মজিবর রহমান স্টাফ রিপোর্টার
তাড়াশ সিরাজগঞ্জে জাকিয়া সুলতানা রুপাকে চলন্ত বাসে গণধর্ষণ ও হত্যা মামলায় সাত বছর পর প্রকাশিত হলো আপিলের রায়। এতে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত দুই আসামিকে যাবজ্জীবন ও একজনের সাত বছরের সাজার রায় দিয়েছেন আপিল বিভাগ। আর এ রায়ে সন্তুষ্ট নন রূপার মা হাসনাহেনা ও মামলার বাদী রুপার বড় ভাই হাফিজুর রহমান।
জানা গেছে, গত সোমবার হাইকোর্টের আপিল বিভাগের বিচারপতি জেবিএম হাসান ও তৌফিক ইমামের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ রায় দেন। এতে বিচারিক আদালতে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত বাসটির হেলপার শামীম (২৬), জাহাঙ্গীরে (১৯) সাজা কমিয়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়। আরেক মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি আকরাম কারাগারে মৃত্যুবরণ করায় তাকে অব্যহতি দেওয়া হয়। অপরদিকে চালক হাবিবুরকে (৪৫) সাত বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। ছোঁয়া পরিবহন নামক বাসটি ক্ষতিপূরণ হিসেবে রুপা পরিবারের স্থলে মালিক পক্ষের চলন্ত বাসে রুপা ধর্ষণ ও হত্যাতত্ত্বাবধানে দেওয়া হয়। রুপা তাড়াশ পৌর শহরের আসানবাড়ি মহল্লার মৃত জেল হক প্রামাণিকের মেয়ে। ২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট বগুড়া থেকে ছোঁয়া পরিবহনের একটি বাসে ময়মনসিংহ যাওয়ার পথে তাকে চলন্ত বাসে পরিবহন শ্রমিকরা ধর্ষণ করে। পরে তাকে হত্যা করে টাঙ্গাইলের মধুপুর বন এলাকায় ফেলে রেখে যায়। পুলিশ ওই রাতেই তার লাশ উদ্ধার করে। পরে রুপার বড় ভাই হাফিজুর রহমান বাদী হয়ে টাঙ্গাইল নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারিক আদালতে মামলা করেন। ২০১৮ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি ওই চার আসামির বিরুদ্ধে বিচারক আবুল মনসুর মিয়া মৃত্যুদণ্ডের রায় ঘোষণা করেন।রূপার মা হাসনাহেনা জানান, এ রায়ে তিনি সন্তুষ্ট নন। তার মেয়ের ওপর পাশবিক নির্যাতন চালিয়ে যারা হত্যা করেছে, তাদের যাবজ্জীবন নয়, মৃত্যুদণ্ডই দেখতে চান তিনি।মামলার বাদী রূপার বড় ভাই হাফিজুর রহমান জানান, তার বোনের হত্যাকারীদের মৃত্যুদণ্ডের পরিবর্তে যাবজ্জীবন সাজায় সন্তুষ্ট নন তিনি। আসামিদের নিম্ন আদালতের দেওয়া ফাঁসির রায় বহাল রাখতে সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাবেন তিনি।রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এম মাসুদ রানা জানান, অ্যাটর্নি জেনারেলের সঙ্গে আলোচনা করে বিচারিক আদালতের রায় বহাল রাখতে আপিল করবেন তারা।