সিলেট শাহপরান রহঃ থানাধীন বালুচর সিলেট সিটি করপোরেশন ৩৬ নং ওয়ার্ড ২ নং পশ্চিমে সামী ভেরাইটিজ স্টোরে গত ৫ই আগষ্ট সন্ধ্যা সাড়ে সাত ঘটিকায় বালুচর এলাকার আওয়ামিলীগ নেতারা মিজান,নাসির, স্বপন, শাহেদ,বাবলু,পাপলু,রাজু, সহ অজ্ঞাত ৭/৮ জন হামলা চালিয়ে দোকান ভাংচুর করে দোকানের মালামাল লুটপাট করে ক্ষতি সাধন করে আনুমানিক সাড়ে চার লক্ষ টাকার, এবং দোকানের ক্যাশ হতে নগদ পঞ্চান্ন হাজার টাকা জোরপূর্বক নিয়ে যায়।
সামী ভেরাইটিজ স্টোর প্রোপাইটার আরব আলী ১৪ আগষ্ট শাহপরান রহঃ থানায় লুটপাটকারীদের নাম উল্লেখ করে লিখিত অভিযোগ করেন, পরবর্তীতে শাহপরান রহঃ থানায় দায়িত্বরত অফিসার ইনচার্জ মোঃ মনিরুল ইসলাম অভিযোগ তদন্তের দায়িত্ব প্রধান করেন শাহপরান রহঃ থানায় কর্মরত এসআই জাকির হোসেন কে, ঘটনাস্থলে এসে এসআই জাকির হোসেন আইনানুগ পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে আশ্বস্ত করেন।
থানায় মামলা রেকর্ড করার পর মামলার বাদী থানায় কয়েকবার যোগাযোগ করেন আসামীদের গ্রেফতারের বিষয়ে, ( মামলা নং ২৩/২৩৮) বর্তমানে এ মামলার আয়ু (এসআই অঞ্জন), মামলার আয়ুর সাথে থাবায় কথা বললে সময় ক্ষেপন করেন আসামীদের গ্রেফতারের বিষয়ে, আয়ুর মুঠোফোনে কল করলে তিনি কল রিসিভ করেননা বলে অভিযোগ মামলার বাদী পক্ষের,।
দোকান ভাংচুর লুটপাট মামলার আসামীরা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে, এবং মামলার বাদী ও সাক্ষীদের নানান হুমকি দিয়ে যাচ্ছে। আসামীদের গ্রেফতারে থানা থেকে কোন ব্যবস্থা না নেওয়াতে দোকান লুটপাটকারীরা বেপরোয়া হয়ে ওঠে। এদিকে অভিযোগকারী জানান, পুলিশের গাফলতির কারনে ন্যায় বিচার পেতে বঞ্চিত হচ্ছি,আাসামীরা সামন দিয়ে হেটে হেটে বলে যায় ৫০ হাজারে অভিযোগ ডাস্টবিনে ফেলে রাখা হয়েছে,।
আসামীরা সিলেট জেলা সাবেক ছাত্রলীগ সভাপতি হিরন মাহমুদ নিপু ও জেলা যুবলীগ নেতা জাহাঙ্গীর হোসেনের দাপটের জুড়ে এলাকায় নানা রকম সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে লিপ্ত ছিলো।
সরকার পতনের সাথে সাথে খোলস পাল্টে আসামীরা এখন বিএনপির কর্মী বলে দাবি করছে।
মামলার বাদী আরও বলেন- আইন সবার জন্য সমান এটা শুধু পুলিশের মুখের কথা, প্রকৃত আসামীদের গ্রেফতার করতে বিগত ৪ মাস ধরে পুলিশের কোন ভুমিকা চোখে পড়েনি, আসামীরা প্রকাশ্যে বলে বেড়ায় থানার পুলিশ সেটিং হয়ে গেছে, অতএব এই মামলায় আসামীদের কিছু হবেনা,।
এব্যাপারে থানার অফিসার ইনচার্জ ও মামলার আয়ুর মুঠোফোনে কল করলে ফোন রিসিভ করেন নি।