়ে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে বাড়িঘর ছেড়ে অন্যত্র গা ঢাকা দিয়েছেন তারা। একাধিক বার হামলার ঘটনা ঘটেছে ইন্দুরকানী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান জিয়াউল আহসান গাজীর পিরোজপুরের বাস ভবনেও।
এছাড়া পাড়ের হাটে উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ইসরাফিল খান নেওয়াজ এর বাসায় ভাঙচুর, লাউরী ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি শাহিন হোসেনের দোকান ঘর ভাঙচুর ও তাকে মারধর,পাড়ের হাট ইউপি চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান শাওনের টগড়া মোড়ের ব্যক্তিগত অফিস সহ আরো দুটি দোকান আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয়া হয়েছে। এছাড়া পাড়ের হাট ১ নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি পান্না তালুকদারের বাড়ি লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ, পাড়েরহাট ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক রবিউল এর বাড়ি লুটপাট ও ভাংচুর, ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোস্তফার বাড়ি ভাংচুর ও লুটপাট, পাড়েরহাট ইউনিয়ন পরিষদের বঙ্গবন্ধু ও শেখ হাসিনার মু্রাল ভাংচুর,বৌডুবী অফিস ভাংচুর ও লুটপাট, কালীবাড়ি অফিস ভাংচুর ও লুটপাট,
ইউনিয়ন কৃষক লীগের সাবেক সভাপতি
জলীল খান এর বাড়ী ও গরু লুট, বৌডুবীতে যুবলীগ কর্মী নাদিমকে মারধর,পাড়ের হাট ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সদস্য লাহুরী গ্রামের পবিত্রর বাড়ি লুটপাট ও ভাংচুর করা হয়। পাড়ের হাট ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মাহাতাব হাওলাদার এর বাড়ি ভাংচুর, পাড়ের হাট ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মহসিন হাওলাদার এর বাড়ি ভাংচুর, ৫নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক উমেদপুর গ্রামের মন্নান ফরাজী এর বাড়ি ভাংচুর ও লুটপাট,ওয়াপদা বাজার আ.লীগের অফিস ভাংচুর ও লুটপাট, টগড়া ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ নেতা নাছির হাওলাদার এর বাড়ি ভাংচুর,পাড়ের হাট ইউনিয়ন যুবলীগের যুগ্ন- আহ্বায়ক জুয়েল এর টগড়া ফেরিঘাটের দোকান ভাঙচুর, টগড়া মোড় এলাকায় আসাদূল মৃধার দোকান লুট ও অগ্নিসংযোগ, কবির তালুকদার এর হোটেল ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ,ফোরকান তালুকদার এর দোকান ভাঙচুর, নলবুনিয়া গ্রামের জামাল হোসেনের বাড়ি ভাংচুর ও লুটপাট, কামাল এর বাড়ি ভাংচুর ও লুটপাট,টগড়া প্রাইমারি স্কুলে ভাংচুর, চালনা ব্রীজ এলাকায় আওয়ামী লীগ সমর্থিত এক ব্যক্তির দোকান ভাংচুর ও লুট,নলবুনিয়া ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শাহিন মাষ্টার এর বাড়ি লুটপাট ও ভাংচুর, যুবলীগ নেতা মিজান এর দোকান ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ ও হাসানের দোকান লুট করা হয়। ভাঙচুর করা হয়েছে শহীদ শেখ ফজলুল হক মনি সেতুর টোল প্লাজায় । সেখানে জামাত শিবিরের কর্মীরা সেতুর নাম মুছে আল্লামা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর নামে সেতুর নামকরণ করে ব্যানার টানিয়ে দিয়েছে।
পত্তাশীর রামচন্দ্র গ্রামে কমলেশ নামে এক হিন্দু বাড়িতে ভাংচুর, ইউনিয়ন যুবলীগের সাবেক আহবায়ক মজিদ ফকিরের উপর হামলা,উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা এইচ এম বজলুর রহমান মিন্টুর বাড়িতে ভাংচুর ও লুটপাট, ইউনিয়ন যুবলীগের আহ্বায়ক শাহিন হোসেন ও তার ভাই উপজেলা ছাত্রলীগ নেতা সোহাগ হোসেনের মোটরসাইকেল নিয়ে আটকে রাখা,পত্তাশী ইউনিয়নের সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মোয়াজ্জেম হোসেনের বাজারের বাসায় ভাঙচুর করা হয়েছে এবং পুকুরের মাছ লুট করে নেয়া হয়েছে।
