মঙ্গলবার, ১৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৮:১০ অপরাহ্ন
আজকের শিরোনাম
শেরপুরে মহান বিজয় দিবস উদযাপনও জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের বিনম্র শ্রদ্ধা জাল কাগজ ও মিথ্যা মামলায় হয়রানির অভিযোগে লোহাগাড়ায় সংবাদ সম্মেলন জিয়া সাংস্কৃতিক সংগঠন বগুড়া জেলা কমিটির উদ্যোগে বিজয় দিবসে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি জাতীয় মানবাধিকার অ্যাসোসিয়েশন বগুড়া জেলা কমিটির উদ্যোগে বিজয় দিবসে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি ভুরুঙ্গামারী সরকারি কলেজে বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণী সিরাজগঞ্জ ৩ আসনে বিএনপি’র মনোনয়ন পুনঃ বিবেচনার দাবিতে গণমিছিল  আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন: আমাদের দায়িত্ব ও জনগণের প্রত্যাশা – আরমান হোসেন ডলার লন্ডনে গ্রেটার চট্টগ্রাম এসোসিয়েশন, ইউকে’র উদ্যোগে মহান বিজয় দিবস উদযাপিত লালমনিরহাট টিটিসি’র প্রশিক্ষণের পরিবেশ বিনষ্ট করতে উঠেপড়ে লেগেছে গিয়াস উদ্দিন  ভুরুঙ্গামারীতে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা

বিনা চাষে রসুন লাগাতে ব্যস্ত চলনবিল অঞ্চলের কৃষকেরা

মোঃ মাহবুবুর রহমান, চলনবিল প্রতিনিধি: / ১৫৩ বার দেখা হয়েছে
আপডেট: রবিবার, ১৭ নভেম্বর, ২০২৪

মোঃ মাহবুবুর রহমান, চলনবিল প্রতিনিধি:

শস্য ভান্ডারখ্যাত দেশের বৃহত্তর বিল চলনবিল। আর এ বিল জুড়ে পানি নামার সাথে সাথে শুরু হয়ছে বিভিন্ন ফসল চাষ। এখন বিলে শুরু হয়েছে বিনাচাষে রসুনের আবাদ। রসুনের বীজ রোপন করতে ব্যস্ত হয়ে পড়ছে চলনবিলাঞ্চলের নারী-পুরুষ। এখন কৃষক হালচাষ ছাড়াই রসুন রোপন করছেন।দিন দিন কাদামাটিতে রসুন আবাদে আগ্রহ বাড়ছে।

সরজমিনে দেখা যায়, বিলে পানি নামার সাথে সাথে ফাঁকা জমিতে নরম কাদামাটিতে বিনাচাষে রসুন রোপনের ধুম পড়েছে। চলনবিলাঞ্চে সর্বোচ্চ অর্থকরী ফসলের মধ্যে বিনাচাষে রসুনচাষ অন্যতম। বিনাচাষে রসুনের বাম্পার ফলনের কারণে প্রতি মৌসুমে এলাকার কৃষকরা রসুন চাষে আগ্রহ বাড়ছে, ঝুঁকছেন বেশি বেশি রসুন চাষে।

তাড়াশ উপজেলার কাঁটাবাড়ি, নাদোসৈয়দপুর, বিন্নাবাড়ী, চরহামকুড়িয়াসহ এলাকায় দেখা যায়, নারী-পুরুষ মিলে জমিতে লাইন ধরে বসে নরম কাদা মাটিতে রসুনের কোয়া রোপন করছেন। এ উপজেলায় এখন চলছে রসুন রোপনের ভরা মৌসুম। ধুম পরেছে এ চাষে।

বিনাচাষে উৎপাদন পদ্ধতিঃ বিল থেকে পানি নেমে গেলে পলি জমা কাদা মাটিতে বিনা হালে সারিবদ্ধভাবে  রসুনের কোয়া রোপন করা হয়। রোপন শেষে ধানের নাড়া (খড়) বিছিয়ে ঢেকে দেওয়া হয়। এর আগে প্রতি বিঘা জমিতে ৩০ কেজি টিএসপি, ২৫ কেজি পটাশ, ২০ কেজি জিপশাম ও ২ কেজি বোরন সার প্রয়োগ করা হয়। রোপনের ২৫-৩০ দিন পর বিঘা প্রতি ১৫-২০ কেজি ইউরিয়া সার দিয়ে পানি সেচ দেওয়া হয়। ৫০ দিন পর আবার দ্বিতীয় দফা ১০-১৫ কেজি ইউরিয়া সার প্রয়োগ করা হয়। রোপনের ১২০/১৩০ দিন পর রসুন উত্তোলনের করা যায়।

উপজেলার কাঁটাবাড়ি গ্রামের কৃষক মেহেদি হাসান জানান,  বিনাহালে দুই বিঘা জমিতে রসুন লাগিয়েছি। সে আরো বলেন, প্রতি বিঘা জমিতে রসুন চাষ করে ফসল ঘরে তোলা পর্যন্ত প্রায় ৩৫-৪০ হাজার টাকা ব্যয় হবে। তিনি আশা করছেন আবহাওয়া অনুকুলে থাকলে প্রতি বিঘা জমিতে প্রায় ২৫-৩০ মন রসুন পাবেন। যার বাজার মূল্য প্রায় ১ লক্ষ ৪০ হাজার টাকা। চরহামকুড়িয়া গ্রামের মোতালেব হোসেন জানান, বিনা চাষে দেড় বিঘা জমিতে রসুন রোপন করছেন। সেও আশা করছেন ভালো ফলন ও দাম বেশি পাবেন।

তাড়াশ উপজেলা কৃষি অফিসার মোঃ আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, তাড়াশে এলাকায় বর্ষার পানি নামার সাথে সাথে কাদা মাটিতে কৃষক বিনাচাষে রসুন আবাদ করছেন। রসুন চাষ লাভজনক হওয়ায় প্রতিবছর এ আবাদ বৃদ্ধি পাচ্ছে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর