মঙ্গলবার, ১৭ জুন ২০২৫, ০৬:২৫ পূর্বাহ্ন
আজকের শিরোনাম
নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের সন্ত্রাসী হামলার শিকার ছাত্রদল নেতার পাশে বগুড়া জেলা জিসাস নেতৃবৃন্দ শেরপুরের ঝিনাইগাতীতে নেশার টাকা না পেয়ে বাবা- মাকে পেটানোর অভিযোগ ছেলের বিরুদ্ধে! সৈয়দ আফছার আলী ডিগ্রি কলেজে বিপুল উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে কলেজ ছাত্রদলের নবগঠিত কমিটি বরণ। শেরপুরের ঝিনাইগাতীতে ১ যুগ পর কুরবানীর মাংস পেলো গুচ্ছগ্রামের মানুষ। ঈদুল আজহার শুভেচ্ছা ও ঈদ মুবারক বাংলাদেশ জাতীয় ইমাম সমিতি লাকসাম উপজেলা কমিটি গঠন মহান স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ জিয়াউর রহমানের ৪৪তম শাহাদাৎ বার্ষিকী উপলক্ষে পবায় আলোচনা সভা, দোয়া মাহফিল ও খাবার বিতরণ অনুষ্ঠিত সরকারি যাত্রী ছাউনিতে অবৈধ বাস কাউন্টার, নির্বিকার প্রশাসন, বিপন্ন জনস্বার্থ। পবিত্র ঈদুল আযহার শুভেচ্ছা জানিয়েছেন ঝিনাইগাতীর বিশিষ্ট ব্যাবসায়ী মো: শাহজালাল  ঈদুল আযহার শুভেচ্ছা জানিয়েছেন বিএনজেএফ ঠাকুর গাঁও জেলা কমিটি সভাপতি সাংবাদিক মোঃ মাহফুজুর রহমান

বাকেরগঞ্জ বউভাতের দাওয়াতে আনা উপহার সবাইকে নিতে হলো ফেরত।

রিপোর্টারের নাম / ১৫৫ বার দেখা হয়েছে
আপডেট: শনিবার, ৫ এপ্রিল, ২০২৫

এম এইচ কামাল: প্রচলিত রীতি অনুযায়ী, বিয়ে বা বউভাতের দাওয়াতে উপহার দিতে হয়। এ ক্ষেত্রে কেউ উপসারসামগ্রী আবার কেউ নগদ টাকা দিয়ে থাকেন। এসব উপহার নেওয়ার জন্য চেয়ার-টেবিল নিয়ে কাউকে বসে থাকতে দেখা যায় অনুষ্ঠানস্থলে। তবে ব্যতিক্রম চিত্র দেখা গেছে বরিশালে বাকেরগঞ্জ পাদ্রি শিবপুর নিউমার্কেট একটি বউভাতের অনুষ্ঠানে। একে অমানবিক সামাজিক রীতি আখ্যা দিয়ে তা বর্জনে অতিথিদের নিয়ে আসা উপহার ফেরত দেওয়া হয়েছে।

আজ শনিবার বিকেলে বাকেরগঞ্জ উপজেলার ১৩ নং পাদ্রিশিবপুর ইউনিয়নের নিউ মার্কেট আড়াইবেকী গ্রামের মজিদ সার্ভেয়ার ছেলে তরিকুল ইসলাম তায়েফ বিয়ের বউভাত অনুষ্ঠানে এই ঘটনা ঘটে। বিষয়টি এলাকায় বেশ চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে।

পরিবার ও আমন্ত্রিত অতিথিদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গত গত শুক্রবার ভরপাশা ইউনিয়নের কৃষ্ণ কাটি গ্রামের শফিকুল ইসলাম বাচ্চু আকনের মেয়ে ইসরাত জাহান লুলা সঙ্গে তরিকুল ইসলাম তায়েফের বিয়ে হয় আজ শুক্রবার বরের বাড়িতে বউভাত অনুষ্ঠানে তিন শতাধিক মানুষকে দাওয়াত দেওয়া হয়। তবে অতিথিদের আনা উপহার নেওয়ার কোনো ব্যবস্থা রাখা হয়নি। এতে খাবার খাওয়ার পর বাধ্য হয়ে উপহার ফেরত নিয়ে গেছেন আমন্ত্রিত অতিথিরা।

দাওয়াত খাওয়া হাকিম মো. রয়েল বলেন, ‘বিয়ের দাওয়াতে গেলে তো আর খালি হাতে যাওয়া যায় না। হয়তো কোনো উপহার বা নগদ টাকা দেই। এই বউভাতের অনুষ্ঠানেও তেমন প্রস্তুতি নিয়ে গিয়েছিলাম। কিন্তু উপহার দেওয়ার মতো জায়গা বা কোনো মানুষ না পেয়ে অবাক হয়েছি। পরে বরের বাবাকে জিজ্ঞাসা করলে তিনি উপহার নেওয়া হচ্ছে না বলে জানান।’

বরের বড় ভাই সরোয়ার হাওলাদার বলেন, ‘প্রতিটি বিয়ে বাড়িতে উপহারসামগ্রী ও অর্থ সংগ্রহে একটি টেবিল বসানো হয়। এতে আমন্ত্রিত অতিথিরা সামাজিক অবস্থানের কথা চিন্তা করে বাধ্য হয়ে উপহারসামগ্রী বা টাকা দেন। সামাজিকতা রক্ষার স্বার্থে যা অনেক সময় তাদের জন্য কষ্টসাধ্য হয়ে পড়ে। এই অমানবিক সামাজিক রীতি বর্জন করতেই আমার ছোট ভাইয়ের বউভাতে কোনো উপহার নেওয়া হয়নি। আমরা শুধু নব-দম্পতির জন্য দোয়া চাই।’

বরের বাবা মজিদ হাওলাদার সার্ভেয়ার বলেন, ‘দাওয়াত করে মানুষকে খাওয়াতে এনে যদি চেয়ার-টেবিল বসিয়ে উপহার নেওয়ার নামে লজ্জা দেই, তবে এটা হোটেল ব্যবসা ছাড়া আর কিছু না। টাকা দিয়েই যদি খেতে হয়, তবে মানুষ হোটেলে গিয়েই খেতে পারে। আমন্ত্রিত অতিথিদের আমি আমার সাধ্যমতো আপ্যায়নের চেষ্টা করেছি। বিনিময়ে কারও কাছ থেকে উপহার নেওয়া হয়নি


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর