গাজীপুর মহানগরীর কুনিয়া, সুলতান মার্কেট, ৩৭নং ওয়ার্ডের পুত্রের হত্যা মামলা তুলে না নেওয়ায় পিতার উপর অতর্কিত হামলার ঘটনা ঘটেছে ভুক্তভোগীর নাম মোঃ নুর নবী (৬৪)
তিনি বলেন আমার সপ্তম শ্রেণী পড়ুয়া একমাত্র ছেলে মোঃ হোসেন আলী শবে বরাতের নামাজের উদ্দেশ্যে বের হলে তাকে চিহ্নিত সন্ত্রাসীরা কুপিয়ে হত্যা করেন এ ব্যাপারে আমি বাদী হয়ে গাছা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করি। যাহার নং-১৭, তাং-২৬/০২/২০২৪ইং, ধারা-৩০২/৩৪। উক্ত মামলাটি বিচারাধীন অবস্থায় আছে।
মামলা চলমান থাকাবস্থায় পূর্বের মামলার আসামীদের সহিত আপোষ মিমাংসা হওয়ার জন্য আমাকে চাপ সৃষ্টি করে আমি বিবাদীদের কথায় রাজি না হওয়ায় উক্ত বিবাদী আমাকে বিভিন্ন ধরনের ভয়ভীতি ও হুমকি অব্যাহত রেখেছিল। ইং-১৮/০১/২০২৫ তারিখ রাত আনুমানিক ৯ টা সময় আমি কুনিয়া সুলতান মার্কেট বালুর মাঠ হতে আমার বর্তমান ঠিকানার বাড়ীতে যাওয়ার উদ্দেশ্যে রওয়ানা করিয়া গাছা থানাধীন কুনিয়া সুলতান মার্কেট রতন দোকানের রাস্তার উপর পৌছিলে পূর্ব হতে উৎপেত থাকা সকল বিবাদীরা তাহাদের সহযোগী অজ্ঞাতনামা ৫/৬ জন সন্ত্রাসী প্রকৃতির লোকজন বে-আইনীজনতাবন্ধে আমার গতিরোধ করে বলে, “তোরে বলছিলাম আসামীদের সাথে আপোষ মিমাংসা হয়ে যা, তুই আপোষ মিমাংসা হলি না এবং মামলা তুলে নিলি না” বলে আমাকে অকথ্য অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করে আমার উপর অতর্কিত ভাবে আক্রমন চালায় এলোপাথারী ভাবে কিল, ঘুষি মারে শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখম করে।
এবং তাদের হাতে থাকা ধারালো সুইজ গিয়ার ও দেশীয় অস্ত্র দিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে আমার মাথা লক্ষ্যে করিয়া স্বজোরে পাড় মারে, ও ধারালো ছুরি দিয়ে আমাকে হত্যার উদ্দেশ্যে আমার মাথা লক্ষ্যে করে সজোরে মারে আমি মাটিতে পড়ে গেলে আমার বুকের উপর উপর্যপুরী ভাবে লাথি মুড়া মেরে মারাত্মকভাবে জখম করে। ছেলের হত্যা মামলা তুলে না নেওয়ার অপরাধী তোকে এখন মেরে ফেলবো এই বলে গলাটিপে শ্বাসরোধ করে মারার চেষ্টা করলে আমার ডাক চিৎকারে আশপাশে লোকজন আগাইয়া এসে আমাকে উদ্ধার করে। স্থানীয় লোকজনদের সহায়তায় শহীদ আহসান উল্লাহ মাষ্টার জেনারেল হাসপাতাল, টঙ্গী গাজীপুর গিয়ে ভর্তি হই।
এলাকায় খোঁজ নিয়ে জানতে পারি গেল বছর ২৬/০২/২০২৪ইং,নুর নবীর ছেলে মোঃ হোসেন আলীকে কুপিয়ে হত্যা করেন হোসেন আলী কুনিয়া মধ্যপাড়া শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার উচ্চ বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণীর ছাত্র ছিলেন এরপরে একটি হত্যা মামলার দায়ের করেন নূরনবী ধারা-৩০২/৩৪।
উক্ত মামলাটি চলমান
মামলা তুলে না নেওয়ার অপরাধেই এই হামলা ঘটেছে বলে জানিয়েছেন এই এলাকাবাসীঅভিযোগের প্রধান আসামি ইমন কে জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেই হত্যা মামলার সাথে এটার কোন সম্পৃক্ততা নেই জুয়া খেলা কে কেন্দ্র করে এমনটা ঘটেছেন বলে জানিয়েছেন তিনি
এ প্রসঙ্গে গাছা থানার অফিসার ইনচার্জ আলী মোহাম্মদ রাশেদের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন উভয়পক্ষের অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত শেষে ব্যবস্থা নেব।