তাড়াশ(সিরাজগঞ্জ)প্রতিনিধিঃ
সিরাজগঞ্জঃ সিরাজগঞ্জ জেলার তাড়াশ উপজেলায় সবজির চারা উৎপাদন করে স্বাবলম্বী হচ্ছেন কৃষকরা। এ উপজেলার ৮টি ইউনিয়নের কৃষকেরা বাণিজ্যিকভাবে বিভিন্ন প্রকার সবজির চারা উৎপাদন করে আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী হয়েছেন দেড় শতাধিক কৃষক।
এতে নিজের পাশাপাশি সবজির চাষ করে লাভবান হচ্ছেন অন্যান্য কৃষকরা।
জানা যায়, একই জমিতে বীজ অঙ্কুরোদগমের মাধ্যমে উৎপাদন করা হচ্ছে শীত ও গ্রীষ্মকালীন বিভিন্ন রকম সবজির চারা। গুণগত মান ভালো হওয়ায় দেশের বিভিন্ন জেলার কৃষকদের মাঝেও চাহিদা বাড়ছে এখানকার উৎপাদিত এ সবজির চারার। এছাড়া লাভজনক হওয়ায় দিন দিন বাড়ছে চারা উৎপাদনকারীর সংখ্যা।
স্থানীয় কৃষকরা বলেন, তাড়াশ উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের কৃষকরা বংশ পরম্পরায় সবজির চারা উৎপাদনের সঙ্গে জড়িত। এই উপজেলার মাধাইনগর,মাগুড়া ইউনিয়নের নাদোসৈদপুর, সদর ইউনিয়নের মথুরাপুর,শ্রীকৃষ্ণপুর, বিদুমাগুড়া, শোলাপাড়া, নঁওগা ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকার রয়েছে সবজির চারা উৎপাদনের খ্যাতি। তারা বেগুন, ফুলকপি, বাধাকপি, মরিচ, লাউ, শসা, টমেটো, পেঁপে, করলাসহ বাণিজ্যিক ভিত্তিতে বিভিন্ন ধরনের সবজির চারা উৎপাদন করে থাকেন।
চারা উৎপাদনকারী কৃষকরা জানান, নিজেদের প্রয়োজনীয় চাহিদার কথা ভেবে আজ থেকে প্রায় ২০ বছর আগে এ চারা উৎপাদন শুরু করেন এখানকার কৃষকরা। এরপর থেকে ধীরে ধীরে এখানে উৎপাদিত সবজির চারা জনপ্রিয় হয়ে উঠে। এখন প্রায় ৩০ বিঘার জমির উপরে এ চারা উৎপাদন করা হয়। যার বাজার মূল্য ১ কোটি ৫০ লাখ টাকা।
তাড়াশ উপজেলার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কৃষি কর্মকর্তা বলেন, বাণিজ্যিকভাবে সবজির চারা উৎপাদন করে নিজেদের জমির চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি অন্যত্র বিক্রি করে লাভবান হতে পারছেন এখানকার কৃষকরা। সবজির চারা উৎপাদন বাড়াতে প্রতি বছরই কৃষকদের দক্ষতা অর্জনে পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।