এছাড়া বালিপাড়া সাতঘর এলাকার ওয়ার্ড যুবলীগ নেতা শারীরিক প্রতিবন্ধী ইদ্রিসের গরু, ছাগল লুট ও দোকান ঘর ভাঙচুর, আ.লীগ কর্মী মজিবর শেখ ও তার ছেলে ওয়ার্ড যুবলীগ নেতা শাহিন শেখের বসতঘর ভাংচুর, বালিপাড়া গ্রামের ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ.লীগ সমার্থক দেলোয়ার মোল্লার গরু লুট, আ.লীগ নেতা এ হাছান হিরনের একটি গরু লুট,বালিপাড়া ইউনিয়ন যুবলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শেখ শামীম এর বসতঘর ভাংচুর, লুটপাট ও মারধর, ৮ নং ওয়ার্ড যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক রাসেল শিকদারের পথেরহাট বাজারের দোকানপাট ভাঙচুর,পশ্চিম বালিপাড়ার ওয়ার্ড যুবলীগ নেতা এনামুল এর পিতা বাদশা মিস্ত্রীকে মারধর,বালিপাড়া বাজারের ফার্মেসী ব্যাবসায়ী শাকিল খান ও মুদি দোকানী কামরুলের কাছ থেকে চাঁদা আদায়, ৯ নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ শাহ্ আলম মল্লিকের বসতবাড়িতে অগ্নিসংযোগ,পশ্চিম বালি পাড়া গ্রামের আওয়ামীলীগ নেতা আব্দুল গাফফারের দোকান ভাঙচুর, লুটপাট,বালিপাড়া ৪ নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি আব্দুল লতিফের বসতঘর ভাংচুর, বালিপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের অস্থায়ী কার্যালয়ের জানালার গ্লাস ভাঙচুর, বালিপাড়া গ্রামের ছাত্রলীগ কর্মী জাহিদকে পিটিয়ে যখম,বালিপাড়া ইউনিয়ন শ্রমিক লীগের সাবেক সভাপতি বাদশার বসতঘরে অগ্নিসংযোগ, বটতলায় আরো দুটি বাড়িতে ভাঙচুর লুটপাট,রাজমিস্ত্রি সোহেল ফকিরের বসত ঘর লুট,মাওলানা আব্দুল খালেক এর বাসায় লুট,বালিপাড়া ইউনিয়ন শ্রমিক লীগের সাবেক সভাপতি আলমগীর সেপাইর বসতঘর,তার ভাই আজিম সেপাইর বসতঘর ভাংচুর, ছেলে হাফিজুল ও ইকবাল সেপাইর বসতঘর ভাংচুর করা হয়। আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেওয়া হয় ফকিরহাটে আ.লীগ সমর্থকের দুটি দোকান ঘর।
এছাড়া বালিপাড়ার সাউদখালীতে ইউপি সদস্য শাহারিয়ারের বাসায় ভাঙচুর ও লুটপাট, শেখ রাসেল ক্লাব ভাঙচুর, সাউদখালী গ্রামের স্থানীয় ওয়ার্ড যুবলীগ নেতা লোকমানের বসতঘরে অগ্নিসংযোগ ও মুরগির ফার্মে লুট এবং পশ্চিম বালিপাড়া গ্রামের মহিলা আ.লীগ কর্মী কারিমা বেগমকে বেধরক পেটানো হয়।
চন্ডিপুর ইউনিয়নের ইউপি সদস্য ইউসুফ আলী জোমাদ্দারের বসতঘরে হামলা, কলারন ৭ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুগ্ম- সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমানের মটর সাইকেল ও বসতঘরে অগ্নিসংযোগ এবং কুপিয়ে গুরুতর জখম, কলারন আবাসনে স্থানীয় আ.লীগ নেতা জলিল জোমাদ্দারকে মারধর,পূর্ব চরবলেশ্বর গ্রামের সংখ্যালঘু পরিমল সরকার ও লক্ষন বালার বসতঘরের মালামাল লুট, হরলালের কাছ থেকে চাঁদা আদায়, কলারনে সংখ্যালঘু পাচু কাপালির বাড়ি লুট, খোলপটুয়া গ্রামে এক আ.লীগ কর্মীর পরিবারের সদস্যদের মারধর, পূর্ব চরবলেশ্বর গ্রামের যুবলীগ কর্মী রেজাউল ফকিরকে মারধর, আ, লীগ সমর্থক মোস্তফা শেখের বসতঘরে ভাংচুর,চন্ডিপুরহাটে রুহুল বাগার দুটি ভিটি দখল এবং ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোস্তফা কামাল হাওলাদারের দুটি ও তার ভাই মঞ্জু হাওলাদারের দুটি এবং মৎস্যজীবী লীগ নেতা মনির বাগার দুটি দোকান ঘর দখল করে ভাড়া আদায় করছে স্থানীয় বিএনপির নেতারা। এদিকে চন্ডিপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয় ও ইউনিয়ন ছাত্রলীগের দলীয় অফিসের ব্যানার, সাইনবোর্ড ফেলে দিয়ে দখল করে নেয় বিএনপি সমর্থকরা। তারা আওয়ামী লীগের কার্যালয় দখল করে বর্তমানে বিএনপির সাংগঠনিক কার্যালয়ের সাইনবোর্ড টানিয়ে দিয়েছে। এছাড়া গত ১৪ আগস্ট রাতে পূর্ব চরবলেশ্বর গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা শাহজাহান হাওলাদারের বাড়িতে তার স্ত্রীকে মারধর করে ধারালো অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে টাকা ও স্বর্ণালংকার লুট করে নিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। অপরিদকে চন্ডিপুর ইউনিয়ন যুবলীগ নেতা আলাল কে মারধর এবং ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক যুগ্ন আহবায়ক তরিকুল ইসলাম হিরাকে বাজার থেকে ডেকে নিয়ে বিএনপি’র দলীয় কার্যালয়ের মধ্যে আটকে রেখে শারীরিক নির্যাতন চালায় স্থানীয় ছাত্রদলের কর্মীরা।
