হাফিজুর রহমান
সিরাজগঞ্জের তাড়াশে জমিজমার বিরোধের জের ধরে মুক্তা বেগম (৪০) নামে এক মহিলা চা বিক্রেতাকে মারধর করে তার চা – স্টল বন্ধ করে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছে । এ প্রসঙ্গে থানায় ও সেনা ক্যাম্পে অভিযোগ দায়ের করা করেছে। ভুক্তভোগী মুক্তা বেগমের বাড়ি উপজেলার মাগুরা বিনোদ ইউনিয়নের হামকুড়িয়া গ্রামের মধ্যশেখ পাড়া। অভিযুক্তরা হলেন মোঃ করিম (৪৫), পিতা: মোঃ আঃ খালেক, মোঃ আলাউদ্দিন (৪০), পিতা: মোঃ আয়নাল, মোঃ সুজন (৩০), পিতা: মোঃ জামাল হোসেন, মোঃ সাব্বির (২৫), পিতা: মোঃ আলম, মোঃ নাজমুল হোসেন (২৪), পিতা: মোঃ জামসু কালা, মোঃ সাদ্দাম (৪২), পিতা: মৃত আবু ছাইদ, মোঃ ছাইদুর (৪৫), পিতা: মৃত গুল মাহমুদ, মোঃ ইব্রাহীম (৩৫), পিতা: মৃত আবু ছাইদ, মোঃ শিবলু (২২), পিতাঃ মোঃ ঠান্ডু, সর্ব সাং: হামকুড়িয়া, থানা: তাড়াশ, জেলা: সিরাজগঞ্জগ।ভুক্তভোগী মুক্তা বেগম বলেন, দীর্ঘদিন যাবৎ অভিযুক্তদের সহিত আমাদের পরিবারের সদস্যগণের জায়গা জমব নিয়ে ঝামেলা বিদ্যমান রহিয়াছে। উক্ত বিষয়টি কেন্দ্র করে অভিযুক্তরা আমাকে সহ পরিবারের সদস্যগণকে দীর্ঘদিন যাবৎ বিভিন্ন ভাবে রাস্তা-ঘাটে অশ্লিল ভাষায় গালিগালাজ, ভয়ভীতি ও হুমকি প্রদান করে আসছিলো। উক্ত বিষয়টি আমরা পরিবারের লোকজন সহ স্থানীয় লোকজনের মাধ্যমে বিবাদীগণকে কয়েকবার উহাতে বাঁধা-নিষেধ করিলে বিবাদীগণ উক্ত বাঁধা-নিষেধ না মেনে উল্টে আমাদের পরিবারের সদস্যগণকে প্রাণনাশের হুমকি প্রদান করে। আমি দীর্ঘদিন যাবত তাড়াশ থানাধীন হামকুড়িয়া বাজারের মোঃ আঃ রউফ এর স- মেশিনের দক্ষিণ পার্শ্বে চা-স্টল করে সংসার পরিচালনা করে আসিতেছি। গত শনিবার
সন্ধ্যা অনুমান ০৬:০০ ঘটিকার সময় অভিযুক্তরা দলবদ্ধ হইয়া আমার চা-স্টলে গিয়ে আমাকে অশ্লিল ভাষায় গালিগালাজ করিতে থাকে। তখন আমি তাদেরকে গালিগালাজ করিতে নিষেধ করিলে, বিবাদীগণ আমাকে এলোপাতারি ভাবে মারপিট করে শরীরের বিভিন্ন জায়গায় ছিলা-ফুলা করে মাটিতে ফেলে দেয়। তখন আমি চিৎকার করিলে, স্থানীয় লোকজন ঘটনাস্থলে আগাইয়া আসিলে, বিবাদীগণ আমাকে বিভিন্ন ধরণের ভয়ভীতি ও প্রাণনাশের হুমকি প্রদান করে আমার উক্ত চা-স্টলে জোরপূর্বক ভাবে তারা তালা আটকিয়ে দিয়ে চলে যায়।
এ প্রসঙ্গে তাড়াশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসলাম হোসেন বলেন, অভিযোগের আলোকে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।