১.রমজানের সুন্নাত সমূহের অন্যতম হচ্ছে ই’তিকাফ করা। অর্থাৎ রমজানের শেষ ১০ দিন তথা ২০ রমজানের সূর্য অস্ত যাওয়ার পূর্ব হতে ঈদুল ফিতরের চাঁদ উদিত হওয়ার পর পর্যন্ত মসজিদে ই’তিকাফ (রোজা সহকারে মসজিদে ইবাদাতের উদ্দেশ্যে অবস্থান করা) “সুন্নাতে মোয়াক্কাদা আলাল কিফায়াহ”।
(দুররে মুখতার, রদ্দুল মুহতার ৩য় খন্ড ৪৩০পৃষ্টা)
মহল্লার কেউ যদি উক্ত ই’তিকাফ না করে সকালেই গুনাহগার হবে!!! (বাহরে শরীয়ত ৫ম খন্ড ১৫২পৃষ্টা)
২.উম্মুল মো’মিনীন হযরত আয়েশা সিদ্দিকা রাদিআল্লাহু তা’আলা আনহা হতে বর্ণিত- “যে বক্তি ঈমান সহকারে এবং সাওয়াবের উদ্দেশ্যে ই’তিকাফ করে তার পূর্ববর্তী সমস্ত গুনাহ্ ক্ষমা করে দেয়া হবে”।
(জামেউস সগীর ৫১৬ পৃষ্টা)
৩.হযরত মাওলা আলী শেরে খোদা রাদিআল্লাহু তা’আলা আনহু হতে বর্ণিত- “যে ব্যক্তি রমজান মাসে (শেষ ১০দিন) ই’তিকাফ করলো, তা দু’টি হজ্জ ও দু’টি ওমরা করার মতো হলো”।
অর্থাৎ ২টি হজ্জ ও ২টি ওমরা করার পরিপূর্ণ সাওয়াব পাবে। (শুয়াবুল ঈমান,৩য় খন্ড,৪২৫ পৃষ্টা)
৪.হযরত হাসান বসরী রাদিআল্লাহু তা’আলা আনহু হতে বর্ণিত- “ই’তিকাফকারী প্রতিদিন এক হজ্জের সাওয়াব পায়।” (শুআবুল ঈমান,৩য় খন্ড,৪২৫পৃষ্টা)
৫.হযরত আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস রাদিআল্লাহু তা’আলা আনহু হতে বর্ণিত- “ই’তিকাফ কারী গুনাহ থেকে বেঁচে থাকে, তার জন্য সমস্ত নেকী লিখা হয়, যেভাবে সেগুলোর সম্পাদনকারীর জন্য লিখা হয়”।
(ইবেন মাযাহ্ ২য় খন্ড ৩৬৫পৃষ্টা)
৬.ই’তিকাফ কারী নিশ্চিত ভাবে পবিত্র লাইলাতুল ক্বদর অর্জন করতে সক্ষম হয়।
অত এব, যদি সুযোগ হয় রমজানের শেষ ১০ দিন ই’তিকাফ করে নিন।
লেখক :
মুহাম্মদ নেজাম উদ্দীন তৈয়্যবী
নুরুল উলুম আহমদীয়া রিজভীয়া দাখিল মাদরাসা