অপরদিকে পাঁচ আগস্ট উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আতিকুর রহমান ছগিরের বসতবাড়িতে ঢুকে স্বর্ণালঙ্কার , টাকা পয়সা সহ ঘরের গুরুত্বপূর্ন মালামাল লুট করে বসত ঘর আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে দেয়া হয়েছে। এছাড়া তার একটি মোটরসাইকেলে অগ্নিসংযোগ করা হয়।সাতটি গরু, পুকুরের মাছ লুট ও ইন্দুরকানী বাজারের দোকান ঘর দখল করে নিয়েছে বিএনপির অঙ্গ সংগঠনের নেতা কর্মীরা। এছাড়া উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মৃধা মনিরুজ্জামানের বসতবাড়িতে ভাঙচুর, লুটপাট ও অগ্নি সংযোগের ঘটনা ঘটেছে।
অপরদিকে সদর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি তোবারেক আলী হাওলাদারের বসতবাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ভাংচুর ও লুটপাট, ঘোষের হাট বাজারে বাশার শিকদারের ব্যাবসা প্রতিষ্ঠানে ভাংচুর ও লুটপাট, উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ইকরামুল শিকদারের বসতবাড়ি ভাঙচুর ও লুটপাট,ঘোষের হাট বাজারের কয়েকটি দোকান ভাঙচুর, তার বড় ভাই বাহাদুর শিকদার ও ছেলে সালমান শিকদারকে মারধর,উপজেলা যুবলীগ নেতা মাসুদ রানার চাড়াখালিতে ক্লাব ঘর দখল, সেঁউতিবাড়িয়া গ্রামে ইউনিয়ন যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক সুমন হাওলাদারের উপর হামলা, চাড়াখালী গ্রামের যুবলীগ নেতা মাস্টার মনির হোসেনকে মারধর, উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মনির শিকদারের কাজী অফিসে ভাঙচুর , দক্ষিণ ইন্দুরকানী মিল বাড়ি এলাকায় সংখ্যালঘু দেবদাস মাস্টার ও সাবেক ইউপি সদস্য দিপঙ্কর ঢালি দিপুর বসতঘরে অগ্নিসংযোগ, নির্মলের বসতঘর ভাংচুর ও স্বপন আমিনের বসতঘর ভাংচুর করা হয়। এছাড়া ইন্দুরকানী উপজেলা সদরে আওয়ামী লীগের একটি কার্যালয়, স্বেচ্ছাসেবক লীগ ও ছাত্রলীগ কার্যালয়, উপজেলা অডিটরিয়ামে দরজা জানালা এবং উপজেলা পরিষদ চত্বরে বঙ্গবন্ধুর মূরাল ভাংচুর করা হয়। এছাড়া বিভিন্ন সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের বঙ্গবন্ধু ও শেখ হাসিনার ছবি ভেঙ্গে ফেলা সহ আরও কিছু বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটেছে উপজেলার বিভিন্ন স্থানে।
উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আতিকুর রহমান সগির বলেন, আমি ছাত্রলীগের সভাপতি থাকলেও কখনো কারো সাথে প্রতিহিংসার রাজনীতি করিনি। অথচ আমার সবকিছু লুটপাট করে নিয়ে ঘরবাড়ি পর্যন্ত জ্বালিয়ে দিয়েছে ওরা।
উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ
সম্পাদক মৃধা মনিরুজ্জামান বলেন, রাজনৈতিক প্রতিহিংসা বসত বিএনপি জামায়াতের কর্মীরা আমার বসত ঘরে আগুন দিয়ে সবকিছু পুড়িয়ে দিয়েছে।
একইভাবে ২০১৩ সালেও তারা ইন্দুরকানি উপজেলায় ব্যাপক নাশকতা চালিয়ে অনেক জান মালের ক্ষয়ক্ষতি করেছিল বলে জানান তিনি।
এ ব্যাপারে সাবেক উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জিয়াউল আহসান গাজী বলেন, গত ৫ আগস্ট বিকেল থেকে ব্যাপক তান্ডব চালানো হয়েছে ইন্দুরকানীতে। সংখ্যালঘু ও আওয়ামী লীগের অনেক নেতাকর্মীদের বাড়িঘর, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা, ভাঙচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে। হুমকি-ধামকি ও হামলা মামলার ভয়ে আমাদের অনেক নেতাকর্মিরা এখন এলাকা ছাড়া।